33 পর্দাটি সোনার আংটাগুলির নীচে টাঙিয়ে দাও। তারপর ঠিক পর্দার পিছনে সাক্ষ্যসিন্দুক রাখবে। টাঙানো পর্দা দিয়ে পবিত্র স্থান এবং অতি পবিত্র স্থানের মধ্যে বিভাজন করবে।
33 আর ঘুণ্টিগুলোর নিচে পর্দা খাটাবে এবং সেখানে পর্দার ভিতরে শরীয়ত-সিন্দুক আনবে। সেই পর্দা পবিত্র স্থানের ও মহা-পবিত্র স্থানের মধ্যে তোমাদের জন্য প্রভেদ রাখবে।
33 পর্দাটি আঁকড়া থেকে নিচে ঝুলিয়ে দিয়ো এবং বিধিনিয়মের সিন্দুকটি পর্দার পিছন দিকে রেখে দিয়ো। পর্দাটিই পবিত্র স্থানটিকে মহাপবিত্র স্থান থেকে পৃথক করবে।
33 আঙটাগুলির নীচে পর্দাটি ঝুলিয়ে দেবে এবং চুক্তি সিন্দুকটি এনে পর্দার আড়ালে রাখবে। এই পর্দাটি তখন তোমাদের কাছে পবিত্রস্থান ও মহাপবিত্রস্থানের ব্যবধান সূচীত করবে।
33 আর ঘুন্টি সকলের নীচে তিরস্করিণী খাটাইয়া দিবে, এবং তথায় তিরস্করিণীর ভিতরে সাক্ষ্যসিন্দুক আনিবে; এবং সেই তিরস্করিণী পবিত্র স্থানের ও অতি পবিত্র স্থানের মধ্যে তোমাদের জন্য প্রভেদ রাখিবে।
33 আর হূকগুলির নীচে পর্দা খাটিয়ে দেবে এবং সেখানে পর্দার ভিতরে সাক্ষ্য সিন্দুক আনবে এবং সেই পর্দা ও অতি পবিত্র স্থান থেকে পবিত্র স্থানকে আলাদা করে রাখবে।
“তোমার ভাই হারোণের সঙ্গে কথা বলো, তাকে বলো যে সে তার ইচ্ছা মত যে কোন সময়ে পর্দার পিছনে পবিত্রতম জায়গায় যেতে পারে না। চুক্তির পবিত্র সিন্দুকটি ঐ পর্দার পিছনের ঘরে আছে। ঐ পবিত্র সিন্দুকটির মাথায় আছে বিশেষ ধরণের আচ্ছাদন। আমি ঐ বিশেষ আচ্ছাদনের ওপর মেঘের মধ্যে আবির্ভূত হই। যদি হারোণ ঐ ঘরে ঢোকে সে মারা যেতে পারে।
তারপর মোশি পবিত্র সিন্দুকটি পবিত্র তাঁবুতে রাখল। সিন্দুকটির সুরক্ষার জন্য সে ঠিক জায়গায় পর্দা টাঙ্গালো এবং এভাবেই সে প্রভুর আদেশ মতো সাক্ষ্য সিন্দুকটির সুরক্ষার ব্যবস্থা করল।
হারোণ ও তার পুত্রদের কাজ হল প্রতি সন্ধ্যায় প্রভুর সামনে প্রদীপ জ্বালানোর জন্য প্রদীপ তৈরী করে রাখা। আর সাক্ষ্য সিন্দুকের ঘরের বাইরে পর্দা দিয়ে বিভাজন করা অন্য একটি ঘরে বা সমাগম তাঁবুর ঘরে তারা সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত সর্বদা প্রভুর সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখবে। ইস্রায়েলের লোকরা এবং তাদের পরবর্তী উত্তরপুরুষরা এই চিরস্থায়ী বিধি মেনে চলবে।”
মন্দিরের পেছন দিকে 20 হাত দীর্ঘ একটি ঘর বানানো হয়েছিল। এই ঘরটি ছিল মন্দিরের পবিত্রতম স্থান। এই ঘরের দেওয়াল মেঝের থেকে ছাদ পর্যন্ত এরস কাঠে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল।
শলোমন মন্দিরের পবিত্রতম স্থানটিও নির্মাণ করেছিলেন। পবিত্রতম স্থানটি দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে ছিল 20 হাত। অর্থাৎ পবিত্রতম স্থানের মাপ আর মন্দিরের প্রস্থের মাপ ছিল এক। পবিত্রতম স্থানের দেওয়ালও 23 টন সোনা দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়।