“একজন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে যাওয়ার পর, সেই স্ত্রী যদি অন্য এক পুরুষের সঙ্গে পুনরায় ঘর বাঁধে, তাহলে কি সেই স্বামী আবার তার প্রাক্তন স্ত্রীর কাছে ফিরে যায়? না। কিন্তু সে যদি ঐ মহিলাটির কাছে আবার ফিরে যায় তাহলে সেই দেশ অপবিত্র হয়ে যাবে। যিহূদা তুমিও পতিতার মতো, তুমি এত জন প্রেমিকদের (মূর্ত্তির) সঙ্গে ছিলে, তুমি কি এখন আমার কাছে ফিরে আসবে?” এই ছিল প্রভুর বার্তা।
প্রভু বলেন, “ইস্রায়েলবাসীরা, তোমরা বল যে আমি তোমাদের মা, জেরুশালেমের সঙ্গে বিবাহ-বিচ্ছেদ করেছি। কিন্তু কোথায় সেই প্রমাণপত্র, যা সম্পর্ক ছিন্ন হবার কথা প্রমাণ করে? আমার ছেলেরা, আমি কি কারো কাছে অর্থ ঋণ করেছিলাম? ঋণ শোধ করবার জন্য আমি কি তোমাদের বিক্রি করেছি? না! তোমরা নিজেদের খারাপ কাজের জন্য বিক্রি হয়েছিলে। তোমাদের খারাপ কাজের জন্য তোমাদের মা (জেরুশালেম) অনেক দূরে চলে গেছে।
তারা অবশ্যই লোকটির জন্য 40 আউন্স রৌপ্য জরিমানা করবে। সেই টাকা যেন মেয়েটির পিতাকে দেওয়া হয়, কারণ মেয়েটির স্বামী একজন ইস্রায়েলীয় কুমারীর উপর দুর্নাম এনেছে। আর সেই মেয়েটি সেই লোকটির স্ত্রী হয়েই থাকবে। সেই লোকটি তার জীবনকালে তাকে বিবাহ বিচ্ছেদ দিতে পারবে না।
তখন কয়েকজন ফরীশী তাঁর কাছে এসে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “একটি লোকের পক্ষে তার স্ত্রীকে ত্যাগ করা কি আইনত ঠিক?” তাঁরা তাঁকে পরীক্ষা করার জন্যই এই কথা জিজ্ঞাসা করলেন।
কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, একমাত্র যৌনপাপের দোষ ছাড়া অন্য কোন কারণে কেউ যদি তার স্ত্রীকে ত্যাগ করে, তবে সে তাকে ব্যাভিচারিণী হবার পথে নামিয়ে দেয়। আর যে কেউ স্ত্রীকে বিয়ে করে সেও যৌনপাপ করে।
“যে কেউ নিজের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করে অন্য কোন স্ত্রীলোককে বিয়ে করে, সে ব্যভিচার করে; আর যে সেই পরিত্যক্তা স্ত্রীকে বিয়ে করে সেও ব্যভিচার করে।”
এখন আমি অন্য সমস্ত লোকদের বলি, আমি বলছি, প্রভু নয়। যদি কোন খ্রীষ্টানুসারী ভাইয়ের অবিশ্বাসী স্ত্রী থাকে আর সেই স্ত্রী তার সঙ্গে থাকতে রাজী থাকে, তবে সেই স্বামী যেন তাকে পরিত্যাগ না করে।