ভূমিকা
শমূয়েলের পুস্তকে ইস্রায়েল জাতির মধ্যে রাজতন্ত্রের গোড়াপত্তনের যে ইতিহাস বর্ণিত হইয়াছে, রাজাবলির প্রথম পুস্তকে সেই ইতিহাসেরই ধারা অগ্রসর হইয়াছে। পুস্তকটিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়ঃ (১) ইস্রায়েল ও যিহূদার রাজারূপে শলোমনের সিংহাসনে আরোহণ ও তাঁহার পিতা দায়ূদের মৃত্যু। (২) শলোমনের রাজত্বকাল ও কার্যাবলি, বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যিরূশালেম মন্দির নির্মাণ। (৩) উত্তর-দক্ষিণ রাজ্যরূপে জাতি দ্বিধা বিভক্ত এবং খ্রীষ্টপূর্ব নয়শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত যে সমস্ত রাজা রাজত্ব করিয়া গিয়াছেন, তাঁহাদের কাহিনী।
রাজাবলির দুইটি পুস্তকে ঈশ্বরের প্রতি আনুগত্যের মাপকাঠিতেই প্রত্যেক রাজাকে বিচার করা হইয়াছে এবং দেখানো হইয়াছে যে, এই আনুগত্যের উপরই তাঁহাদের জাতীয় জীবনের সাফল্য নির্ভর করিয়াছে। অপর দিকে প্রতিমা পূজা, অবাধ্যতা তাঁহাদের চরম বিপর্যয়ের দিকে লইয়া গিয়াছে। এই মাপকাঠির বিচারে দেখা যায় উত্তর রাজ্যের সমস্ত রাজাই বিফল হইয়াছেন। অপর পক্ষে দক্ষিণ রাজ্যের রাজাদের মান তুলনামূলকভাবে অনেক উন্নত।
রাজাবলির প্রথম পুস্তকে সদাপ্রভুর ভাববাদীরাই বিশেষ প্রাধান্য পাইয়াছেন। ঈশ্বরের অসমসাহসী এই ভাববাদীরা জাতিকে প্রতিমাপূজা ও ঈশ্বরের অবাধ্যতা সম্বন্ধে সাবধান করিয়া দিতেন। এখানে ভাববাদী এলিয়ের কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
বিষয়বস্তুর রূপরেখা:
দায়ূদের রাজত্বকালের সমাপ্তি - ১:১—২:১২
রাজা শলোমন - ২:১৩-৪৬
শলোমনের রাজত্বকাল - ৩:১—১১:৪৩
ক. প্রথম যুগ - ৩:১—৪:৩৪
খ. মন্দির নির্মাণ - ৫:১—৮:৬৬
গ. শেষের বৎসরগুলি - ৯:১—১১:৪৩
দ্বিধা বিভক্ত রাজ্য - ১২:১—২২:৫৩
ক. উত্তরাঞ্চলের গোষ্ঠী বিদ্রোহ - ১২:১—১৪:২০
খ. যিহূদা এবং ইস্রায়েলের রাজন্যবর্গ - ১৪:২১—১৬:৩৪
গ. ভাববাদী এলিয় ও ইলিশায় - ১৭:১—১৯:২১
ঘ. ইস্রায়েলের রাজা আহাব - ২০:১—২২:৪০
ঙ. যিহূদার যিহোশাফট ও ইস্রায়েলের অহসিয় - ২২:৪১-৫৩