ভূমিকা
ইস্রায়েল জাতির কনান দেশ অধিকার ও কনানে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মধ্যবর্তী যুগে ইস্রায়েল জাতির ইতিহাসে আইন শৃঙ্খলাহীন জীবনের বহু কাহিনীর সমন্বয়ে বিচারকর্তৃগণের বিবরণ রচিত হইয়াছে। এই সমস্ত কাহিনী ইস্রায়েল জাতির নেতৃবৃন্দের উল্লেখযোগ্য কার্যাবলীর বিবরণ। এই নেতৃবর্গকেই বলা হইত ‘বিচারকর্তৃগণ’। ‘বিচারকর্তৃগণ’ শব্দের মূলগত অর্থে যাহা বুঝায়, ইঁহারা কিন্তু তাহা ছিলেন না। ইঁহাদের অধিকাংশই ছিলেন সেনাধ্যক্ষ বা শাসনকর্তা। ইঁহাদের মধ্যে একজন সুপরিচিত সুদক্ষ বীর যোদ্ধার নাম শিম্শোন। ইঁহার কাহিনী ১৩ হইতে ১৬ অধ্যায়ে লিপিবদ্ধ আছে।
এই পুস্তকের মহান শিক্ষা হইল এই- ইস্রায়েল জাতির অস্তিত্ব ঈশ্বরের প্রতি আনুগত্যের উপরে নির্ভরশীল ছিল। যখনই তাহারা আনুগত্য হারাইয়া বিদ্রোহী হইয়াছে, তখনই তাহাদের জীবনে বিপর্যয় নামিয়া আসিয়াছে। কিন্তু ইহা অপেক্ষা আরও বেশী কিছু, আরও বড় কথা আছে- ইস্রায়েলীয়রা ঈশ্বরের আনুগত্য ত্যাগ করিবার ফলে যখন তাহাদের উপর নিদারুণ বিপর্যয় নামিয়া আসিয়াছে, তখনও ঈশ্বর তাহাদের উদ্ধার করিতে, তাহাদের রক্ষা করিতে সর্বদা প্রস্তুত থাকিতেন, যদি তাহারা অনুতপ্ত হইয়া তাঁহার নিকটে একবার ফিরিয়া আইসে।
বিষয়বস্তুর রূপরেখা:
যিহোশূয়ের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটনাবলি - ১:১—২:১০
ইস্রায়েলীয়দের বিচারকর্তৃগণ - ২:১১—১৬:৩১
বিভিন্ন ঘটনা - ১৭:১—২১:২৫