ভূমিকা
বংশাবলির পুস্তক দুইটিতে শমূয়েলের প্রথম ও দ্বিতীয় পুস্তক এবং রাজাবলির প্রথম ও দ্বিতীয় পুস্তকে লিপিবদ্ধ সমস্ত ঘটনার পুনরাবৃত্তি করা হইয়াছে কিন্তু তাহা হইলেও বই দুইটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি লইয়া লিখিত হইয়াছে। বংশাবলির পুস্তক দুইটিতে ইস্রায়েলের রাজতন্ত্রের ইতিহাস রচনার পিছনে দুইটি মূল উদ্দেশ্যের নিয়ন্ত্রণ সক্রিয় ছিল।
১। ইস্রায়েল এবং যিহূদা রাজ্যের উপরে নানা বিপর্যয় ঘটা সত্ত্বেও ইস্রায়েল জাতির নিকটে ঈশ্বর তাঁহার দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করিয়া চলিয়াছেন এবং যিহূদাবাসীর মাধ্যমে ঈশ্বর তাঁহার প্রজাদের জন্য তাঁহার পরিকল্পনাকে রূপদানের উদ্দেশ্যে কাজ করিয়া চলিয়াছেন। এই নিশ্চয়তার ভিত্তিতেই দায়ূদ এবং শলোমনের মহৎ কার্যাবলি, যিহোশাফট, হিষ্কিয় ও যোশিয়ের সংস্কার কার্য এবং ঈশ্বরের নিকটে যাঁহারা চির বিশ্বস্ত ছিলেন তাঁহাদের দিকে লেখকের দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল।
২। যিরূশালেমের মন্দিরে ঈশ্বরের উপাসনার মূল উৎস বিশেষ করিয়া যাজক ও লেবীয়দের সংগঠন যাহার দ্বারা উপাসনা পরিচালিত হইত, তাহা ব্যাখ্যা করা ছিল ইহার অন্যতম উদ্দেশ্য। শলোমন মন্দির নির্মাণ করিলেও এখানে দায়ূদকেই মন্দির ও মন্দিরের নিত্যনৈমিত্তিক ক্রিয়াকর্মের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতারূপে বর্ণনা করা হইয়াছে।
বিষয়বস্তুর রূপরেখা:
বংশাবলি এবং তালিকা - ১:১—৯:৪৪
শৌলের মৃত্যু - ১০:১-১৪
দায়ূদের রাজত্বকাল - ১১:১—২৯:৩০
(ক) সমস্যা ও সাফল্য - ১১:১—২২:১
(খ) মন্দির নির্মাণের প্রস্তুতি - ২২:২—২৯:৩০