ভূমিকা
ইস্রায়েল জাতির ইতিহাসে বিচারকর্তৃগণের যুগে বিরোধ, বিশৃঙ্খলা, এবং বাহুবলই যখন সমাজের বুকে চরম হইয়া উঠিয়াছিল, ঠিক সেই সময়ে এত হানাহানির মধ্যেও মধুর এক প্রেম, আনুগত্য ও শ্রদ্ধা বিজড়িত রূতের কাহিনী আত্মপ্রকাশ করিয়াছিল। রূৎ ছিলেন একজন মোয়াবীয় কন্যা। ইস্রায়েলীয় এক যুবকের সহিত তাঁহার বিবাহ হইয়াছিল। স্বামীর মৃত্যুর পর রূৎ তাঁহার ইস্রায়েলীয় শাশুড়ীর প্রতি অসাধারণ আনুগত্য ও ইস্রায়েলের উপাস্য প্রভু সদাপ্রভুর প্রতি তাঁহার সুগভীর ভক্তি ও সম্ভ্রম পোষণ ও প্রকাশ করেন। পরিশেষে, তিনি তাঁহার পূর্বের স্বামীর আত্মীয়দের মধ্য হইতে একজনকে স্বামী রূপে লাভ করেন। এই বিবাহের মাধ্যমে রূৎ ইস্রায়েলের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা দায়ূদের প্রপিতামহী হইয়াছিলেন।
বিচারকর্তৃকগণের বিবরণ এই সত্যকে তুলিয়া ধরে যে, ঈশ্বরের প্রজারা যখন তাঁহার নিকট হইতে দূরে সরিয়া যায়, তখন তাহাদের উপরে নিদারুণ বিপর্যয় নামিয়া আইসে। রূতের বিবরণ এই সত্য প্রকাশ করে যে, একজন বিদেশিনীর মস্তকে ঈশ্বরের অজস্র আশীর্বাদ ঝরিয়া পড়ে যখন সে ইস্রায়েলের উপাস্য প্রভু সদাপ্রভুর নিকটে আইসে, তাঁহার অনুগত হয় এবং ফলস্বরূপ সে ঈশ্বরের একনিষ্ঠ প্রজাবৃন্দের অন্যতমরূপে পরিগণিত হয়।
বিষয়বস্তুর রূপরেখা:
রূৎকে সঙ্গে করিয়া নয়মীর যিরূশালেমে প্রত্যাবর্তন - ১:১-২২
রূতের সহিত বোয়সের সাক্ষাৎ - ২:১—৩:১৮
বোয়সের সহিত রূতের বিবাহ - ৪:১-২২