ভূমিকা
বাইবেলের অন্যান্য ভাববাণীমূলক পুস্তকগুলির চেয়ে ভাববাদী যোনা সম্পর্কিত পুস্তকটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। পুস্তকটি আখ্যানমূলক। যোনা সদাপ্রভু ঈশ্বরের আজ্ঞা অমান্য করিয়া তাঁহার অবাধ্য হইয়া তাঁহার হাত এড়াইয়া পলাইবার চেষ্টায় যে অভিযানে বাহির হইয়াছিলেন এবং যে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা লাভ করিয়াছিলেন, পুস্তকখানিতে সেই কাহিনী বর্ণিত হইয়াছে। ঈশ্বর তাঁহাকে ইস্রায়েলের চরম শত্রু অশুরিয়া সাম্রাজ্যের রাজধানী নীনবীতে যাইতে বলিয়াছিলেন। যোনা কিন্তু ঈশ্বরের বার্তা লইয়া সেখানে যাইতে চান নি। কারণ তিনি নিশ্চিতভাবে জানিতেন যে, ঈশ্বর তাহাদের শহর ধ্বংস করিবার যে হুমকি দিতেছেন তাহা তিনি আদৌ কার্যকর করিবেন না। পরপর কতকগুলি নাটকীয় ঘটনার পর যোনা অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাঁহার আদেশ পালন করিলেন এবং পরিশেষে, যখন তিনি দেখিলেন যে, চরম প্রলয়ের বার্তা কার্যে পরিণত হইল না, তখন তিনি খুব বিরক্ত হইলেন। আপন সৃষ্টির উপরে ঈশ্বরের পূর্ণ সার্বভৌম ক্ষমতার কথাই পুস্তকটিতে ব্যক্ত হইয়াছে। কিন্তু সর্বোপরি ঈশ্বরকে এখানে প্রেমিক ও করুণাময় সদাপ্রভু ঈশ্বর রূপে চিত্রিত করা হইয়াছে। এই ঈশ্বর তাঁহার প্রজার শত্রুদেরও শাস্তি দিয়া ধ্বংস করিবার চাইতে ক্ষমা করিয়া রক্ষা করিতে বেশী যত্নবান।
বিষয়বস্তুর রূপরেখা:
যোনার আহ্বান ও অবাধ্যতা - ১:১-১৭
যোনার অনুতাপ ও উদ্ধারলাভ - ২:১-১০
নীনবীর বিরুদ্ধে যোনার বার্তা - ৩:১-১০
নীনবীর প্রতি ঈশ্বরের করুণা - ৪:১-১১