15 “বিচারের ব্যাপারে তোমরা অবশ্যই পক্ষপাতহীন হবে। তোমরা অবশ্যই দরিদ্র মানুষের প্রতি বিশেষ পক্ষপাতিত্ব দেখাবে না। এবং তোমরা অবশ্যই অতি গুরুত্বপূর্ণ লোকদেরও বিশেষ সম্মান দেখাবে না। তোমরা যখন প্রতিবেশীর বিচার করবে তখন অবশ্যই অন্যায় করবে না।
বিচার করার সময় কখনই একজন ব্যক্তিকে অন্যের থেকে বেশী গুরুত্বপূর্ণ মনে করবে না। প্রত্যেক ব্যক্তির সমান বিচার করবে। কোনো ব্যক্তির সম্পর্কেই ভীত হবে না, কারণ তোমাদের সিদ্ধান্ত ঈশ্বরের কাছ থেকে আসা সিদ্ধান্ত। কিন্তু যদি কোনো ঘটনা বিচার করা তোমাদের পক্ষে খুবই কঠিন হয়, তাহলে সেটি আমার কাছে নিয়ে এসো; এবং আমি সেটির বিচার করবো।’
তোমরা অবশ্যই অন্যায় বিচার করবে না এবং সব সময় পক্ষপাতহীন হবে। রায় দেওয়ার সময় মন পরিবর্তনের জন্য কারও কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করবে না। অর্থ অনেক জ্ঞানী লোককেও অন্ধ করে দেয় এবং একজন ভালো লোক যা বলবে তাও পরিবর্তন করে দেয়।
কিন্তু তোমাকে কিছু মানুষকে বিচারক হিসাবে এবং নেতা হিসেবে নির্বাচন করতে হবে। “কিছু ভাল মানুষ যাদের তুমি বিশ্বাস করতে পারো তাদের নির্বাচন করো—তারা ঈশ্বরকে সম্মান করবে। তাদেরই নির্বাচন করবে যারা অর্থের জন্য নিজেদের সিদ্ধান্ত বদল করবে না এবং এদের মানুষদের শাসক হিসাবে তৈরি করো। 1000 জন প্রতি, 100 জন প্রতি, 50 জন প্রতি এবং 10 জন প্রতি শাসক মনোনীত করো।
তখন পৌল অননিয়কে বললেন, “হে চুনকাম করা প্রাচীর! স্বয়ং ঈশ্বর তোমায় আঘাত করবেন। আইনসঙ্গত ভাবে আমার বিচার করার জন্য তুমি এখানে বসেছ; আর আমাকে আঘাত করার হুকুম দিয়ে তুমি মোশির বিধি-ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যাচ্ছ।”
কারণ প্রভুই হলেন তোমাদের ঈশ্বর। তিনি হলেন সকল ঈশ্বরের ঈশ্বর এবং সকল প্রভুর প্রভু। তিনি হলেন মহান, বীর্য্যবান এবং ভয়ঙ্কর ঈশ্বর। প্রভুর কাছে প্রত্যেক ব্যক্তিই সমান। প্রভু তাঁর মন পরিবর্তনের জন্য উৎকোচ নেন না।
ঈশ্বর অন্যান্য লোকদের চেয়ে নেতাদের বেশী ভালোবাসেন না। ঈশ্বর দরিদ্র লোকদের চেয়ে ধনীদের বেশী ভালোবাসেন না। কেন? কারণ ঈশ্বর প্রত্যেক মানুষকে সৃষ্টি করেছেন।