আমি যখন এলাম, তখন কেউ সেখানে ছিল না কেন? আমি যখন ডাকলাম, কেউ তখন উত্তর দিল না কেন? তোমাদের মুক্তিপণ দেওয়ার জন্য আমার হাত কি খুবই খাটো ছিল? তোমাদের উদ্ধার করার জন্য আমার কি শক্তির অভাব ছিল? সামান্য একটি ধমকে আমি সমুদ্রকে শুষ্ক করি, নদনদীকে আমি মরুভূমিতে পরিণত করি; জলের অভাবে সেখানকার মাছ পচে দুর্গন্ধ হয়, তারা পিপাসায় প্রাণত্যাগ করে।
এরপরে আমি এক বিশাল সাদা রংয়ের সিংহাসন ও তার উপরে যিনি বসে আছেন, তাঁকে দেখতে পেলাম। তাঁর উপস্থিতি থেকে পৃথিবী ও আকাশ পালিয়ে গেল। তাদের জন্য আর কোনো স্থান পাওয়া গেল না।
তারপর সেখানে প্রকাশ পেল বিদ্যুতের ঝলকানি, গুরুগম্ভীর ধ্বনি, বজ্রপাত ও এক প্রচণ্ড ভূমিকম্প। পৃথিবীতে মানুষের সৃষ্টি হওয়া থেকে এমন ভূমিকম্প আর কখনও হয়নি, সেই ভূমিকম্প ছিল এমনই সাংঘাতিক।
আর সেই মুহূর্তে এক তীব্র ভূমিকম্প হল এবং সেই নগররীর এক-দশমাংশ ধসে পড়ল। সেই ভূমিকম্পে সাত হাজার মানুষ নিহত হল, আর যারা রক্ষা পেল, তারা আতঙ্কিত হয়ে স্বর্গের ঈশ্বরের গৌরব করল।
তারা কষ্টের-সাগরের মধ্যে দিয়ে যাবে; সাগরের ঢেউকে দমন করা হবে এবং নীলনদের সমস্ত গভীর জায়গা শুকিয়ে যাবে। আসিরিয়ার অহংকার ভেঙে দেওয়া হবে এবং মিশরের রাজদণ্ড দূর হয়ে যাবে।
তাতে সমুদ্রের মাছ, আকাশের পাখি, বনের পশু, মাটির উপরের চলমান প্রত্যেকটা প্রাণী আর পৃথিবীর সমস্ত লোক আমার সামনে কাঁপতে থাকবে। পাহাড়গুলি উল্টে যাবে, খাঁড়া উঁচু পাহাড় টুকরো টুকরো হয়ে পড়বে এবং সব প্রাচীর মাটিতে পড়ে যাবে।
“দেখো, আমি তোমাকে এক শস্য মাড়াই কল বানাব, নতুন এবং ধারালো, যার মধ্যে অনেক দাঁত থাকবে। তুমি পর্বতসমূহকে মাড়াই করে সেগুলি চূর্ণ করবে এবং পাহাড়গুলিকে তুষের মতো করবে।