গণনা পুস্তক 26 - কিতাবুল মোকাদ্দসবনি-ইসরাইলদের দ্বিতীয়বার আদমশুমারী 1 মহামারীর পরে মাবুদ মূসা ও হারুনের পুত্র ইমাম ইলিয়াসরকে বললেন, 2 তোমরা বনি-ইসরাইলদের সমস্ত মণ্ডলীর মধ্যে নিজ নিজ পিতৃকুল অনুসারে বিশ বছর ও তার চেয়েও বেশি বয়স্ক লোকদের, ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধে গমনযোগ্য সমস্ত লোককে গণনা কর। 3 তাতে মূসা ও ইমাম ইলিয়াসর জেরিকোর নিকটস্থ জর্ডান-সমীপে মোয়াবের উপত্যকাতে তাদেরকে বললেন, 4 বিশ বছর ও তার চেয়েও বেশি বয়স্ক লোকদের গণনা কর; যেমন মাবুদ মূসাকে ও মিসর দেশ থেকে বের হয়ে আসা বনি-ইসরাইলকে হুকুম দিয়েছিলেন। 5 রূবেণ ইসরাইলের প্রথমজাত। রূবেণের সন্তানেরা হল হনোক থেকে হনোকীয় গোষ্ঠী; পলু থেকে পলুয়ীয় গোষ্ঠী; 6 হিষ্রোণ থেকে হিষ্রোণীয় গোষ্ঠী; কর্মি থেকে কর্মীয় গোষ্ঠী। 7 এরা রূবেণীয় গোষ্ঠী; এদের মধ্যে গণনা-করা লোক তেতাল্লিশ হাজার সাত শত ত্রিশ জন। 8 আর পলুর সন্তান ইলীয়াব। 9 ইলীয়াবের সন্তান নমূয়েল, দাথন ও অবীরাম; কারুনের দল যখন মাবুদের সঙ্গে ঝগড়া করেছিল, সেই সময় তার মধ্যে মণ্ডলীর বেছে নেওয়া লোক, যে দাথন ও অবীরাম মূসা ও হারুনের সঙ্গে ঝগড়া করেছিল, এরা সেই দুই জন। 10 সেই সময়ে দুনিয়া মুখ খুলে তাদেরকে ও কারুনকে গ্রাস করেছিল, তাতে সেই দল মারা পড়লো এবং আগুন দুই শত পঞ্চাশজনকে গ্রাস করলো, আর তারা নিদর্শনস্বরূপ হল। 11 কিন্তু কারুনের সন্তানেরা মারা পড়ে নি। 12 নিজ নিজ গোষ্ঠী অনুসারে শিমিয়োনের সন্তানেরা হল নমূয়েল থেকে নমূয়েলীয় গোষ্ঠী; যামীন থেকে যামীনীয় গোষ্ঠী; যাখীন থেকে যাখীনীয় গোষ্ঠী; 13 সেরহ থেকে সেরহীয় গোষ্ঠী; তালুত থেকে তালুতীয় গোষ্ঠী। 14 শিমিয়োনীয়দের এসব গোষ্ঠীতে লোক ছিল বাইশ হাজার দুই শত। 15 নিজ নিজ গোষ্ঠী অনুসারে তাদের সন্তানেরা হল সিফোন থেকে সিফোনীয় গোষ্ঠী; 16 হগি থেকেই হগীয় গোষ্ঠী; শূনি থেকে শূনীয় গোষ্ঠী; ওষ্ণি থেকে ওষ্ণীয় গোষ্ঠী; 17 এর থেকে এরীয় গোষ্ঠী; আরোদ থেকে আরোদীয় গোষ্ঠী; অরেলি থেকে অরেলীয় গোষ্ঠী। 18 গাদের সন্তানদের এসব গোষ্ঠী গণনা করা হলে চল্লিশ হাজার পাঁচ শত লোক হল। 19 এহুদার পুত্র এর ও ওনন; এর ও ওনন কেনান দেশে ইন্তেকাল করেছিল। 20 নিজ নিজ গোষ্ঠী অনুসারে এহুদার সন্তানেরা হল শেলা থেকে শেলায়ীয় গোষ্ঠী; পেরস থেকে পেরসীয় গোষ্ঠী; সেরহ থেকে সেরহীয় গোষ্ঠী। 21 আর পেরসের এসব সন্তান; হিষ্রোণ থেকে হিষ্রোণীয় গোষ্ঠী; হামূল থেকে হামূলীয় গোষ্ঠী। 22 এহুদার এসব গোষ্ঠী গণনা করা হলে ছেয়াত্তর হাজার পাঁচ শত লোক হল। 