13 তবে প্রত্যেক লোকের নিজস্ব কাজ স্পষ্টরূপে প্রকাশ পাবেই। সেই বিচারের দিন তা প্রকাশ করে দেবে, কারণ সেই দিনটি আসবে আগুন নিয়ে আর সেই আগুনই প্রত্যেকের কাজ কি রকম তা যাচাই করবে।
13 তবে প্রত্যেক ব্যক্তির কর্ম প্রকাশিত হবে। কারণ বিচারের দিনই তা প্রকাশ করবে, কেননা সেই দিনের প্রকাশ অগ্নির মধ্য দিয়েই হবে; আর প্রত্যেকের কর্ম যে কি প্রকার, সেই অগ্নিই তার পরীক্ষা করবে।
13 তার কাজের যথার্থ রূপ প্রকাশ করা হবে, কারণ সেদিনই তা আলোতে প্রকাশ করবে। আগুনের মাধ্যমে তা প্রকাশিত হবে এবং আগুন প্রত্যেক মানুষের কাজের গুণমান যাচাই করবে।
এসব দুঃখ কষ্ট আসে কেন? এরা আসে যাতে তোমাদের বিশ্বাস খাঁটি বলে প্রমাণিত হয়। যে সোনা ক্ষয় পায় তাকেও আগুনে পুড়িয়ে খাঁটি করা হয়, আর তোমাদের খাঁটি বিশ্বাস তো সেই সোনার চাইতেও মূল্যবান। বিশ্বাসের পরীক্ষায় যদি দেখা যায় যে তোমাদের বিশ্বাস অটল আছে, তবে যীশু খ্রীষ্টের পুনরাগমনের সময় তোমরা কত না প্রশংসা, গৌরব ও সম্মান পাবে।
আমি দেখলাম, ক্ষুদ্র অথবা মহান সমস্ত মৃত লোক সেই সিংহাসনের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। পরে কয়েকটি গ্রন্থ খোলা হল এবং আরও একটি গ্রন্থ খোলা হল। সেই গ্রন্থটির নাম জীবন পুস্তক। সেই গ্রন্থগুলিতে মৃতদের প্রত্যেকের কাজের বিবরণ লিপিবদ্ধ ছিল এবং সেই অনুসারে তাদের বিচার হল।
তাই যথার্থ সময়ের আগে অর্থাৎ প্রভু আসার আগে, তোমরা কোন কিছুর বিচার করো না। আজ যা কিছু অন্ধকারে লুকানো আছে তিনি তা আলোতে প্রকাশ করবেন; আর তিনি মানুষের মনের গুপ্ত বিষয় জানিয়ে দেবেন।
প্রিয় বন্ধুরা, তোমাদের যাচাই করার জন্য যে কষ্টের আগুন তোমাদের মধ্যে জ্বলছে, তাতে তোমরা আশ্চর্য হয়ো না। কোন অদ্ভুত কিছু তোমাদের জীবনে ঘটছে বলে মনে করো না।
কিন্তু প্রভুর দিন চোরের মত এসে চমকে দেবে। তখন আকাশ বিরাট শব্দ করে অদৃশ্য হবে; আকাশের সব কিছু আগুনে ধ্বংস করা হবে এবং পৃথিবী ও তার মধ্যে যা কিছু আছে তা পুড়িয়ে ফেলা হবে।
তখন আমি ঐ অবশিষ্ট এক তৃতীয়াংশ লোকদের পরীক্ষা করব। আমি তাদের বিভিন্ন সংকটে ফেলব। সেগুলো হবে তাদের অগ্নিপরীক্ষার মত ঠিক যেমন লোকে আগুন ব্যবহার করে রূপোকে খাঁটি করতে অথবা সোনা খাঁটি কিনা তা পরীক্ষা করতে। তখন তারা আমার নামে ডাকবে আর আমি তাদের ডাকে সাড়া দেব। আমি বলব, ‘তোমরা আমার লোক।’ আর তারা বলবে, ‘প্রভু আমাদের ঈশ্বর।’”
