2 “তোমার ভাই হারোণের সঙ্গে কথা বলো, তাকে বলো যে সে তার ইচ্ছা মত যে কোন সময়ে পর্দার পিছনে পবিত্রতম জায়গায় যেতে পারে না। চুক্তির পবিত্র সিন্দুকটি ঐ পর্দার পিছনের ঘরে আছে। ঐ পবিত্র সিন্দুকটির মাথায় আছে বিশেষ ধরণের আচ্ছাদন। আমি ঐ বিশেষ আচ্ছাদনের ওপর মেঘের মধ্যে আবির্ভূত হই। যদি হারোণ ঐ ঘরে ঢোকে সে মারা যেতে পারে।
2 মাবুদ মূসাকে এই কথা বললেন, তুমি তোমার ভাই হারুনকে বল, যেন সে মহা-পবিত্র স্থানে পর্দার ভিতরে, সিন্দুকের উপরিস্থ গুনাহ্ আবরণের সম্মুখে যেকোন সময়ে প্রবেশ না করে, পাছে তার মৃত্যু হয়; কেননা আমি ঐ গুনাহ্ আবরণের উপরে মেঘে দর্শন দেব।
2 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি তোমার দাদা হারোণকে বলো, সে যেন মহাপবিত্র জায়গায় তিরস্কারিণীর পিছনে সিন্দুকের সামনে পাপাবরণের জায়গায় যখন তখন যেন প্রবেশ না করে, অন্যথায় সে মরবে, কারণ পাপাবরণের ওপরে মেঘের মধ্যে আমি আবির্ভূত হই।
2 প্রভু পরমেশ্বর মোশিকে বললেন, তুমি তোমার ভাই হারোণকে বল, সে যেন পর্দার অন্তরালে মহাপবিত্র স্থানে চুক্তি সিন্দুকের উপরে স্থিত আবরণের সম্মুখে সব সময়ে না যায়, তাহলে সে মারা যাবে। কারণ সেই আবরণের উপরে মেঘের মধ্য থেকে আমি দর্শন দেব।
2 সদাপ্রভু মোশিকে এই কথা কহিলেন, তুমি আপন ভ্রাতা হারোণকে বল, যেন সে অতি পবিত্র স্থানে তিরস্করিণীর ভিতরে, সিন্দুকের উপরিস্থ পাপাবরণের সম্মুখে সর্ব্ব সময়ে প্রবেশ না করে, পাছে তাহার মৃত্যু হয়; কেননা আমি পাপাবরণের উপরে মেঘে দর্শন দিব।
2 সদাপ্রভু মোশিকে এই কথা বললেন, “তুমি নিজের ভাই হারোণকে বল, যেন সে অতি পবিত্র জায়গায় পর্দার ভিতরে, সিন্দুকের ওপরে অবস্থিত পাপাবরণের সামনে সব দিনের প্রবেশ না করে, পাছে তার মৃত্যু হয়; কারণ আমি পাপাবরণের ওপরে মেঘে দেখা দেব।
“বছরে একবার হারোণ প্রভুর প্রতি একটি বিশেষ পশু উৎসর্গ করবে। মানুষের পাপমোচনের উদ্দেশ্যে সে পাপ বলির রক্ত দিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করবে। পাপমোচনের নৈবেদ্যর রক্ত দিয়ে এই প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। এটি প্রভুর কাছে সবচেয়ে পবিত্র। এই দিনটি চিহ্নিত হবে প্রায়শ্চিত্তের দিন হিসেবে। এই দিনটি হবে প্রভুর কাছে একটি বিশেষ দিন।”
মহাযাজক বছরে একবার বলির যে রক্ত নিয়ে মহাপবিত্র স্থানে প্রবেশ করেন তা তার নিজের নয়। কিন্তু খ্রীষ্ট স্বর্গে প্রবেশ করেছেন মহাযাজকদের উৎসর্গের মতো বারবার নিজেকে উৎসর্গ করার জন্য নয়।
