8 তাই, এখন, হে বিলাসলালিত রমণী আমার কথা শোন! তুমি নিজেকে নিরাপদ ভেবে নিজের সঙ্গে কথা বলে চলেছ। ‘আমিই একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ মহিলা। আর কেউই আমার মতো গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমি কখনও বিধবা হব না। আমার সর্বদা ছেলে মেয়ে থাকবে।’
8 অতএব এখন, হে বিলাসিনী! তুমি এই কথা শোন, তুমি নির্ভয়ে বসে আছ, মনে মনে বলছো, আমিই আছি, আমা ভিন্ন আর কেউ নেই, আমি বিধবা হয়ে বসবো না, সন্তান হারাবার ব্যথা পাব না।
8 “তাহলে এখন, ওহে বিলাসিনী শোনো, তোমার নিশ্চিন্ত আসনে বসে তুমি মনে মনে ভাবছ, ‘একা আমি, আমি ছাড়া আর কেউ নেই। আমি কখনও বিধবা হব না, কিংবা আমার ছেলেমেয়েরা মারা যাবে না।’
8 এখন শোন হে প্রমোদ বিলাসিনী! দিন যাপন করছ তুমি নিশ্চিন্ত আরামে, ভেবেছ, তুমি নিরাপদ । তোমার দাবী, তুমি ঈশ্বরের মত মহান—আর কেউ নেই তোমার মত ভেবেছ, বৈধব্য কখনও আসবে না তোমার জীবনে অথবা জানবে না কখনও সন্তান বিয়োগের তীব্র বেদনা।
8 অতএব এখন, হে বিলাসিনি! ইহা শুন, তুমি নির্ভয়ে বসিয়া আছ, মনে মনে কহিতেছ, আমিই আছি, আমা ভিন্ন আর কেহ নাই, আমি বিধবা হইয়া বসিব না, সন্তান-বিরহ জ্ঞাত হইব না।
8 তাই এখন এটা শোনো, তুমি একজন ভোগবিলাসিনী, যে নিরাপদে বসে আছে, তুমি যে হৃদয়ে বল, “আমি ছাড়া আর এখানে কেউ নেই আমার মতো। আমি কখনও বসবো না বিধবার মতো কিম্বা সন্তান হারাবার অভিজ্ঞতা হবে না।”
নীনবী এখন খুব গর্বিত। এটি একটি সুখী নগর। নগরের জনসাধারণ ভাবছে তারা নিরাপদে আছে। তারা ভাবছে, পৃথিবীর মধ্যে নীনবীই হচ্ছে সেই মহান জায়গা। কিন্তু এই দেশটি ধ্বংস হবে। নগরটি এমন একটি খালি জায়গা হয়ে যাবে যেখানে বন্য প্রাণীরাই বিশ্রাম নিতে যায়। লোকেরা যারা ঐ জায়গা দিয়ে যাবে তারা যখন দেখতে পাবে কি বিশ্রীভাবে ঐ শহরটি ধ্বংস হয়েছিল তখন তারা শিষ দেবে আর অবাক হয়ে মাথা নাড়াবে।
“বাবিল তোমরা উল্লসিত এবং খুশী। তোমরা আমার দেশ অধিকার করেছ। শস্য ক্ষেত্রগুলিতে ছোট ছোট গরুর মত তোমরা চারিদিকে নৃত্য করে বেড়াচ্ছ। তোমাদের উল্লাস যেন ঘোড়ার সুখী ডাকের মতো।
তুমি বাজে কাজ করেও নিজেকে নিরাপদ মনে কর। তুমি নিজে নিজে মনে কর, ‘আমার অপকর্ম কেউ দেখতে পায় না।’ তুমি মনে কর তোমার বিচক্ষণতা ও জ্ঞান তোমাকে বাঁচাবে। তুমি মনে মনে ভাব, ‘আমিই অনন্যা। কেউ আমার মতো গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
যা কিছু ঈশ্বর নামে আখ্যাত ও উপাসনার যোগ্য সে তার বিরোধিতা করবে ও সবার উপরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে। এমনকি সেই পাপ পুরুষ ঈশ্বরের মন্দিরে গিয়েও সেখানে আসন করে নেবে এবং ঘোষণা করবে যে সে ঈশ্বর।
তোমরা একটি পাত্রের নীচে পুড়ছে এমন একটি কাঁটাঝোপের মত সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হবে। শুকনো আগাছাগুলি যেভাবে তাড়াতাড়ি আগুনে পুড়ে যায়, সেই ভাবেই তোমরা খুব তাড়াতাড়ি ধ্বংস হবে।
“উত্তরের রাজা যা চায় তাই করতে পারবে। সে নিজেই নিজের কাজের বড়াই করে বেড়ায়। সে নিজের প্রশংসায় নিজে এতোই অন্ধ যে নিজেকে সে ঈশ্বরের থেকেও বড় মনে করে। সে যা বলে তা আর কেউ কোনদিন শোনেনি। সে ঈশ্বর সম্পর্কে যা তা বলে বেড়ায়। যতক্ষণ পর্যন্ত না ঈশ্বর স্থির করবেন যে এই ভয়ানক সময় শেষ হবে, উত্তরের রাজা এ ব্যাপারে সফল হবেন। কারণ কি ঘটতে যাচ্ছে তা ঈশ্বর পূর্বেই পরিকল্পনা করে রেখেছেন।
