36 যদি কারো ষাঁড় অন্য কারো ব্যক্তির জন্তুদের গুঁতিয়ে মেরে ফেলার জন্য পরিচিত থাকে, তবে সেই ষাঁড়ের মালিককে তার জন্য দায়ী করা হবে। যদি ষাঁড়টি অন্য ষাঁড়কে মেরে ফেলে, তাহলে তার মালিককেই দায়ী করা হবে কারণ সে ষাঁড়টিকে ছেড়ে রেখেছে। তাকে অবশ্যই মৃত ষাঁড়ের মূল্য দিতে হবে কিন্তু মৃত ষাঁড়টি সে নিজের জন্য রাখতে পারে।
36 অবশ্য, যদি জানা ছিল যে সেই বলদটির ঢুঁ মারার অভ্যাস ছিল, অথচ মালিক সেটিকে খোঁয়াড়ে বেঁধে রাখেনি, তবে সেই মালিক অবশ্যই পশুর জন্য পশু দেবে, এবং পরিবর্তে মৃত পশুটি নিয়ে নেবে।
36 কিন্তু যদি জানা যায় যে ষাঁড়টির আগেও গুঁতানোর অভ্যাস ছিল এবং তার মালিক তাকে বেঁধে রাখেনি, তাহলে তার মালিককে ষাঁড়ের পরিবর্তে ষাঁড়ই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। মরা পশুটি তার প্রাপ্য হবে।
36 কিন্তু যদি জানা যায়, সেই গোরু পূর্ব্বে শৃঙ্গাঘাত করিত, ও তাহার স্বামী তাহাকে সাবধানে রাখে নাই, তবে সে তাহার পরিবর্ত্তে অন্য গোরু দিবে, কিন্তু মৃত গোরু তাহারই হইবে।
36 কিন্তু এটা যদি জানা যায় যে, সেই গরুটি আগে থেকে শিং দিয়ে আঘাত করত এবং তার মালিক তাকে সাবধানে রাখেনি, তবে সে গরুর পরিবর্ত্তে অন্য গরু দেবে, কিন্তু মৃত গরুটি তারই হবে।
কিন্তু যদি ষাঁড়টি ইতিপূর্বে কাউকে আঘাত করে থাকে এবং তার মালিককে সতর্ক করে দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে সেই মালিককে দোষী সাব্যস্ত করা হবে। কেননা সে জানা সত্ত্বেও ষাঁড়টিকে যথাস্থানে বেঁধে বা আটকে রাখে নি। আর যদি এরকম ষাঁড়কে ছেড়ে রাখার ফলে কারো প্রাণ যায় তাহলে সেই ষাঁড় ও তার মালিক দুজনকেই পাথর দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলা হবে।
“যদি এক ব্যক্তির ষাঁড় আরেক ব্যক্তির ষাঁড়কে হত্যা করে তখন জীবিত ষাঁড়টিকে বিক্রি করে দিতে হবে। উভয় ব্যক্তি সেই বিক্রয় মূল্যের অর্ধেক ভাগ পাবে এবং মৃত ষাঁড়টির দেহের অর্ধেক ভাগ পাবে।
“যে ব্যক্তি ষাঁড় বা মেষ চুরি করেছে তাকে কিভাবে শাস্তি দেবে? যদি সে প্রাণীটিকে হত্যা করে বা বিক্রি করে দেয় তবে সে সেটা ফেরৎ দিতে পারবে না, তাই তাকে একটা চুরি করা ষাঁড়ের বদলে পাঁচটা ষাঁড় কিনে দিতে হবে বা একটা মেষের বদলে চারটি মেষ দিতে হবে। তাকে চুরির জন্য জরিমানা দিতে হবে।