ভূমিকা
ভাববাদী যোয়েল সম্বন্ধে খুব কমই জানা যায় এবং তাঁহার জীবনকাল সম্বন্ধেও স্পষ্টভাবে বিশেষ কিছুই জানা যায় না। তবে খ্রীষ্টপূর্ব পঞ্চম বা চতুর্থ শতকে পারস্য সাম্রাজ্যের সমসাময়িককালে তাঁহার পুস্তকখানি রচিত হইয়াছিল বলিয়া অনুমান করা যায়। প্যালেষ্টাইনে মারাত্মক খরা ও পঙ্গপালের সাংঘাতিক আক্রমণের ঘটনার কথা ভাববাদী যোয়েল বর্ণনা করিয়াছেন। এই ঘটনাবলির মধ্য দিয়া প্রভুর আগমন এবং তাঁহার পবিত্র ইচ্ছার বিরোধিতা যাহারা করে, তাহাদের সমুচিত দণ্ডলাভের আসন্ন কালের চিহ্ন তিনি দেখিতে পাইয়াছিলেন। তাই ভাববাদী তাঁহার স্বজাতিকে অনুতাপ করিবার জন্য ঈশ্বরের আহ্বানের কথা জানাইতেছেন। তিনি তাহাদের জানাইতেছেন যে, ঈশ্বর তাহাদের পুনরুদ্ধার ও আশীর্বাদ করিবেন। এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হইল, ঈশ্বর নর-নারী, যুবক-বৃদ্ধ নির্বিশেষে সকলকে তাঁহার পবিত্র আত্মা দানের প্রতিশ্রুতি দিয়াছেন।
পুস্তকটির দুইটি অংশ। অংশ দুইটি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে লিখিত হয়। প্রথম অংশটি (১:১—২:২৭ পদ) লিখিত হয় যিহূদিয়ার লোকদের বাবিলে নির্বাসনের পূর্বে এবং শেষের অংশটি (২:২৮—৩:২১) লিখিত হয় নির্বাসনের পরে।
বিষয়বস্তুর রূপরেখা:
পঙ্গপালের আক্রমণ - ১:১—২:২৭
পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি - ২:১৮-২৭
সদাপ্রভুর দিন অথবা শেষ বিচার - ২:২৮—৩:২১