23 নিজ নিজ গোষ্ঠী অনুসারে ইষাখরের সন্তানেরা হল তোলয় থেকে তোলয়ীয় গোষ্ঠী; পূয় থেকে পূনীয় গোষ্ঠী; 24 যাশূব থেকে যাশূবীয় গোষ্ঠী; শিম্রোণ থেকে শিম্রোণীয় গোষ্ঠী। 25 ইষাখরের এসব গোষ্ঠী গণনা করা হলে চৌষট্টি হাজার তিন শত লোক হল। 26 নিজ নিজ গোষ্ঠী অনুসারে সবূলূনের সন্তানেরা হল সেরদ থেকে সেরদীয় গোষ্ঠী; এলোন থেকে এলোনীয় গোষ্ঠী; যহলেল থেকে যহলেলীয় গোষ্ঠী। 27 সবূলূনীয়দের এসব গোষ্ঠী গণনা করা হলে ষাট হাজার পাঁচ শত লোক হল। 28 নিজ নিজ গোষ্ঠী অনুসারে ইউসুফের পুত্র মানশা ও আফরাহীম। 29 মানশার সন্তানেরা হল মাখীর থেকে মাখীরীয় গোষ্ঠী; মাখীরের পুত্র গিলিয়দ; গিলিয়দ থেকে গিলিয়দীয় গোষ্ঠী। 30 গিলিয়দের সন্তানেরা হল ঈয়েষর থেকে ঈয়েষরীয় গোষ্ঠী; হেলক থেকে হেলকীয় গোষ্ঠী; 31 অস্রীয়েল থেকে অস্রীয়েলীয় গোষ্ঠী; শেখম থেকে শেখমীয় গোষ্ঠী; 32 শিমীদা থেকে শিমীদায়ীয় গোষ্ঠী; হেফর থেকে হেফরীয় গোষ্ঠী। 33 হেফরের পুত্র যে সলফাদ, তার পুত্র ছিল না, কেবল কন্যা ছিল; সেই সলফাদের কন্যাদের নাম মহলা, নোয়া, হগ্লা, মিল্কা ও তির্সা। 34 এরা মানশার গোষ্ঠী; এদের গণনা করা লোক বাহান্ন হাজার সাত শত জন। 35 নিজ নিজ গোষ্ঠী অনুসারে আফরাহীমের সন্তানেরা হল শূথলহ থেকে শূথলহীয় গোষ্ঠী; বেখর থেকে বেখরীয় গোষ্ঠী; তহন থেকে তহনীয় গোষ্ঠী। 36 আর এরা শূথলহের সন্তান; এরণ থেকে এরণীয় গোষ্ঠী। 37 আফরাহীমের সন্তানদের এসব গোষ্ঠী গণনা করা হলে বত্রিশ হাজার পাঁচ শত লোক হল। নিজ নিজ গোষ্ঠী অনুসারে এরা ইউসুফের সন্তান। 38 নিজ নিজ গোষ্ঠী অনুসারে বিন্-ইয়ামীনের সন্তানেরা হল বেলা থেকে বেলায়ীয় গোষ্ঠী; অস্বেল থেকে অস্বেলীয় গোষ্ঠী; অহীরাম থেকে অহীরামীয় গোষ্ঠী; 39 শূফম থেকে শূফমীয় গোষ্ঠী; হূফম থেকে হূফমীয় গোষ্ঠী। 40 আর বেলার সন্তান অর্দ ও নামান; (অর্দ থেকে) অর্দীয় গোষ্ঠী; নামান থেকে নামানীয় গোষ্ঠী। 41 নিজ নিজ গোষ্ঠী অনুসারে এরা বিন্ইয়ামীনের সন্তান। এদের গণনা-করা লোক পঁয়তাল্লিশ হাজার ছয় শত জন। 42 নিজ নিজ গোষ্ঠী অনুসারে দানের এসব সন্তান; শূহম থেকে শূহমীয় গোষ্ঠী; এরা নিজ নিজ গোষ্ঠী অনুসারে দানের গোষ্ঠী। 43 শূহমীয় সমস্ত গোষ্ঠী গণনা করা হলে চৌষট্টি হাজার চার শত লোক হল। 44 নিজ নিজ গোষ্ঠী অনুসারে আশেরের সন্তানেরা হল যিম্না থেকে যিম্নীয় গোষ্ঠী; যিস্বি থেকে যিস্বীয় গোষ্ঠী; বরিয় থেকে বরিয়ীয় গোষ্ঠী। 45 এরা বরিয়ের সন্তান; হেবর থেকে হেবরীয় গোষ্ঠী; মল্কীয়েল থেকে মল্কীয়েলীয় গোষ্ঠী। 46 আশেরের কন্যার নাম সারহ। 