20 যে ব্যক্তি পাপ করে কেবল সেই মারা যাবে। পুত্রকে তার পিতার পাপের জন্য শাস্তি ভোগ করতে হবে না; আবার পিতাকেও তার পুত্রের পাপের শাস্তি ভোগ করতে হবে না। ভাল লোকের ধার্মিকতা তার নিজের হাতে; তেমনই মন্দ লোকের মন্দতাও কেবল তারই অধিকারগত।
20 যে প্রাণী গুনাহ্ করে, সেই মরবে; পিতার অপরাধ পুত্র বহন করবে না; ও পুত্রের অপরাধ পিতা বহন করবে না; ধার্মিকের ধার্মিকতা তার উপরে বর্তাবে ও দুষ্টের নাফরমানী তার উপরে বর্তাবে।
20 যে পাপ করবে সেই মরবে। ছেলে বাবার দোষের জন্য শাস্তি পাবে না আর বাবাও ছেলের দোষের জন্য শাস্তি পাবে না। ধার্মিক ধার্মিকতার ফল পাবে আর দুষ্ট দুষ্টতার ফল পাবে।
20 অতএব যে পাপ করবে, তার মৃত্যু অনিবার্য। পিতার পাপে পুত্র বা পুত্রের পাপে পিতার দণ্ড কখনই হবে না। সৎ ব্যক্তি তার সৎকর্মের জন্য পুরস্কৃত হবে এবং অসৎ ব্যক্তি তার অসৎ কর্মের জন্য দণ্ডিত হবে।
20 যে প্রাণী পাপ করে, সেই মরিবে; পিতার অপরাধ পুত্র বহন করিবে না, ও পুত্রের অপরাধ পিতা বহন করিবে না; ধার্ম্মিকের ধার্ম্মিকতা তাহার উপরে বর্ত্তিবে, ও দুষ্টের দুষ্টতা তাহার উপরে বর্ত্তিবে।
20 যে কেউ পাপ করে, সে মরবে; বাবার অপরাধ ছেলে বহন করবে না ও ছেলের অপরাধ বাবা বহন করবে না; ধার্ম্মিকের ধার্ম্মিকতা তার ওপরে আসবে ও দুষ্টের দুষ্টতা তার ওপরে আসবে।
কিন্তু এই সমস্ত ঘাতকদের হত্যা করলেও তিনি তাদের সন্তানদের নিষ্কৃতি দিয়েছিলেন কারণ মোশির বিধিপুস্তকে লিখিত আছে: “সন্তানের অপরাধের জন্য পিতামাতাকে যেমন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে না, তেমনই পিতামাতার অপরাধের জন্য কোন সন্তানের মৃত্যুদণ্ড দেওয়াও ঠিক নয়। কোন ব্যক্তিকে শুধুমাত্র তার কৃত কোন অপরাধের জন্যই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে।”
“সন্তান দোষ করলে পিতামাতার বা পিতামাতা দোষ করলে তার জন্য সন্তানের প্রাণদণ্ড দেওয়া যাবে না। কোন ব্যক্তিকে কেবল তার নিজের করা অন্যায়ের জন্যই প্রাণদণ্ড দেওয়া যাবে।
কিন্তু অমৎসিয় এইসব ব্যক্তিদের সন্তানদের হত্যা করেন নি। কারণ তিনি মোশির পুস্তকে লেখা বিধি অনুযায়ী কাজ কর়েছিলেন। প্রভু আদেশ দিয়েছিলেন, “সন্তানদের অপরাধের জন্য যেমন অভিভাবকদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে না, ঠিক একই রকমভাবে পিতামাতার কোনো অপরাধের জন্য কোন সন্তানকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া ঠিক হবে না। কোন ব্যক্তিকে কেবলমাত্র তার কৃত কোন কুকর্মের জন্যই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যেতে পারে।”
আপনি স্বর্গ থেকে সেকথা শুনে তার যথাযথ বিচার করবেন। যদি সে ব্যক্তি অপরাধী হয় তবে আমাদের তার প্রমাণ দেবেন। যদি সে ব্যক্তি নির্দোষ হয় তাহলে তার প্রমাণও দেবেন।
আমি দেখলাম, ক্ষুদ্র অথবা মহান সমস্ত মৃত লোক সেই সিংহাসনের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। পরে কয়েকটি গ্রন্থ খোলা হল এবং আরও একটি গ্রন্থ খোলা হল। সেই গ্রন্থটির নাম জীবন পুস্তক। সেই গ্রন্থগুলিতে মৃতদের প্রত্যেকের কাজের বিবরণ লিপিবদ্ধ ছিল এবং সেই অনুসারে তাদের বিচার হল।
প্রভু হারোণকে বললেন, “পবিত্র স্থানের বিরুদ্ধে যে কোনোরকম ভুল কাজের জন্য তুমি, তোমার পুত্ররা এবং তোমার পিতার পরিবারের সকল ব্যক্তি দায়ী থাকবে। যাজকগণের বিরুদ্ধে যে কোনোরকম ভুল কাজের জন্যে তুমি এবং তোমার পুত্ররা দায়ী থাকবে।
আমি তার সন্তানদের ওপর মহামারী এনে তাদের মেরে ফেলব, তাতে সমস্ত মণ্ডলী জানতে পারবে, আমিই একজন যে সমস্ত লোকের মন ও হৃদয় সকল জানি। তোমরা প্রত্যেকে যা করেছ তার প্রতিফল আমি তোমাদের প্রত্যেককে দেব।
“যদি কোন ব্যক্তি পাপ করে এবং প্রভুর আজ্ঞাগুলির কোন একটি লঙ্ঘন করে, এমনকি যদি সে তা না জেনে করে থাকে, সে দোষী সাব্যস্ত হবে এবং তার পাপের জন্য দায়ী হবে।
“সুতরাং হে মনুষ্যসন্তান, আমার হয়ে ইস্রায়েলের পরিবারের কাছে কথা বল। ঐ লোকেরা হয়তো বলবে, ‘আমরা পাপ করেছি ও বিধি অমান্য করেছি। আমাদের পাপ বহনের পক্ষে অত্যন্ত ভারী। ঐ পাপের জন্য আমরা ক্ষয় পাচ্ছি। বাঁচতে হলে আমরা কি করব?’
