26 “কে আমাদের এইসব ঘটার আগেই বলেছিল? তাকেই আমাদের ঈশ্বর বলা উচিৎ। তোমাদের মধ্যে কোন মূর্ত্তি কি এইসব বলেছিল? না! সেই সব মূর্ত্তিদের কেউই কিছু বলতে পারে নি। সেই সব মূর্ত্তিরা কোন কথাই বলতে পারে নি। তারা তোমাদের কোন কথা শুনতেও পায় নি।
26 কে আদি থেকে এর সংবাদ দিয়েছে, যাতে আমরা জানতে পারি? কে আগে বলেছে, যাতে আমরা বলতে পারি সে সত্যনিষ্ঠ? সংবাদদাতা তো কেউই নেই; ঘোষণাকারী তো কেউই নেই; তোমাদের কথা শুনবার তো কেউই নেই।
26 পূর্ব থেকে কে একথা বলেছে, যেন আমরা জানতে পারি, অথবা আগেভাগে বলেছে যেন আমরা বলতে পারি, ‘তার কথা সঠিক ছিল?’ এ সম্পর্কে কেউই কিছু বলেনি, কেউই এ বিষয়ের পূর্বঘোষণা করেনি, তোমাদের কাছ থেকে কেউ কোনো কথা শোনেনি।
26 আজ অবধি কেউ কি কখনও পেরেছে বলতে আগামী দিনের কথা, দিয়েছে কি কেউ কোন আভাষ এ ঘটনার? যাতে আমরা পারি বলতে, যথার্থ তোমাদের কথা? এ বিষয়ে তোমরা একটি কথাও বল নি কোন আভাষ দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না তোমাদের! কোন কথা তোমাদের বলতে শোনে নি কেউ!
26 কে শুরু থেকে এর সংবাদ দিয়েছে যাতে আমরা জানতে পারি? এবং কে আগে জানিয়েছিল যাতে আমরা বলতে পারি, সে সঠিক? কেউ বলে নি, কেউ জানায় নি, কেউ তোমাদের কথা বলতে শোনে নি।
আমার মতো অন্য কোন ঈশ্বর নেই। যদি কেউ থাকেন তাহলে সেই দেবতার কথা বলা উচিৎ। সেই দেবতার উচিৎ ছিল এখানে এসে প্রমাণ করা যে তিনিও আমারই মতো। আমি যখন এই প্রাচীন লোকদের সৃষ্টি করেছিলাম তখন কি ঘটেছিল সেই দেবতার আমাকে বলা উচিৎ। ভবিষ্যতে কি ঘটবে তিনি যে তা জানেন তা প্রমাণ করার জন্য ঐ দেবতার আমাকে কোন নিদর্শন দেওয়া উচিৎ।
তোমাদের মূর্ত্তিদের এসে আমাদের বলা উচিৎ কি ঘটেছে। শুরুতে কি কি ঘটেছিল? ভবিষ্যতে কি ঘটবে? বলুক আমাদের! আমরা তাদের কাছ থেকে শুনব। তখন আমরা জানতে পারব পরে কি ঘটবে।
এদের আমার কাছে আসতে বল। তারা তাদের মামলা উপস্থিত করুক এবং উপদেশ নিক।) “অনেক দিন আগে যে ঘটনা ঘটেছিল সে সম্পর্কে তোমাদের কে বলেছিল? অনেক অনেক দিন আগে থেকে কে তোমাদের এইসব জিনিসগুলির কথা বলে আসছে? আমি, এক ও অদ্বিতীয় ঈশ্বর সেই সব বলে ছিলাম। আমিই একমাত্র ঈশ্বর। এখানে কি আমার মতো অন্য কোন ঈশ্বর আছে? অন্য কোন উৎকৃষ্ট ঈশ্বর আছে কি? অন্য কোন ন্যায়পরায়ণ ঈশ্বর আছে কি যে তার লোকদের রক্ষা করতে পারে? না! অন্য কোন ঈশ্বর নেই।
প্রত্যেক মানুষের ও প্রত্যেক দেশের একত্রিত হওয়া উচিৎ। হতে পারে, তাদের কারো মূর্ত্তি বলতে চেয়েছিল প্রথমে কি ঘটেছিল। তাদের উচিৎ তাদের সাক্ষীদের নিয়ে আসা। সাক্ষীদের উচিৎ সত্য কথা বলা। এটা দেখাবে যে তারা সঠিক।”