ভূমিকা
করিন্থীয়ের খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীর নিকটে প্রেরিত পৌলের লিখিত প্রথম পত্রটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। গ্রীস দেশের করিন্থ নগরে পৌল যে মণ্ডলী স্থাপন করিয়াছিলেন, সেই মণ্ডলীর খ্রীষ্টভক্তদের জীবনে এবং খ্রীষ্টীয় বিশ্বাসে নানা সমস্যার উদ্ভব হইয়াছিল। এই সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য পৌল এই পত্রটি লিখিয়াছিলেন। সেই সময় করিন্থ ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক গ্রীক নগরী এবং রোম সাম্রাজ্যের আখায়া প্রদেশের রাজধানী। ব্যবসা-বাণিজ্যে সমৃদ্ধি, মূল্যবান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গর্ব, সীমাহীন ভ্রষ্টাচার এবং নানা ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বসবাসের জন্য নগরটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হইয়া উঠিয়াছিল।
মণ্ডলীতে দলাদলি, দুর্নীতি ও ভ্রষ্টাচার এবং যৌন দুর্নীতি ও বিবাহ তথা দাম্পত্য জীবন সম্পর্কিত নানা প্রশ্ন, বিবেক সংক্রান্ত বিষয়, মণ্ডলীর শৃঙ্খলা, পবিত্র আত্মার দান এবং পুনরুত্থান সম্বন্ধে উদ্ভূত সমস্যাগুলি ছিল প্রেরিত পৌলের বিশেষ উদ্বেগের কারণ। গভীর অন্তর্দৃষ্টি দিয়া তিনি দেখাইয়াছেন, সুসমাচার কিভাবে এই সমস্ত প্রশ্নের যথাযোগ্য সমাধান আনিয়া দিতে পারে।
ঈশ্বর তাঁহার ভক্ত প্রজাদের যে সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার “প্রেম” দান করিয়াছেন তাহা ১৩ অধ্যায়ে বলা হইয়াছে। এই অধ্যায়টি সম্ভবত বহুজনবিদিত।
বিষয়বস্তুর রূপরেখা:
ভূমিকা - ১:১-৯
মণ্ডলীর কর্তব্য - ১:১০—৪:২১
যৌন সততা এবং পারিবারিক জীবন - ৫:১—৭:৪০
খ্রীষ্টীয়ান ও মূর্তিপূজকদের প্রসঙ্গ - ৮:১—১১:১
মাণ্ডলীক জীবন ও উপাসনা - ১১:২—১৪:৪০
খ্রীষ্ট ও খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর পুনরুত্থান - ১৫:১-৫৮
যিহূদিয়ার খ্রীষ্টীয়ানদের জন্য অর্থ সাহায্য - ১৫:১-৪৪
ব্যক্তিগত বিষয় ও উপসংহার - ১৬:৫-২৪