তার বদলে আপনি স্বর্গের ঈশ্বরের বিরুদ্ধাচরণ করেছেন। আপনি প্রভুর মন্দির থেকে আনা পাত্রে আপনার রাজকর্মচারী, আপনার পত্নী ও উপপত্নীদের দ্রাক্ষারস পান করার আদেশ দিয়েছেন। আপনি সোনা, রূপা, পিতল, লোহা, কাঠ ও পাথরের তৈরী সেই সব দেবতাদের প্রশংসা করেছেন। তারা কিছু দেখতে পায় না, শুনতে পায় না বা বুঝতে পারে না। কিন্তু আপনি সেই ঈশ্বরকে সম্মান দেন নি যাঁর আপনার জীবন ও কর্মের ওপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
মহারাজ আপনি হলেন সেই গাছ। আপনি মহান ও শক্তিশালী হয়ে উঠেছেন। আপনিই সেই দীর্ঘকায় গাছ যার মাথা আকাশ ছোঁয়া আর আপনার ক্ষমতা পৃথিবীর দূর-দূরান্তে পৌঁছেছে।
বাবিল হয়তো আকাশ না ছোঁয়া পর্যন্ত উঠতে পারে। বাবিল তার দুর্গগুলিকে হয়তো শক্তিশালী করতে পারে। কিন্তু আমি ঐ শহরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য লোক পাঠাব। এবং ঐ সব লোকরা তাকে ধ্বংস করবে।” প্রভু এই কথাগুলি বলেন।
প্রভুই ঈশ্বর। তিনিই আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। প্রভু পৃথিবীকে তার জায়গায় ধরে রেখেছেন। পৃথিবীকে তৈরি করার সময় তিনি তা খালি রাখতে চাননি। পৃথিবীতে প্রাণের সঞ্চার করেছেন তিনি! “আমিই প্রভু, অন্য কোন ঈশ্বর নেই।
মীখার তৈরী মূর্ত্তিগুলো দানরা নিয়ে নিলো। মীখার কাছ থেকে যাজককেও তারা নিয়ে গেল। তারপর তারা লয়িশে এল। তারা সেখানকার লোকদের আক্রমণ করল। সেই লোকরা ছিল শান্তিপ্রিয়। তারা কোন আক্রমণ আশা করতে পারে নি। দানরা তরবারি দিয়ে তাদের হত্যা করল এবং শহরটিতে আগুন লাগিয়ে দিল।
তাই ঐ পাঁচ জন চলে গেল। এবার এল লয়িশ শহরে। তারা দেখল শহরের লোকরা বেশ নিরাপদে রয়েছে। সীদোনের লোকরা তাদের শাসন করছে। দেশে শান্তি রয়েছে, তাদের কোন কিছুর অভাব নেই। কাছাকাছি কোথাও শত্রু নেই যে তাদের আক্রমণ করবে। তাছাড়া সীদোন শহর থেকে তারা অনেক দূরে রয়েছে, আর অরামের লোকদের সঙ্গেও তাদের কোন চুক্তি নেই।
মহিলারা তোমরা এখন শান্ত। কিন্তু তোমাদের ভীত হওয়া উচিৎ। মহিলারা তোমরা নিজেদের নিরাপদ মনে করছ কিন্তু তোমাদের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিৎ। তোমরা সুন্দর পোশাক খুলে দুঃখের পোশাক পর। তোমরা কোমরে জড়িয়ে রাখ সেই কাপড়।
“সেখানে একটি দেশ আছে যে নিজেকে নিরাপদ মনে করে। ঐ দেশের কোন ফটক নেই, সীমানায় কোন কাঁটা তারের বেড়াজাল নেই। সেই দেশের আশেপাশে কোন মানুষ থাকে না। প্রভু বললেন, ‘ঐ দেশকে আক্রমণ করো।’”
“‘সেই সময় আমি বার্তাবাহক পাঠাব, যারা জাহাজে করে সেই দুঃসংবাদ নিয়ে কূশ দেশে যাবে। কূশ এখন নিজেকে নিরাপদ ভাবে কিন্তু মিশরকে শাস্তি পেতে দেখে কূশ ভয়ে কাঁপবে। সেই দিন আসছে!’”
ঈশ্বর বলেছিলেন, “তোমার বোন সদোম ও তার কন্যারা গর্বিত হয়েছিল, পেট ভরে খেতে পেয়েছিল এবং তাদের হাতে প্রচুর সময় থাকত। তারা গরীব, অসহায় লোকদের সাহায্য করত না।
তাই, হে মহারাজ, অনুগ্রহ করে আমার উপদেশ শুনুন। অথবা আপনার ভালোর জন্য পাপ কাজ বন্ধ করুন এবং ভালো লোক হোন। মন্দ কাজ বন্ধ করুন এবং দরিদ্রদের প্রতি দয়া দেখান। তাহলেই আপনি শান্তিতে থাকতে পারবেন।”
নীনবীর জন্যই এইসব কিছু ঘটেছে। নীনবী ঠিক যেন বেশ্যার মতো যে কখনোই যথেষ্ট কিছু পায়নি। সে আরো আরো চেয়েছে। সে নিজেকে বহু জাতির কাছে বিক্রী করে দিয়েছিল। তার মায়াবী যাদু দিয়ে সে তাদের তার দাস বানিয়ে ফেলেছে।