23 অর্ণান দায়ূদকে বলল, “আপনিই আমার রাজা ও প্রভু। আপনার যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আপনি অবশ্যই আমার শস্য মাড়াই এর ক্ষেত্রটা নিতে পারেন। এছাড়াও আমি হোমবলির জন্য আপনাকে ষাঁড় আর গম দিচ্ছি এবং ময়দা শস্য নৈবেদ্যর জন্য আপনার যা কিছু দরকার সবই আপনাকে দেব।”
23 তখন অরৌণা দাউদকে বললো আপনি এটি গ্রহণ করুন, আমার মালিক বাদশাহ্র দৃষ্টিতে যা ভাল মনে হয়, তা-ই করুন; দেখুন আমি পোড়ানো-কোরবানীর জন্য এই ষাঁড়গুলো, কাঠের জন্য এই মাড়াই-যন্ত্র ও শস্য-উৎসর্গের জন্য এই গম দিচ্ছি, সমস্তই দিচ্ছি।
23 অরৌণা দাউদকে বললেন, “আপনি সেটি নিয়ে নিন! আমার প্রভু মহারাজের যা ইচ্ছা হয় তিনি তাই করুন। দেখুন, আমি হোমবলির জন্য বলদগুলি, কাঠের জন্য শস্য মাড়াই কলগুলি, ও শস্য-নৈবেদ্যর জন্য গমও আপনাকে দেব। এসবই আমি আপনাকে দেব।”
23 অরৌণা বলল, মহারাজ, সচ্ছন্দে আপনি এ জমি গ্রহণ করুন এবং খুশী মত এটি ব্যবহার করুন। এখানে এই বৃষগুলি আছে, বেদীতে হোমবলির জন্য এগুলি আপনি নিতে পারেন এবং ফসল মাড়াইয়ের এইসব পাটাতনগুলিও আপনি জ্বালানীর জন্য নিতে পারেন।
23 তখন অর্ণান দায়ূদকে কহিল, আপনি লউন, আমার প্রভু মহারাজের দৃষ্টিতে যাহা ভাল বোধ হয়, তাহাই করুন; দেখুন, আমি হোমবলির নিমিত্ত এই বৃষগুলি, কাষ্ঠের নিমিত্ত এই মর্দ্দনযন্ত্র, ও ভক্ষ্য-নৈবেদ্যের নিমিত্ত এই গোম দিতেছি, সমস্তই দিতেছি।
23 অর্ণান দায়ূদকে বলল, “আপনি ওটা নিন। আমার প্রভু মহারাজের যা ভাল মনে হয় তাই করুন। দেখুন, হোমবলির জন্য আমি আমার ষাঁড়গুলো দিচ্ছি, জ্বালানি কাঠের জন্য দিচ্ছি শস্য মাড়াইয়ের কাঠের যন্ত্র আর শস্য উৎসর্গের জন্য গম। আমি এই সবই আপনাকে দিচ্ছি।”
মাঠটা ছিল বৈৎ-শেমশের বাসিন্দা যিহোশূয়ের। সেই মাঠের ওপর একটা বড় পাথরের কাছে এসে গাড়ীটা থামল। বৈৎ-শেমশের লোকরা গরুর গাড়ী থেকে গাড়ীটা আলাদা করে গাভী দুটোকে মেরে ফেলল এবং সেগুলো তারা প্রভুর কাছে নিবেদন করল। লেবীয়রা প্রভুর পবিত্র সিন্দুক আর সোনার ছাঁচের থলেটা নামিয়ে আনল। তারা প্রভুর সিন্দুক আর থলেটা পাথরের ওপর রাখল। সেদিন বৈৎ-শেমশের লোকরা প্রভুকে হোমবলি নিবেদন করল।
“প্রভু যা বলেছিলেন তাই ঘটল। আমার খুড়তুতো ভাই হনমেল রক্ষীদের উঠোনে আমার কাছে এলো এবং বলল, ‘যিরমিয় তুমি আমার অনাথোত শহরের কাছে বিন্যামীন পরিবারগোষ্ঠীর সীমানার অন্তর্ভুক্ত জমিটা কিনে নাও। এটা তোমার অধিকার ও দায়িত্ব। তাই তুমি তোমার জন্য জমিটা কিনে নাও।’” সুতরাং আমি জানতাম যে প্রভুর বার্তা কি ছিল।
ইলীশায় তখন বাড়িতে গিয়ে আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে দারুণ খাওয়া-দাওয়া করলেন। তাঁর গরুগুলোকে মেরে যোয়ালের কাঠ জ্বালিয়ে মাংস সেদ্ধ করে লোকদের খাওয়ালেন এবং নিজেও খেলেন। তারপর ইলীশায় এলিয়কে অনুসরণ করলেন এবং তাঁর পরিচর্য্যা করতে লাগলেন।
দায়ূদ বললেন, “তোমার খামার বাড়িটা আমায় বেচে দাও। যা দাম লাগে আমি দেব। তারপর আমি এখানে প্রভুর উপাসনার জন্য একটি বেদী বানাব। তাহলে এই মহামারী বন্ধ হবে।”
কিন্তু রাজা দায়ূদ উত্তর দিলেন, “না, তা সম্ভব নয়। আমি তোমার থেকে বিনামূল্যে কিছু নিয়ে তা প্রভুকে দিতে পারব না। আমি ঈশ্বরকে এমন কিছুই দেব না যার জন্য আমায় দাম দিতে হবে না। তোমাকে আমি এ সব কিছুর পুরো দাম দেব।”