2 তাই সে ভাববাদী যিরমিয়কে প্রহার করেছিল। সে যিরমিয়র হাত এবং পা-গুলি কাঠের গুঁড়ির মাঝখানে বেঁধে রেখেছিল। এটা ঘটেছিল প্রভুর মন্দিরে বিন্যামীনের উচ্চতর ফটকে।
কিন্তু যিরমিয় যখন জেরুশালেমের বিন্যামীন ফটকে পৌঁছেছিল তখনই তাকে ঐ ফটকের দায়িত্বে থাকা প্রধান রক্ষী গ্রেপ্তার করেছিল। সেই প্রধান রক্ষীর নাম ছিল যিরিয়। যিরিয় ছিল শেলিমিয়ের পুত্র এবং হনানিয়ের পৌত্র। যিরিয় যিরমিয়কে গ্রেপ্তার করার পর বলেছিল, “যিরমিয় তুমি আমাদের ত্যাগ করে বাবিলের পক্ষে যোগ দিতে যাচ্ছিলে।”
সেই সময়, জেরুশালেমের চারধার মরুভূমিতে পরিণত হবে। গেবা থেকে নেগেভের রিম্মোণ পর্যন্ত মরুভূমির মত হয়ে যাবে। কিন্তু জেরুশালেমের পুরো শহরটি আবার নির্মাণ করা হবে। বিন্যামীন ফটক থেকে প্রথম ফটক (কোণের ফটক) পর্যন্ত এবং হননেলের দুর্গ থেকে রাজার দ্রাক্ষা কুণ্ড পর্যন্ত।
বরং উল্টে রাজা যিরহমেল, সরায় এবং শেলিমিয়কে আদেশ দিলেন ভাববাদী যিরমিয় এবং লিপিকার (লেখক) বারূককে গ্রেপ্তার করতে। যিরহমেল হল যুবরাজ ও সরায় হল অস্রীয়েলের পুত্র এবং শেলিমিয় হল অব্দিয়েলের পুত্র। কিন্তু তারা কেউই বারূক এবং যিরমিয়কে খুঁজে বার করতে পারল না। কারণ প্রভু তাদের লুকিয়ে রেখেছিলেন।
শময়িয় তুমি তোমার চিঠিতে সফনিয়কে যা লিখেছিলে তা হল: ‘সফনিয়, প্রভু তোমাকে যিহোয়াদার জায়গায় যাজক হিসেবে নিয়োগ করেছেন। তুমিই প্রভুর মন্দিরের দায়িত্বে থাকবে। কেউ ভাববাদী হবার পাগলামি করলে তুমি তাকে বন্দী করবে। তুমি সেই বন্দীকে কাষ্ঠদণ্ডে পা বেঁধে তার ঘাড়ে লোহার শেকল পরিয়ে দেবে।
কিন্তু বিচারবুদ্ধিহীন লোকরা তখন একসঙ্গে চক্রান্ত করলো এবং রাজা যখন তাদের সখরিয়কে হত্যা করতে আদেশ দিলেন, তারা পাথর ছুঁড়ে মন্দির চত্বরেই তাঁকে হত্যা করলো।
ওদের বললেন মীখায়কে কারাগারে বন্ধ করে রাখতে। জল আর রুটি ছাড়া যেন ওকে আর কিছু খেতে না দেওয়া হয়। আমি যুদ্ধ থেকে বাড়ি ফিরে না আসা পর্যন্ত ওকে এভাবে আটকে রেখো।”
আমি দেখলাম, সেই নারী ঈশ্বরের পবিত্র লোকদের রক্তে মাতাল হয়ে আছে। এই পবিত্র লোকরাই যীশুর বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছিল। সেই নারীকে দেখে আমি রীতিমতো অবাক হয়ে গেলাম।
তোমাকে যে সমস্ত দুঃখভোগ করতে হবে তাতে ভয় পেও না। আমি তোমাকে বলছি তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য দিয়াবল তোমাদের কাউকে কাউকে কারাগারে পুরবে। দশ দিন পর্যন্ত তোমাদের কষ্ট হবে। যদি মরতে হয় তবু আমার প্রতি বিশ্বস্ত থেকো। যদি তুমি বিশ্বস্ত থাক তাহলে আমি তোমাকে জীবন-মুকুট দেব।
এমন কোন ভাববাদী ছিলেন কি যাকে আপনাদের পিতৃপুরুষরা নির্যাতন করেন নি? সেই ধার্মিক ব্যক্তির আগমণের কথা যাঁরা বহুপূর্বে ঘোষণা করেছিলেন আপনাদের পিতৃপুরুষরা তাদের খুন করেছেন; আর এখন আপনারা সেই ধার্মিককে শত্রুর হাতে সঁপে দিয়ে হত্যা করছেন।
প্রভু যিরমিয়কে যা কিছু বলার আদেশ দিয়েছিলেন সে তা বলা শেষ করেছিল। তখন যাজক, ভাববাদী এবং সাধারণ লোক যিরমিয়কে জোর করে চেপে ধরে বলেছিল, “এই ভয়ঙ্কর কথাগুলি বলার জন্য এবার তোমার মৃত্যু হবে।
রাজা যারবিয়াম ঈশ্বরের লোকের কাছ থেকে বৈথেলের বেদীর কথা শুনে বেদী থেকে হাত সরিয়ে নিয়ে সেই লোককে দেখিয়ে বলল, “ওকে গ্রেপ্তার করো।” কিন্তু একথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই তার হাত পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে গেল, সে আর হাত নাড়াতে পারল না।
যিহূদার শাসকবৃন্দ শুনলেন কি কি ঘটেছে। তাই তাঁরা রাজপ্রাসাদের বাইরে বেরিয়ে এসে প্রভুর মন্দিরে গিয়েছিলেন। তাঁরা নতুন ফটকের প্রবেশদ্বারের মুখে, যেটা প্রভুর মন্দিরের দিকে যাচ্ছে সেখানে বসলেন। ঐ নতুন ফটকদ্বারের পথ প্রভুর মন্দিরকেই নির্দেশ করে।
সুতরাং রাজা সিদিকিয় আদেশ দিয়েছিলেন যে, এবার থেকে যিরমিয়কে প্রহরীর পাহারায় মন্দির় চত্বরে বন্দী হয়ে থাকতে হবে এবং রাজার আদেশ ছিল যিরমিয়কে রুটি দেওয়া হবে রাস্তার হকারদের কাছ থেকে। শহরে যতদিন পর্যন্ত রুটি পাওয়া যাবে ততদিন পর্যন্ত যিরমিয়কে রুটি দেওয়া হবে। তাই যিরমিয়কে উঠোনে রক্ষীর অধীনে রাখা হয়েছিল।