তার আত্মা বহু কষ্ট পেলেও সে অনেক ভালো জিনিস ঘটা দেখতে পাবে। সে যেসব জিনিস শিখেছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট হবে। প্রভু বলেন, “আমার ভালো দাসটি অনেক মানুষকে ধার্মিক করবে। সে তাদের অপরাধের দরুণ শাস্তি ভোগ করবে।
“কোন মানুষ একটি সতর্কবাণী শুনেছে অথবা একজন মানুষ এমন কিছু শুনে বা দেখে থাকতে পারে যা অন্য লোকদের বলা উচিৎ। যদি সেই লোকটি যা দেখেছে বা শুনেছে তা লোকদের না বলে, তা হলে সে এই পাপের জন্য দোষী হবে।
ক্রুশের ওপরে তিনি নিজ দেহে আমাদের সমস্ত পাপের বোঝা বইলেন, যেন আমরা আমাদের পাপের দিক থেকে মৃত হয়ে ধার্মিকতার জন্য জীবনযাপন করি। তাঁর দেহের ক্ষত দ্বারা তোমরা সুস্থতা লাভ করেছ।
বহুলোকের পাপের বোঝা তুলে নেবার জন্য খ্রীষ্ট একবার নিজেকে উৎসর্গ করলেন; তিনি দ্বিতীয়বার দর্শন দেবেন, তখন পাপের বোঝা তুলে নেবার জন্য নয়, কিন্তু যারা তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে তাদের পরিত্রাণ দিতে তিনি আসবেন।
সেই দুষ্ট সন্তান সুদের লোভে ঋণ দিয়ে সুদ দিতে বাধ্য করতে পারে। সে ক্ষেত্রে সেই দুষ্ট পুত্র বাঁচবে না। সে জঘন্য কাজ করেছে বলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। এবং তার মৃত্যুর জন্য সেই দায়ী হবে।
কারণ ইস্রায়েল পরিবার, আমি প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার কর্মানুসারে বিচার করব।” প্রভু আমার সদাপ্রভু বলেন, “তাই আমার কাছে ফিরে এস, মন্দ কাজ আর করো না! ঐসব ভয়ঙ্কর মূর্ত্তি যেন তোমাদের পাপে না ফেলে।
তখন তুমি যেখানে বাস কর সেই স্বর্গ থেকে তার ডাকে সাড়া দিয়ে তার অপরাধ ক্ষমা করো। তুমি তো ঈশ্বর, সবার হৃদয় ও মনের কথা তুমি জানো তাই যার যা প্রাপ্য তাকে তাই দিও।
ইস্রায়েলের সমস্ত লোক কাঁদতে কাঁদতে ওকে সমাধিস্থ করবে। যারবিয়ামের পরিবারে একমাত্র তোমার পুত্রকেই কবরে সমাধিস্থ করা হবে। কারণ যারবিয়ামের পরিবারে একমাত্র প্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বর তুষ্ট ছিলেন।
“সেই ছাগলটিকে পবিত্র স্থানে খাওয়া তোমাদের উচিৎ ছিল। এটা অত্যন্ত পবিত্র। কেন তোমরা প্রভুর সামনে তা খেলে না? প্রভু তোমাদের তা দিয়েছিলেন লোকদের দোষের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য, লোকদের পবিত্র করার জন্য।
“তারপর বাম পাশ ফিরে শুয়ে পড়। তুমি এমন আচরণ করবে যাতে দেখাবে যে ইস্রায়েলের পাপ তোমার ঘাড়ে। সেই দোষ তুমি তত দিন ধরেই বইবে যত দিন বাম পাশ ফিরে শুয়ে থাকবে।
যদিও নোহ, দানিয়েল ও ইয়োব সেখানে বাস করেছিল তবু আমি সেই দেশকে শাস্তি দেব। ঐসব মানুষ তাদের ধার্মিকতার জন্য প্রাণে বেঁচেছিল, কিন্তু তারা সমস্ত দেশ বাঁচাতে পারেনি।” প্রভু আমার সদাপ্রভু এইসব বলেছিলেন।
যদি নোহ, দানিয়েল ও ইয়োব সেখানে বাস করত তবে আমি ওই তিনজন ধার্মিককে বাঁচাতাম। ঐ তিন ব্যক্তি তাদের নিজের প্রাণ বাঁচাত। কিন্তু আমার জীবনের দিব্য তারা অন্য লোকদের প্রাণ বাঁচাতে পারত না। তাদের নিজের ছেলেমেয়েদেরও না! সেই মন্দ দেশ ধ্বংস হতোই।” প্রভু আমার সদাপ্রভু ঐসব কথা বলেছেন।
“‘কিন্তু এও হতে পারে যে প্রহরীটি শত্রু সৈন্য দেখেও শিঙা বাজায়নি। সেই প্রহরীটি লোকদের সাবধান করে দেয় নি। সৈন্যরা যদি লোকদের বন্দী করে নিয়ে যায় তাহলে সেটা তাদের পাপের কারণেই হবে কিন্তু সেক্ষেত্রে তাদের মৃত্যুর জন্য প্রহরী দায়ী হবে।’