15 “এবং যদি কোন ব্যক্তি এমন প্রাণী ভক্ষণ করে যা নিজে নিজেই মরে গেছে, অথবা যদি অন্য কোন প্রাণীর দ্বারা নিহত প্রাণী ভক্ষণ করে, অবশ্যই তার কাপড়-চোপড় ধোবে এবং জল দিয়ে তার গোটা দেহ ধুয়ে ফেলবে। সেই ব্যক্তি সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে। তারপর শুচি হবে। সেই ব্যক্তিটি ইস্রায়েলের নাগরিক হোক্ বা ব্যক্তিটি তোমাদের মধ্যে বসবাসকারী একজন বিদেশী হোক্ তাতে কিছু যায় আসে না।
15 আর স্বদেশী বা বিদেশীর মধ্যে যে কেউ স্বয়ংমৃত কিংবা বন্যজন্তু কর্তৃক বিদীর্ণ পশুর গোশত ভোজন করে, সে তার কাপড় ধুয়ে ফেলবে, পানিতে গোসল করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক থাকবে; পরে পাক-সাফ হবে।
15 “ ‘স্বদেশি অথবা বিদেশি কেউ যদি কোনো মৃত অথবা বিদীর্ণ বন্যপশুর মাংস ভক্ষণ করে, তাহলে সে নিজের কাপড় অবশ্যই ধুয়ে নেবে ও জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত সে আনুষ্ঠানিকভাবে অশুদ্ধ থাকবে; পরে সে শুদ্ধ হবে।
15 আর স্বজাতীয় কিম্বা বিজাতীয়দের মধ্যে যে স্বাভাবিক ভাবে মৃত কিম্বা অন্য পশুর দ্বারা নিহত পশুর মাংস খাবে, তাকে পরিধেয় বস্ত্র ধুয়ে ফেলে স্নান করতে হবে। সন্ধ্যা পর্যন্ত তার অশৌচ থাকবে, পরে সে শুচি হবে।
15 আর স্বদেশী কি বিদেশীর মধ্যে যে কেহ স্বয়ংমৃত কিম্বা বিদীর্ণ পশু ভোজন করে, সে আপন বস্ত্র ধৌত করিবে, জলে স্নান করিবে, এবং সন্ধ্যা পর্য্যন্ত অশুচি থাকিবে; পরে শুচি হইবে।
15 আর স্বদেশী কি বিদেশির মধ্যে যে কেউ নিজে থেকে মারা যাওয়া কিংবা ছিন্ন ভিন্ন পশু খায়, সে নিজের পোশাক ধোবে, জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে; পরে শুচি হবে।
“নিজের থেকে মারা গেছে এমন কোনোও পশু তোমরা খেও না। তোমরা মৃত পশু খাবার জন্য তোমাদের শহরের কোনো বিদেশীকে দিতে পারো। অথবা তোমরা তা তার কাছে বিক্রি করতে পারো। কিন্তু তোমরা নিজেরা অবশ্যই কোনো মৃত পশু খাবে না, কারণ তোমরা প্রভু তোমাদের ঈশ্বরের। তোমরা তাঁর বিশেষ লোক। “একটি ছাগশিশুকে তারই মায়ের দুধে রান্না কোরো না।
“যদি একজন যাজক দেখে যে একটি প্রাণী নিজে নিজেই মারা গেছে বা বন্য প্রাণীদের দ্বারা নিহত হয়েছে, সে অবশ্যই সেই মৃত প্রাণীটিকে ভক্ষণ করবে না। যদি সেই ব্যক্তি সেই প্রাণীটিকে ভক্ষণ করে সে অশুচি হবে। আমিই প্রভু!
আমি তাঁকে বললাম, “মহাশয়, আপনি জানেন।” তিনি আমায় বললেন, “এরা সেই লোক যারা মহানির্যাতন সহ্য করে এসেছে; আর মেষশাবকের রক্তে নিজের পোশাক ধুয়ে শুচীশুভ্র করেছে।
তখন আমি বললাম, “হায়, প্রভু আমার সদাপ্রভু, আমি কখনও অশুচি খাবার খাইনি। রোগে মারা গেছে এমন কোন পশু বা বন্য পশুতে মেরে ফেলেছে এমন কোন পশুও আমি কখনও খাইনি। আমি শিশুকাল থেকে আজ পর্যন্ত কখনও অশুচি মাংস খাইনি। কখনই ঐসব মন্দ মাংস আমার মুখে প্রবেশ করেনি।”
এই নিয়ম তোমাদের জন্য চিরকাল চলবে। যে ব্যক্তি সেই বিশেষ জল ছিটোয সে অবশ্যই তার বস্ত্রাদিও ধোবে। যে কোনো ব্যক্তি সেই বিশেষ জল স্পর্শ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
“এরপর তৃতীয় দিনে এবং আবার সপ্তম দিনে একজন শুচি ব্যক্তি অবশ্যই একজন অশুচি ব্যক্তির ওপরে এই জল ছিটিয়ে দেবে। সপ্তম দিনে সেই ব্যক্তি শুচি হবে। সে অবশ্যই জলে তার কাপড়চোপড় ধোবে। সন্ধ্যাবেলায় সে শুচি হবে।
সুতরাং যদি কেউ নির্গমণ হয়েছে এমন কোন ব্যক্তির নীচে থাকা কোন কিছু স্পর্শ করে বা এই জিনিসগুলি বহন করে, তাহলে সে অবশ্যই তার জামাকাপড় ধোবে এবং জলে স্নান করবে। সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
যে জন্তু স্বাভাবিক ভাবে মারা গেছে অথবা অন্য জন্তুদের দ্বারা ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, তোমরা সে জন্তুর চর্বি ব্যবহার করতে পার; কিন্তু তোমরা কখনোই তা খাবে না।
এবং যে এই প্রাণীদেহ থেকে মাংস খাবে তাকে অবশ্যই তার কাপড় চোপড় ধুতে হবে। সন্ধ্যা না হওয়া পর্যন্ত এই ব্যক্তিটি অশুচি থেকে যাবে। যে ব্যক্তি প্রাণীটির মৃতদেহ তোলে তাকে অবশ্যই তার পোশাক-পরিচ্ছদ ধুতে হবে এবং সেই লোকটি সন্ধ্যা না হওয়া পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
যদি কোন ব্যক্তি তাদের মৃত দেহ সরায়, সে অবশ্যই তার পোশাক-পরিচ্ছদ ধুয়ে নেবে। সেই মানুষটি সন্ধ্যা না হওয়া পর্যন্ত অশুচি থাকবে। ঐ সমস্ত প্রাণী তোমাদের কাছে অশুচি।
“যদি ঐ সমস্ত অশুচি প্রাণীদের কোন একটা মরে কোন কিছুর ওপর পড়ে, তাহলে সেই জিনিসটিও অশুচি হবে। সেই জিনিসটি কাঠের তৈরী কোন পাত্র, কাপড়, চামড়া, শোকের পোশাক দিয়ে তৈরী কাজের কোন হাতিয়ার হতে পারে। এটা যাইহোক্ তা অবশ্যই জলে ধুতে হবে। সন্ধ্যা না হওয়া পর্যন্ত তা অশুচি থাকবে। তারপর তা আবার শুচি হবে।