ভূমিকা
দ্বিতীয় রাজাবলি পুস্তকে দুই ইস্রায়েলীয় রাজ্যের ইতিহাস লিপিবদ্ধ রহিয়াছে। প্রথম রাজাবলির ইতিহাস যেখানে শেষ হইয়াছে, তাহার পরবর্তী সময়ের ইতিহাস দ্বিতীয় রাজাবলিতে বর্ণিত হইয়াছে। বইটিকে দুইটি ভাগে বিভক্ত করা যায়: (১) খ্রীষ্টপূর্ব নবম শতকের মধ্যভাগ হইতে শমরিয়ার পতন এবং খ্রীষ্টপূর্ব ৭২১ সালে উত্তর রাজ্যের পতন পর্যন্ত দুই রাজ্যের কাহিনী। (২) ইস্রায়েল রাজ্যের পতন হইতে খ্রীষ্টপূর্ব ৫৮৬ সালে বাবিলের রাজা নবূখদ্নিৎসরের যিরূশালেম অধিকার ও ধ্বংস পর্যন্ত যিহূদা রাজ্যের কাহিনী। বাবিলের অধীনে যিহূদার শাসনকর্তা গদলিয়ের বিবরণ এবং বাবিলের কারাগারে বন্দি যিহূদা-রাজ যিহোয়াখিনের মুক্তির বিবরণ দিয়া পুস্তকটি শেষ হইয়াছে।
ইস্রায়েল ও যিহূদার রাজা ও প্রজাদের অবাধ্যতার ফলে তাহাদের জাতীয় জীবনে বিপর্যয় ঘটিয়াছিল। যিরূশালেমের ধ্বংস এবং যিহূদার বহু লোকের নির্বাসন ছিল ইস্রায়েলের ইতিহাসের অন্যতম বিরাট একটি দিক।
দ্বিতীয় রাজাবলিতে যে ভাববাদী বিশিষ্ট ভূমিকা গ্রহণ করিয়াছিলেন তিনি হইলেন ভাববাদী এলিয়ের উত্তরাধিকারী ভাববাদী ইলীশায়।
বিষয়বস্তুর রূপরেখা:
বিভক্ত রাজ্য - ১:১—১৭:৪১
(ক) ভাববাদী ইলীশায় - ১:১—৮:১৫
(খ) যিহূদা ও ইস্রায়েলের রাজন্যবর্গ - ৮:১৬—১৭:৪
(গ) শমরিয়ার পতন - ১৭:৫-৪১
যিহূদা রাজ্য
(ক) হিষ্কিয় হইতে যোশিয় - ১৮:১—২১:২৬
(খ) যোশিয়ের রাজত্বকাল - ২১:১—২৩:৩০
(গ) যিহূদার শেষ রাজা - ২৩:৩১—২৪:২০
যিরূশালেমের পতন - ২৫:১-৩০