11 তখন যাজকবৃন্দ, ভাববাদীগণ এবং সমস্ত সাধারণ মানুষ শাসকবৃন্দের সঙ্গে কথা বলল। তারা বলল, “যিরমিয়কে হত্যা করতেই হবে। সে জেরুশালেম সম্বন্ধে অমঙ্গলজনক কথাবার্তা বলে বেড়িয়েছে। আপনারাও সে সব শুনেছেন।”
11 পরে ইমাম ও নবীরা কর্মকর্তাদেরকে ও সমস্ত লোককে বললো, এই ব্যক্তি প্রাণদণ্ডের যোগ্য, কেননা সে এই নগরের বিপরীতে ভবিষ্যদ্বাণী বলেছে, তোমরা তো নিজের কানে তা শুনেছ।
11 তখন যাজকেরা ও ভাববাদীরা রাজকর্মচারী ও অন্যান্য সব লোককে বললেন, “এই লোকটি যেহেতু এই নগরের বিরুদ্ধে ভাববাণী বলেছে, তাই একে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। তোমরা নিজেদেরই কানে সেই কথা শুনেছ!”
11 তারপর পুরোহিত ও নবীরা জনসাধারণ ও নেতৃবৃন্দকে বললেন, এই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত, কারণ এ আমাদের নগরীর বিরুদ্ধে বলেছে, তোমরা নিজের কানেই এসব কথা শুনেছ।
11 পরে যাজকগণ ও ভাববাদিগণ অধ্যক্ষদিগকে ও সমস্ত প্রজালোককে কহিল, এই ব্যক্তি প্রাণদণ্ডের যোগ্য, কেননা এ এই নগরের বিপরীতে ভাববাণী বলিয়াছে, তোমরা ত স্বকর্ণে তাহা শুনিয়াছ।
11 যাজকেরা এবং ভাববাদীরা সেই রাজকর্মচারীদের ও সমস্ত লোকেরা বললেন, “এই লোকটি মৃত্যুদন্ড পাওয়ার যোগ্য, কারণ সে এই শহরের বিরুদ্ধে ভাববাণী করেছে; যেমন তোমরা নিজের কানে তা শুনেছ।”
রাজার ঐ সমস্ত সভাপারিষদরা যিরমিয়র প্রচারিত ঐ বাণী শুনে রাজা সিদিকিয়ের কাছে গিয়ে বলল, “যিরমিয়কে অবিলম্বে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিৎ। সে আমাদের সৈন্যদের নিরুৎসাহিত করছে। তার কথা দিয়ে সে সমস্ত নাগরিককে নিরুৎসাহিত করেছে। যিরমিয় চায় না আমাদের ভাল কিছু হোক্। সে শুধু জেরুশালেমের লোকদের ক্ষতি কামনা করে।”
“কিন্তু একজন ভাববাদী এমন কিছু বলতে পারে যা আমি তাকে বলার জন্য বলি নি। এবং সে লোকদের এও বলতে পারে যে সে আমার হয়েই তা বলছে। যদি এরকম ঘটনা ঘটে তাহলে সেই ভাববাদীকে অবশ্যই হত্যা করা উচিৎ। এছাড়াও একজন ভাববাদী আসতে পারে যে অন্যান্য দেবতার হয়ে কথা বলে। সেই ভাববাদীকেও অবশ্যই হত্যা করা উচিৎ।
পৌল অইহুদীদের কাছে যাওয়ার কথা বললে লোকেরা তা আর শুনতে চাইল না। ইহুদীরা সকলে জোরে চিৎকার করে উঠল, “মার বেটাকে! একে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দাও! এ বেঁচে থাকার অযোগ্য!”
প্রভু, আমাকে হত্যা করবার জন্য ওরা যে পরিকল্পনা করেছিল আপনি তা জানেন। ওদের এই অপরাধ ক্ষমা করবেন না। ওদের পাপকে মুছে দেবেন না। আমার শত্রুদের ধ্বংস করে দিন। যখন আপনি ক্রুদ্ধ হবেন তখন ওদের শাস্তি দেবেন!
এরপর যিহূদার শাসকবৃন্দ এবং সাধারণ লোক যাজকদের এবং ভাববাদীদের বললেন: “যিরমিয় এমন কিছু করেনি যাতে ওর মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্য হতে পারে। যিরমিয় আমাদের যা যা বলেছিল তা তার নিজের ভাষা নয়, তা ছিল প্রভু, আমাদের ঈশ্বরের বক্তব্য।”
তারা যোয়াশের কাছে এল। তারা তাঁকে বলল, “তোমার পুত্রকে নিয়ে এসো। সে বালের বেদী ভেঙ্গেছে। সেই বেদীর পাশে আশেরার খুঁটি সে কেটে ফেলেছে। তার মরণ কেউ ঠেকাতে পারবে না। তাকে মরতে হবেই।”