কিন্তু তুমি কঠিনমনা লোক ও অবাধ্য। তুমি পরিবর্তিত হতে চাও না, তাই তুমিই তোমার দণ্ডকে ঘোরতর করে তুলছ। ঈশ্বরের ক্রোধ প্রকাশের দিনে তুমি সেই দণ্ড পাবে, যে দিন লোকে ঈশ্বরের ন্যায়বিচার দেখতে পাবে।
“দেওয়াল সরল কিনা তা জানার জন্য মানুষ এক ওলন দড়ি ব্যবহার করে। ঠিক একইভাবে কোনটা ঠিক তা দেখানোর জন্য আমি বিচার এবং ধার্ম্মিকতাকে ব্যবহার করব। তোমরা শয়তান মানুষরা যারা মিথ্যা এবং কৌশলের পিছনে লুকোতে চাও তারা শাস্তি পাবে। কোন ঝড় অথবা বন্যা আসছে তোমাদের লুকিয়ে থাকার স্থান ধ্বংস করতে।
শিক্ষামালা এবং চুক্তি তোমাদের মেনে চলা উচিৎ। তোমরা এই আদেশগুলো না মানলে তোমাদের হয়তো ভুল আদেশ অনুসরণ করতে হবে। গুণীন এবং গণৎকারদের কাছ থেকে যে আদেশ ও উপদেশ আসে সেগুলো ভুল। এর কোন মূল্য নেই। এই আদেশ মেনে চললে তোমাদের কিছু লাভ হবে না।
খড় আর গম যেমন এক জিনিস নয়, তেমনি ভাববাদীদের স্বপ্নাদেশ আর আমার বার্তাও এক নয়। কেউ যদি নিজেদের দেখা স্বপ্নকে বলে বেড়াতে চায় তা সে বলুক। কিন্তু একজন লোক যদি আমার বার্তা শোনে, তাকে সে কথা সত্যি করে বলতে হবে।” এই হল প্রভুর বার্তা।
“কিন্তু তিনি যখন আসবেন তখন কে তা সহ্য করতে পারবে? আর তিনি দর্শন দিলে কে উঠে দাঁড়াতে পারবে? কারণ তিনি শোধন করার আগুনের মত ও ধোপার ক্ষারযুক্ত সাবানের মত।
সেই সুসমাচার প্রচার করি বলে আমি কষ্টভোগ করছি; কিন্তু তাতে আমি লজ্জা বোধ করি না। যাঁকে আমি বিশ্বাস করেছি তাঁকে আমি জানি। তিনি যা কিছুর ভার আমার ওপর তুলে দিয়েছেন, তা যে তিনি সেই মহাদিনটি পর্যন্ত রক্ষা করতে পারেন এই বিষয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই।
এখন অবধি সঠিক জীবনযাপন করার জন্য আমার জন্য এক বিজয় মুকুট তোলা আছে, সেই ন্যায়পরায়ণ বিচারক প্রভু সেই মহাদিনে আমাকে তা দেবেন। হ্যাঁ, সেই মুকুট তিনি আমায় দেবেন। কেবল আমাকে নয়, বরং যত লোক তাঁর পুনরাগমণের জন্য ভালোবাসার সাথে অধীরভাবে প্রতীক্ষা করেছে, এ মুকুট তাদের সকলকে দেবেন।
আমরা যেন একত্র সমবেত হওয়ার অভ্যাস ত্যাগ না করি, যেমন কেউ কেউ সেইরকম করছে। কিন্তু এস, আমরা পরস্পরকে উৎসাহ ও চেতনা দিই। তোমরা যতই সেই দিন এগিয়ে আসতে দেখছ, ততই এ বিষয়ে আরো বেশী করে উদ্যোগী হও।
ঈশ্বরের বাক্য অনুসারে বর্তমান এই পৃথিবী ও আকাশমণ্ডল আগুনের দ্বারা ধ্বংস হবার জন্য বিরাজ করছে। এই আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী সেই বিচারের দিনের জন্য, অধার্মিক মানুষের ধ্বংসের জন্য রক্ষিত আছে।