পরে আমি কয়েকটি সিংহাসন দেখলাম আর তার ওপর যাঁরা বসে আছেন তাঁদের সকলকে বিচার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যীশুর বিষয়ে সাক্ষ্য দেবার জন্য ও ঈশ্বরের বাণী প্রচারের জন্য যাদের শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল, যারা সেই পশুকে ও তার মূর্ত্তিকে পূজা করে নি, নিজেদের কপালে বা হাতে তার ছাপ নেয় নি, তাদের প্রাণ দেখতে পেলাম। আর তারা সকলে পুনর্জীবিত হয়ে সেই হাজার বছর ধরে খ্রীষ্টের সঙ্গে রাজত্ব করল।
কিন্তু সেই পশু ও ভণ্ড ভাববাদীকে ধরা হল। এই সেই ভণ্ড ভাববাদী, যে পশুর জন্য অলৌকিক কাজ করেছিল। এই অলৌকিক কাজের দ্বারা ভণ্ড ভাববাদী তাদের প্রতারণা করেছিল যাদের সেই পশুর চিহ্ন ছিল এবং যারা তার উপাসনা করেছিল। ভণ্ড ভাববাদী এবং পশুটিকে জ্বলন্ত গন্ধকের হ্রদে ছুঁড়ে ফেলা হল।
তখন প্রভু (মহিমা) তাকে বললেন, “জেরুশালেম শহরের মধ্য দিয়ে যাও। সেই সব লোক যারা শহরের লোকদের ভয়ঙ্কর কাজকর্মের জন্য দুঃখ করে এবং মনমরা তাদের প্রত্যেকের কপালে দাগ দাও।”
“আমি তোমাদের যে আজ্ঞাগুলো দিলাম সেগুলো তোমরা মনে রাখবে। সেগুলো তোমরা তোমাদের হৃদয়ে গেঁথে রাখো। আজ্ঞাগুলোকে লেখ, সেগুলোকে হাতে বেঁধে রাখ এবং আমার বিধিগুলো মনে রাখার উপায় হিসেবে তা তোমাদের কপালে বেঁধে রাখ।
“এই বিশ্রামের দিনটিকে কোনও বিশেষ দিনে হাতে বাঁধা সুতোর মতো তোমাদের মনে রাখা উচিৎ। মনে রাখবে দুই চোখের মাঝখানে কপালে লাগানো তিলকের মতো। এই ছুটির দিনটি তোমাদের প্রভুর শিক্ষামালাকে মনে রাখতে সাহায্য করবে। এটা তোমাদের সাহায্য করবে প্রভুর মহান শক্তিকে মনে রাখতে যিনি তোমাদের মিশর থেকে মুক্ত করেছেন।
আমি দেখলাম, ক্ষুদ্র অথবা মহান সমস্ত মৃত লোক সেই সিংহাসনের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। পরে কয়েকটি গ্রন্থ খোলা হল এবং আরও একটি গ্রন্থ খোলা হল। সেই গ্রন্থটির নাম জীবন পুস্তক। সেই গ্রন্থগুলিতে মৃতদের প্রত্যেকের কাজের বিবরণ লিপিবদ্ধ ছিল এবং সেই অনুসারে তাদের বিচার হল।
পৃথিবীর রাজাগণ, সমস্ত অধিপতি, সেনাবাহিনীর অধিনায়করা, ধনবানরা, শক্তিশালী লোকরা ও পৃথিবীর সব স্বাধীন লোক এবং সমস্ত দাস গুহার মধ্যেও পাহাড়গুলির পাথরের মধ্যে নিজেদের লুকিয়ে রাখলো।
কিন্তু আজ পর্যন্ত আমি ঈশ্বরের সাহায্য পেয়েছি। তাই এখানে ছোট ও বড় সকলের সামনে দাঁড়িয়ে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি। মোশি ও ভাববাদীরা যা ঘটবে বলে গেছেন, সেটা ছাড়া আমি আর অন্য কোন কথা বলছি না।
ঈশ্বর অন্যান্য লোকদের চেয়ে নেতাদের বেশী ভালোবাসেন না। ঈশ্বর দরিদ্র লোকদের চেয়ে ধনীদের বেশী ভালোবাসেন না। কেন? কারণ ঈশ্বর প্রত্যেক মানুষকে সৃষ্টি করেছেন।
এরপর আমি অগ্নিমিশ্রিত কাঁচের সমুদ্রের মত কিছু একটা দেখলাম। যারা সেই পশু, তার মূর্তি ও তার নামের সংখ্যাকে জয় করেছে, তারা ঈশ্বরের দেওয়া বীনা হাতে ধরে সেই কাঁচের সমুদ্রের তীরে দাঁড়িয়ে ছিল।
জগতের জাতিবৃন্দ তোমার ওপর ক্রুদ্ধ ছিল; কিন্তু এখন তোমার ক্রোধের পালা। মৃত লোকদের বিচারের সময় হয়েছে; আর তোমার ভাববাদী, যারা তোমার দাস, যারা তোমার লোক, ক্ষুদ্র এবং গুরুত্বপূর্ণ সব লোক যারা তোমাকে শ্রদ্ধা করে, তাদের পুরস্কার দেওয়ার সময় হয়েছে। যারা পৃথিবীকে ধ্বংস করছে তাদের ধ্বংস করবার সময় হয়েছে।”
এই নতুন জীবনে ইহুদী কি গ্রীক এর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। যাদের সুন্নত হয়েছে আর যাদের সুন্নত হয় নি, অথবা কোন বিদেশী বা বর্বর এদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। ক্রীতদাস বা স্বাধীনের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। খ্রীষ্ট ঐসব বিশ্বাসীদের মধ্যে বাস করেন। একমাত্র খ্রীষ্টই হলেন প্রয়োজনীয় বিষয়।
এখন খ্রীষ্ট যীশুতে যারা আছে তাদের মধ্যে পুরুষ বা স্ত্রীতে কোন ভেদাভেদ নেই, ইহুদী কি গ্রীক, স্বাধীন অথবা দাসের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে তোমরা এক।
আমাদের মধ্যে কেউ ইহুদী, কেউ অইহুদী, কেউ দাস, আবার কেউ স্বাধীন, কিন্তু আমরা সকলেই দেহেতে এক হওয়ার জন্য এক আত্মার দ্বারা বাপ্তাইজ হয়েছি। আর আমাদের সকলকেই পান করার জন্য একই আত্মা দেওয়া হয়েছে।
ঠিক হল যে ব্যক্তি প্রভু ঈশ্বরের সেবা করতে প্রতিবাদ করবে তা সে যতো গণ্যমান্য হোক্ বা সাধারণ কেউ হোক্ তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। এমনকি মহিলা হলেও তাকে মার্জনা করা হবে না।
আর যাম্নি ও যাম্বির কথা মনে কর; তারা মোশির বিরোধিতা করেছিল। সেইভাবে এই লোকেরাও সত্যের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। এদের মন জঘন্য এবং এরা প্রকৃত বিশ্বাসের অনুসারী হতে পারে নি;