ভূমিকা
বিচারকর্তৃগণের যুগ হইতে রাজতন্ত্রের যুগে ইস্রায়েল জাতির উত্তরণের কাহিনী শমূয়েলের প্রথম পুস্তকে লিপিবদ্ধ রহিয়াছে। ইস্রায়েলীয়দের জাতীয় জীবনের এই পরিবর্তন মূলতঃ তিন জনকে কেন্দ্র করিয়া আবর্তিত হইয়াছিল। শমূয়েল, ইস্রায়েলের প্রথম রাজা শৌল এবং দায়ূদ ছিলেন শেষ মহান বিচারকর্তা। রাজক্ষমতা লাভের আগে দায়ূদের রোমাঞ্চকর ঘটনাবলি শমূয়েল ও শৌলের বিবরণের সহিত গাঁথা রহিয়াছে।
এই পুস্তকের মূল কথা পবিত্র বাইবেলের পুরাতন নিয়মের অন্যান্য ইতিহাস পুস্তকগুলির মতই- ঈশ্বরের প্রতি নিষ্ঠা ও আনুগত্য সফলতা আনয়ন করে, অন্যথায় আইসে বিপর্যয়। এই কথা যাজক এলির নিকটে ঈশ্বরের প্রত্যাদেশের মধ্যেই সুস্পষ্টভাবে বলা হইয়াছে। “কেননা যাহারা আমাকে গৌরবান্বিত করে, তাহাদিগকে আমি গৌরবান্বিত করিব; কিন্তু যাহারা আমাকে তুচ্ছ করে, তাহারা তুচ্ছীকৃত হইবে” (২:৩০)।
এই পুস্তকে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে মিশ্র অনুভূতির কথা বর্ণিত হইয়াছে। সদাপ্রভু স্বয়ং ইস্রায়েল জাতির রাজারূপে পূজিত ছিলেন কিন্তু প্রজাদের অনুরোধের উত্তরে সদাপ্রভু তাহাদের জন্য একজন রাজা মনোনীত করিলেন। এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হইল এই যে, রাজা এবং ইস্রায়েলীয় প্রজাবৃন্দ- উভয়ই ঈশ্বরের সার্বভৌম অধিকার ও বিচারের অধীন ছিলেন (২:৭-১০)। ঈশ্বরের ব্যবস্থায় ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকলের সমান অধিকার- এই অধিকার অব্যাহত রাখিতে হইবে।
বিষয়বস্তুর রূপরেখা:
ইস্রায়েলীয়দের বিচারপতিরূপে শমূয়েল - ১:১—৭:১৭
শৌলের রাজ্যাভিষেক - ৮:১—১০:২৭
শৌলের রাজত্বের প্রথম বৎসর - ১১:১—১৫:৩৫
দায়ূদ এবং শৌল - ১৬:১—৩০:৩১
শৌল ও তাঁহার পুত্রদের মৃত্যু - ৩১:১-১৩