তখন প্রভু মোশিকে বললেন, “চুক্তি সিন্দুকের সামনে পবিত্র তাঁবুর ভেতরে পেছনদিকে হারোণের লাঠিটিকে রাখো। এই যে সব লোক, যারা সব সময়েই আমার বিরোধিতা করে তাদের জন্য এটি একটি সতর্কীকরণ। এতে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা বন্ধ হয়ে যাবে যার ফলে আমি তাদের ধ্বংস করব না।”
তোমরা নিশ্চয়ই এই কাজগুলো করবে যাতে কহাতের পরিবারের লোকরা পবিত্রতম স্থানের কাছে যেতে পারে এবং যাতে তাদের মৃত্যু না হয়। হারোণ ও তার পুত্ররা ভেতরে প্রবেশ করে কহাৎ পরিবারের প্রত্যেকটি লোককে তাদের কি করতে হবে এবং কি বইতে হবে তা দেখিয়ে দেবে।
“সপ্তম মাসের দশম দিনটি প্রায়শ্চিত্তের দিন, সেদিন এক পবিত্র সভা হবে। সেদিন তোমরা অবশ্যই কোন খাদ্য গ্রহণ করবে না এবং অগ্নিতে প্রদত্ত একটি নৈবেদ্য প্রভুর কাছে আনবে।
হারোণ অবশ্যই প্রভুর সামনের আগুনে সেই মিষ্টি গন্ধের ধূপের গুঁড়ো রাখবে। তারপর সুগন্ধ গুঁড়োর মেঘ চুক্তির সিন্দুকের বিশেষ আচ্ছাদনকে ঢেকে দেবে, ফলে হারোণ মারা যাবে না।
সেই সিন্দুকের ওপর ছিল সোনার দুই করূব স্বর্গদূত যা ঈশ্বরের মহিমা প্রকাশ করত। তাঁর দয়ার আসনটির ওপর ছায়া ফেলে থাকত। বর্তমানে আমরা এর খুঁটিনাটি বর্ণনা দিতে পারি না।
তাতে ঈশ্বরের মহিমা ও পরাক্রম হতে উৎপন্ন ধোঁয়ায়় মন্দিরটি পরিপূর্ণ হল। আর সেই সপ্ত স্বর্গদূতদের সপ্ত আঘাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ মন্দিরের মধ্যে প্রবেশ করতে পারল না।
“যখন ইস্রায়েলের লোকরা কোনো নতুন জায়গায় ভ্রমণে যাবে, তখন হারোণ এবং তার পুত্ররা অবশ্যই সমাগম তাঁবুতে যাবে এবং পর্দা নামিয়ে সেই পর্দা দিয়ে ঈশ্বর এবং ইস্রায়েলের লোকদের চুক্তির পবিত্র সিন্দুকটিকে ঢাকা দিয়ে রাখবে।
মন্দিরের পেছন দিকে 20 হাত দীর্ঘ একটি ঘর বানানো হয়েছিল। এই ঘরটি ছিল মন্দিরের পবিত্রতম স্থান। এই ঘরের দেওয়াল মেঝের থেকে ছাদ পর্যন্ত এরস কাঠে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল।
ইস্রায়েলের লোকদের পবিত্র করার এই বিধি চিরকালের জন্য থাকবে। ইস্রায়েলের লোকদের তাদের পাপ থেকে শুচি করার জন্য তোমরা প্রত্যেক বছরে একবার এসব করবে।” তাই মোশিকে দেওয়া প্রভুর আদেশ মতো তারা এইসব করেছিল।
কিন্তু হারোণ, কেবলমাত্র তুমি এবং তোমার পুত্ররাই যাজক হিসাবে সেবা করতে পারো। কেবলমাত্র তুমিই বেদীর কাছে যেতে পারো। পবিত্রতম স্থানের পর্দার অভ্যন্তরে একমাত্র তুমিই প্রবেশ করতে পারো। আমি দানরূপে যাজকত্ব পদ তোমাদের দিয়েছি। অন্য যে কেউই আমার পবিত্র স্থানের কাছে আসবে তাকে অবশ্যই হত্যা করা হবে।”