5 ফসল কাটার পর যে সমস্ত শস্য নিজেরাই জন্মেছে, তোমরা অবশ্যই তাদের কাটবে না। যে সমস্ত দ্রাক্ষালতা ছাঁটা হয়নি সেখান থেকে তোমরা অবশ্যই দ্রাক্ষা সংগ্রহ করবে না। জমি এক বছর বিশ্রামে থাকবে।
তখন প্রভু হিষ্কিয়কে বললেন, “আমি তোমাকে একটি চিহ্ন দেখাব। সেই চিহ্ন প্রমাণ করবে যে এই কথাগুলি সত্যি। তোমরা বীজ বপন করতে সক্ষম ছিলে না, অতএব এই বছর তোমরা গত বছরের শস্য থেকে আপনিই জমানো শস্য খাবে। কিন্তু তিন বছরেই তুমি তোমার নিজের কোন বীজ থেকেই খাবার মতো ফসল পাবে। তুমিই সেই বীজগুলি লাগাবে এবং যথেষ্ট পরিমাণে খাদ্যশস্য পাবে। তুমি দ্রাক্ষাগাছ রোপণ করবে এবং তার ফল খাবে।
এটি হবে তোমার পক্ষে একটি চিহ্নস্বরূপ। এবছর তুমি মাঠে যে শস্য আপনিই জন্মায় তাই খাবে। পরের বছর তুমি বীজ থেকে যে শস্য হয় তাই খাবে। আর তার পরের বছর, তৃতীয় বছরে তুমি তোমার নিজের বোনা বীজের শস্য থেকে খেতে পারবে। এর থেকেই, আমি যে তোমার সহায় তা প্রমাণিত হবে। তুমি দ্রাক্ষা ক্ষেতে গাছ পুঁতে সেই দ্রাক্ষা নিজে খাবে।
কিন্তু সপ্তম বছরে প্রভুকে সম্মান জানানোর জন্য তোমরা জমিকে বিশ্রাম দেবে। এই সময় তোমরা তোমাদের ক্ষেতে বীজ বপন করবে না অথবা তোমাদের দ্রাক্ষা ক্ষেতে গাছগুলি ছাঁটবে না।
“কিন্তু জমি এক বছরের বিশ্রামে থাকাকালীন যা উৎপন্ন হবে তাতে তোমাদের জন্য, তোমাদের পুরুষ এবং মহিলা ভৃত্যদের খাবার জন্য প্রচুর খাদ্য থাকবে। তোমাদের জনখাটা ভাড়াটে শ্রমিকদের জন্য, তোমাদের দেশে বসবাস করা বিদেশীদের জন্য
তোমাদের পক্ষে 50তম বছরটি হবে জুবিলীর বছর। তোমরা বীজ বপন করবে না। যে সমস্ত শস্য নিজে নিজেই হবে, সেগুলি কাটবে না। যে সব দ্রাক্ষালতা ছাঁটা হয় না তাদের থেকে দ্রাক্ষা ফল সংগ্রহ করবে না।