সাত মাসের মাথায় নথনিয়ের পুত্র, ইলীশামার পৌত্র ইশ্মায়েল এসেছিল গদলিয়র কাছে। ইশ্মায়েল সঙ্গে নিয়ে এসেছিল আরো দশ জনকে। ঐ দশ জন লোক, ইশ্মায়েলের সঙ্গীরা এসে ছিল মিস্পা শহরে। ইশ্মায়েল ছিল রাজপরিবারের একজন সদস্য। সে ছিল যিহূদার রাজার রাজসভার একজন সভাসদ। ইশ্মায়েল ও তার সঙ্গীরা গদলিয়র সঙ্গে এক সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেছিল।
কিন্তু নথনিয়ের পুত্র ইশ্মায়েল ছিলেন রাজপরিবারের সদস্য। এভাবে সাতমাস কাটার পর তিনি ও তাঁর দলের দশ জন মিলে গদলিয় ও সমস্ত ইহুদীদের হত্যা করলেন। মিস্পাতে গদলিয়র সঙ্গে যে সমস্ত বাবিলীয়রা বাস করছিল তারাও রক্ষা পেল না।
হেরোদ যখন দেখলেন যে সেই পণ্ডিতরা তাঁকে বোকা বানিয়েছে, তখন তিনি প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ হলেন। তিনি সেই পণ্ডিতদের কাছ থেকে যে সময়ের কথা জেনেছিলেন, সেই হিসাব মতো দু’বছর ও তার কম বয়সের যত ছেলে বৈৎলেহম ও তার আশেপাশের অঞ্চলে ছিল, সকলকে হত্যা করার হুকুম দিলেন।
এসব কাণ্ড-কারখানা দেখে যিহূদার পিতা অহসিয় বাগানবাড়ির মধ্যে দিয়ে পালানোর চেষ্টা করতে যেহূ তাঁর পিছু পিছু ধাওয়া করতে করতে বললেন, “এটাকেও শেষ করে দিই!” রথে করে যিব্লিয়মের কাছাকাছি গূরে আসতে আসতে অহসিয়ও আহত হলেন এবং মগিদ্দোতে পালিয়ে এলেও সেখানেই তাঁর মৃত্যু হল।
তাঁরা চলে যাবার পর প্রভুর এক দূত স্বপ্নে যোষেফকে দেখা দিয়ে বললেন, “ওঠো! শিশুটি ও তাঁর মাকে নিয়ে মিশরে পালিয়ে যাও। যতদিন না আমি তোমাদের বলি, তোমরা সেখানেই থেকো, কারণ এই শিশুটিকে মেরে ফেলার জন্য হেরোদ এর খোঁজ করবে।”
অবীমেলক অফ্রায় তাঁর পিতার বাড়ীতে গিয়ে ভাইদের হত্যা করলেন। গিদিয়োনের 70 জন পুত্রকে তিনি একসঙ্গে হত্যা করলেন। কিন্তু যিরুব্বালের ছোট ছেলেটি লুকিয়ে ছিল। সে পালিয়ে গেল। তার নাম যোথম।
আমি তোমাদের জীবনের জন্য তোমাদের রক্ত দাবি করব। অর্থাৎ যদি কোনও জানোয়ার কোনও মানুষকে হত্যা করে তাহলে আমি তার প্রাণ দাবী করব এবং যদি কোন মানুষ অন্য কোনও মানুষের প্রাণ নেয় আমি তারও প্রাণ দাবী করব।
এক্ষেত্রে আপনার ও আপনার পুত্র শলোমনের প্রাণের আশঙ্কা থাকতে পারে বলেই আমার ধারণা। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই, আমি আপনাকে আত্মরক্ষার একটা উপায় বলে দিচ্ছি।