7 ফলত বোয়স ভোজন পান করলেন ও তাঁর অন্তঃকরণ প্রফুল্ল হলে তিনি শস্যরাশির প্রান্তে শয়ন করতে গেলেন; আর রূৎ ধীরে ধীরে এসে তাঁর পায়ের উপর থেকে চাদরটা সরিয়ে সেখানে শয়ন করলো।
7 যখন বোয়স খাওয়াদাওয়া শেষ করে খামারের এক পাশে কোনাতে শুতে গেলেন, তাঁর মন খুব খুশি ছিল। পরে রূত চুপিচুপি খামারের ভিতরে এল। তারপর বোয়সের পায়ের চাদর সরিয়ে, তাঁর পায়ের তলায় শুয়ে পড়ল।
7 ফলত বোয়স ভোজন পান করিলেন, ও তাঁহার অন্তঃকরণ প্রফুল্ল হইলে তিনি শস্যরাশির প্রান্তে শয়ন করিতে গেলেন; আর রূৎ ধীরে ধীরে আসিয়া তাঁহার চরণ অনাবৃত করিয়া শয়ন করিল।
ভোজসভার সপ্তম দিনে দ্রাক্ষারস পান করবার পর প্রফুল্ল মনে রাজা অহশ্বেরশ, মহূমন, বিস্থা, হর্বোণা, বিগ্থা, অবগথ, সেথর, কর্ক্কস প্রমুখ সাত জন পরিবেশনকারী নপুংসককে আদেশ করলেন রাণী বষ্টীকে সম্রাজ্ঞীর মুকুট পরিয়ে সেখানে নিয়ে আসতে। তিনি চাইছিলেন সভায় উপস্থিত গণ্যমান্য অতিথিদের রাণী বষ্টী তাঁর সৌন্দর্য প্রদর্শন করুন। কারণ রানী বষ্টী ছিলেন খুবই সুন্দরী।
তাই লেবীয় লোকটি ও শ্বশুরমশাই একসঙ্গে খেতে বসল। খাওয়া হয়ে যাবার পর শ্বশুর বলল, “আজকের রাতটা থেকে যাও। আরাম করো, আনন্দ করো। তারপর বিকেল হলে চলে যেও।” সুতরাং তারা দুজন একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করল।
তারপর অবশালোম তার ভৃত্যদের এই নির্দেশ দিল, “অম্নোনকে নজরে রাখ। যখন দেখবে সে দ্রাক্ষারস পান করে মেজাজে আছে তখন আমি তোমাদের নির্দেশ দেব। তোমরা অবশ্যই অম্নোনকে আক্রমণ করবে এবং হত্যা করবে। তোমরা কেউ শাস্তি পাবার ভয় করো না। সর্বোপরি তোমরা তো কেবল আমার আদেশ পালন করবে। বীরের মত সাহসী হও।”
তারপর লেবীয় লোকটি তার দাসী আর ভৃত্যের যাবার উদ্যোগ করলে শ্বশুর বলল, “এখন অন্ধকার হয়ে গেছে। দিন তো একরকম শেষ হয়ে গেছে। তাই বলছি কি, আজকের রাতটা থেকেই যাও। ভালভাবে রাতটা কাটাও। কাল সকাল সকাল উঠে চলে যেও।”
তাই আমি স্থির করেছিলাম যে জীবনকে উপভোগ করব। কেন? কারণ মানুষের পক্ষে সূর্যের নীচে প্রেয় হল খাদ্য, পানীয় ও আনন্দের মধ্যে জীবন উপভোগ করা। যাতে তারা প্রতিদিন কাজ করে জীবনকে উপভোগ করতে পারে, যা ঈশ্বর তাদের সূর্যের নীচে দিয়েছেন।
আমার থেকে বেশী আর কে জীবনকে উপভোগ করার চেষ্টা করেছে? এবং সব শেষে আমি এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম। মানুষের পক্ষে সব চেয়ে ভালো কাজ হল খাওয়া-দাওয়া করা ও তার কাজকে উপভোগ করা। আমি দেখেছিলাম ঈশ্বরকে বাদ দিয়ে জীবন উপভোগ করা সম্ভব নয়।
এদিকে, সঙ্গীদের নিয়ে লেবীয় লোকটি যখন আমোদ-ফূর্তি করছিল, তখন শহরের কিছু বদলোক বাড়িটা ঘিরে ফেলল। তারা দরজায় ধাক্কা মারতে লাগল। তারা বাড়ির মালিক ঐ বৃদ্ধ লোকটার নাম ধরে চিৎকার করতে লাগল। তারা বলল, “তোমার বাড়ি থেকে ঐ লোকটাকে বার করে দাও। আমরা ওর সঙ্গে যৌন কার্য করবো।”
লোকরা উৎসবে বেশ মেতে উঠলো। তারা বলল, “শিম্শোনকে বার করে আনো। আমরা তাকে নিয়ে মজা করব।” কারাগার থেকে শিম্শোনকে নিয়ে এসে তারা ওকে নিয়ে মজা করতে লাগল। দাগোনের মন্দিরের থামের মাঝখানে তারা শিম্শোনকে দাঁড় করাল।
ভৃত্যরা যোষেফের টেবিল থেকে খাবার এনে তাদের দিচ্ছিল। তবে ভৃত্যরা বিন্যামীনকে অন্যদের চাইতে পাঁচগুণ বেশী খাবার দিল। ভাইরা যোষেফের সঙ্গে খেল, পান করল যে পর্যন্ত না তারা প্রায় মত্ত হয়ে গেল।