47 আশেরের সন্তানদের এসব গোষ্ঠী গণনা করা হলে তিপ্পান্ন হাজার চার শত লোক হল। 48 নিজ নিজ গোষ্ঠী অনুসারে নপ্তালির সন্তানেরা হল যহসীয়েল থেকে যহসীয়েলীয় গোষ্ঠী; গূনি থেকে গূনীয় গোষ্ঠী; 49 যেৎসর থেকে যেৎসরীয় গোষ্ঠী; শিল্লেম থেকে শিল্লেমীয় গোষ্ঠী। 50 নিজ নিজ গোষ্ঠী অনুসারে এসব নপ্তালির গোষ্ঠী। এদের গণনা-করা লোক পঁয়তাল্লিশ হাজার চার শত জন। 51 বনি-ইসরাইলদের মধ্যে গণনা-করা এসব লোকের সংখ্যা ছয় লক্ষ এক হাজার সাত শত ত্রিশ। 52 পরে মাবুদ মূসাকে বললেন, 53 নাম ও সংখ্যা অনুসারে তাদের অধিকারের জন্য এদের মধ্যে দেশ বিভক্ত হবে। 54 যার লোক বেশি তুমি তাকে বেশি ও যার লোক অল্প, তাকে অল্প অধিকার দেবে, যার যত গণনা-করা লোক, তাকে তত অধিকার দেওয়া যাবে। 55 তবুও দেশ গুলিবাঁট দ্বারা বিভক্ত হবে; তারা নিজ নিজ পিতৃবংশের নাম অনুসারে অধিকার পাবে। 56 অধিকার বেশি অথবা অল্প তা গুলিবাঁট দ্বারাই বিভক্ত হবে। 57 নিজ নিজ গোষ্ঠী অনুসারে লেবীয়দের মধ্যে এসব লোককে গণনা করা হল; গের্শোন থেকে গের্শোনীয় গোষ্ঠী, কহাৎ থেকে কহাতীয় গোষ্ঠী, মরারি থেকে মরারীয় গোষ্ঠী। 58 লেবীয় গোষ্ঠী এসব— লিব্নীয় গোষ্ঠী, হেবরনীয় গোষ্ঠী, মহলীয় গোষ্ঠী, মূশীয় গোষ্ঠী, কারুনীয় গোষ্ঠী। 59 ঐ কহাতের পুত্র অম্রাম। ইমরানের স্ত্রীর নাম ইউখাবেজ, তিনি লেবির কন্যা, মিসরে লেবির ঔরসে তাঁর জন্ম হয়। তিনি ইমরানের জন্য হারুন, মূসা ও তাঁদের বোন মরিয়মকে প্রসব করেছিলেন। 60 হারুন থেকে নাদব ও অবীহূ এবং ইলিয়াসর ও ঈথামর জন্মগ্রহণ করেছিল। 61 কিন্তু মাবুদের সম্মুখে নাপাক আগুন নিবেদন করাতে নাদব ও অবীহূ মারা পড়েছিল। 62 তাদের মধ্যে এক মাস ও তার চেয়েও বেশি বয়স্ক পুরুষ গণনা করা হলে তেইশ হাজার জন হল; বনি-ইসরাইলদের মধ্যে তাদেরকে কোন অধিকার না দেওয়াতে বনি-ইসরাইলদের মধ্যে তাদের গণনা করা হয় নি। 63 এসব লোককে মূসা ও ইমাম ইলিয়াসর গণনা করলেন। তাঁরা জেরিকোর নিকটস্থ জর্ডান-সমীপে মোয়াবের উপত্যকাতে বনি-ইসরাইলকে গণনা করলেন। 64 কিন্তু মূসা ও ইমাম হারুন যখন সিনাই মরুভূমিতে বনি-ইসরাইলকে গণনা করেছিলেন, তখন যাদেরকে তাঁরা গণনা করেছিলেন, তাদের এক জনও এদের মধ্যে ছিল না। 65 কারণ মাবুদ তাদের বিষয়ে বলেছিলেন, তারা মরুভূমিতে মরবেই মরবে; আর তাদের মধ্যে যিফূন্নির পুত্র কালুত ও নূনের পুত্র ইউসা ছাড়া এক জনও অবশিষ্ট রইলো না। |
Kitabul Muqaddas (BACIB) Copyright © Biblical Aids to Churches in Bangladesh, 2013
Biblical Aids for Churches & Institutions in Bangladesh