তারা যিরমিয়কে উপাসনালয় চত্বরে খুঁজে পেয়েছিল। সেখানে তাকে নজরবন্দী করে রেখেছিল যিহূদার রাজার রক্ষীরা। ঐ আধিকারিকরা যিরমিয়কে গদলিয়ের হাতে তুলে দিয়েছিল। গদলিয় ছিল অহীকামের পুত্র এবং শাফনের পৌত্র। গদলিয়কে নির্দেশ দেওয়া ছিল যিরমিয়কে তার নিজের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। সুতরাং যিরমিয় তার নিজের বাড়িতে পরিবারের কাছে ফিরে এসেছিল।
সুতরাং রাজা সিদিকিয় আদেশ দিয়েছিলেন যে, এবার থেকে যিরমিয়কে প্রহরীর পাহারায় মন্দির় চত্বরে বন্দী হয়ে থাকতে হবে এবং রাজার আদেশ ছিল যিরমিয়কে রুটি দেওয়া হবে রাস্তার হকারদের কাছ থেকে। শহরে যতদিন পর্যন্ত রুটি পাওয়া যাবে ততদিন পর্যন্ত যিরমিয়কে রুটি দেওয়া হবে। তাই যিরমিয়কে উঠোনে রক্ষীর অধীনে রাখা হয়েছিল।
এমনকি, যদি আমি কবরের মত গাঢ় অন্ধকারময় কোন উপত্যকা দিয়ে হেঁটে যাই, আমি কোন বিপদের দ্বারা ভীত হব না। কেন? কারণ আপনি যে আমার সঙ্গে রয়েছেন প্রভু। আপনার শাসনদণ্ড আমাকে স্বস্তি দেয়, নিরাপদে রাখে।
আমার জীবনে নির্যাতন ও কষ্টভোগের কথাও তুমি জান। আন্তিয়খিয়া, ইকনিয় ও লুস্ত্রায় যখন আমি গিয়েছিলাম, সে সব জায়গায় আমার কি অবস্থা হয়েছিল, কত কষ্টের মধ্যে আমাকে পড়তে হয়েছিল তা তুমি জান; কিন্তু সেই সময় দুঃখ কষ্ট থেকে প্রভু আমাকে উদ্ধার করেছেন।
কিন্তু আমার প্রভু, যিহূদার রাজা এখন অনুগ্রহ করে আমার কথা শুনুন। আমাকে অনুগ্রহ করে অনুরোধ করতে দিন। এই হল আমার অনুরোধ: আমাকে আর এই লেখক যোনাথনের বাড়িতে কারাবন্দী করে রাখবেন না। যদি আপনি আবার আমাকে সেখানে পাঠান, আমি সেখানে মারা যাব।”
তাই ঘটল। ঐ সভাসদরা জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য যিরমিয়র কাছে এলো। সুতরাং যিরমিয় তাদের তাই বলল যা রাজা তাকে বলার জন্য আদেশ দিয়ে ছিলেন যখন ঐ সভাসদরা যিরমিয়কে একা ছেড়ে দিল। কেউ জানতে পারল না রাজা এবং যিরমিয়র মধ্যে কি কথা হয়েছিল।
সুতরাং নবূষরদন, নবূখদ্রিৎসরের বিশেষ রক্ষীদের প্রধান, বাবিলের বিশেষ রক্ষসুদর মুখ্য আধিকারিক নবূশস্বন, উচ্চপদস্থ রাজকর্মচারী নের্গল-শরেৎসর এবং অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের আধিকারিকদের যিরমিয়র সন্ধানে পাঠানো হয়েছিল।