14 সন্ধ্যাবেলা সে সেখানে যেত এবং সকালবেলা হারেমের আরেক জায়গায় যেত যেখানে রাজার নপুংসক শাশগস উপপত্নীদের যত্ন নিতেন। সে আর রাজার কাছে যেতে পারত না যদি না রাজা তার উপর খুশি হয়ে তাকে নাম ধরে ডাকতেন।
14 সে সন্ধ্যাবেলা যেত ও খুব ভোরে উপপত্নীদের রক্ষক রাজ-নপুংসক শাশ্গসের কাছে দ্বিতীয় অন্তঃপুরে ফিরে আসত; বাদশাহ্ তার উপরে খুশি হয়ে তার নাম ধরে না ডাকলে সে বাদশাহ্র কাছে আর যেত না।
14 তাকে সন্ধ্যেবেলা রাজপ্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হত ও পরের দিন সকালে অন্য একটি অন্তঃপুরে পৌঁছে দেওয়া হত, যে অন্তঃপুরে নপুংসক শাসাগসের তত্ত্বাবধানে রাজার উপপত্নীরা থাকতেন। রাজা প্রসন্ন হয়ে তার নাম ধরে না ডাকা পর্যন্ত সে আর রাজার সামনে যেতে পারত না।
14 সে সন্ধ্যাকালে যাইত, ও প্রাতঃকালে উপপত্নীদের রক্ষক রাজনপুংসক শাশ্গসের নিকটে দ্বিতীয় অন্তঃপুরে ফিরিয়া আসিত; রাজা তাহার উপরে প্রসন্ন হইয়া তাহার নাম ধরিয়া না ডাকাইলে সে রাজার নিকটে আর যাইত না।
14 সন্ধ্যায় রাজপ্রাসাদে ঢোকার পর, মেয়েটিকে পর দিন ভোরে প্রাসাদের আরেকটি অংশে, যেখানে অন্য মহিলারা থাকত সেখানে ফিরে আসতে হতো। এরপর তাকে শাশ্গস নামে আরেকজন নপুংসকের তত্ত্বাবধানে রাখা হতো। শাশ্গস ছিল রাজার উপপত্নীদের তত্ত্বাবধায়ক। যতক্ষণ পর্যন্ত না রাজা সন্তুষ্ট হয়ে স্বয়ং ঐ মেয়েদের ডেকে পাঠাতেন ততক্ষণ তারা কখনও রাজার কাছে ফিরে যেতে পারতো না।
14 সে সন্ধ্যাবেলায় যেত ও সকালে উপপত্নীদের রক্ষক রাজ নপুংসক শাশ্গসের কাছে দ্বিতীয় অন্দরমহলে ফিরে আসত; রাজা তার ওপরে খুশি হয়ে তার নাম ধরে না ডাকলে সে রাজার কাছে আর যেত না।
“রাজার সব কর্মচারীরা এবং রাজার অধীন সব রাজ্যের লোকেরা জানে যে, কোনও পুরুষ বা স্ত্রীলোক রাজার ডাক না পেয়ে যদি ভিতরের দরবারে প্রবেশ করে তাঁর কাছে যায় তবে তার জন্য মাত্র একটিই আইন আছে, সেটি হল তার মৃত্যু। তবে যে লোকের প্রতি রাজা সোনার রাজদণ্ড বাড়িয়ে দেন কেবল তার প্রাণই বাঁচে। কিন্তু গত ত্রিশ দিনের মধ্যে রাজার কাছে যাবার জন্য আমাকে ডাকা হয়নি।”
কিন্তু এখন, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ওহে যাকোব, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, ওহে ইস্রায়েল, যিনি তোমাকে গঠন করেছেন, “তুমি ভয় পেয়ো না, কারণ আমি তোমাকে মুক্ত করেছি; আমি নাম ধরে তোমাকে ডেকেছি; তুমি আমার।
যদি তুমি তার উপর সন্তুষ্ট না হও, তাকে যেখানে তার ইচ্ছা সেখানে তাকে যেতে দেবে। তুমি তাকে বিক্রি করবে না বা তাকে দাসী করবে না, কারণ তুমি তাকে অসম্মান করেছ।
সেই যুবকটি, যে তার বাবার পরিবারে সবচেয়ে বেশি সম্মানিত ছিল, সে তাদের কথামতো কাজ করতে একটুও সময় নষ্ট করেনি, কারণ যাকোবের মেয়েকে পেয়ে সে খুশি হয়েছিল।
ইষ্টেরের যখন রাজার কাছে যাবার পালা এল (মর্দখয় তাঁর কাকা অবীহয়িলের যে মেয়েকে নিজের মেয়ে হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন), তখন হারেমের তদারককারী রাজার নিযুক্ত নপুংসক হেগয় তাঁকে যা নিয়ে যেতে বলল তা ছাড়া তিনি আর কিছুই চাইলেন না। আর যে কেউ ইষ্টেরকে দেখত, সে তাঁকে অনুগ্রহ করত।