প্রভু আমাকে বলেছিলেন, “একটা সিংহ অথবা সিংহশাবক যখন কোন পশুকে খাবার জন্য ধরে সে তখন তার শিকারের ওপর দাঁড়ায় ও গর্জন করে। তখন কোন কিছুই সিংহটিকে ভয় দেখাতে পারে না। যদি মানুষ আসে এবং চেষ্টাও করে সিংহটি ভীত হয় না। মানুষ যথেষ্ট হল্লা জুড়তে পারে। কিন্তু সিংহ পালায় না।” একইভাবে সর্বশক্তিমান প্রভু আসবেন সিয়োন পর্বতে। পর্বতের ওপর প্রভু যুদ্ধ করবেন।
সেই সিংহাসন থেকে বিদ্যুতের ঝলকানি, গুরু গুরু শব্দ ও বজ্রধ্বনি নির্গত হচ্ছিল; আর সেই সিংহাসনের সামনে সাতটি মশাল জ্বলছিল। সাতটি আগুনের মশাল ঈশ্বরের সেই সপ্ত আত্মার প্রতীক।
আমোষ বললেন: “সিয়োনে প্রভু সিংহের মতো গর্জন করবেন। জেরুশালেম থেকে তাঁর কণ্ঠের উচ্চস্বর গর্জিত হবে। মেষপালকদের সবুজ তৃণভূমি শুকিয়ে বাদামী হয়ে যাবে। এমনকি কর্ম্মিলের শিখর শুকিয়ে যাবে।”
আর প্রভু ঈশ্বর সিয়োন থেকে গর্জন করবেন এবং তিনি জেরুশালেম থেকেও চিৎকার করবেন। ফলে আকাশ ও পৃথিবী কেঁপে উঠবে। কিন্তু প্রভু ঈশ্বর তাঁর লোকদের পক্ষে এক নিরাপদ আশ্রয় এবং তিনিই ইস্রায়েল সন্তানদের পক্ষে দৃঢ় দুর্গ হবেন।
পরে আমি স্বর্গে আর একটি মহত্ ও বিস্ময়কর চিহ্ন দেখলাম। সপ্তম স্বর্গদূতকে সপ্ত আঘাত নিয়ে আসতে দেখলাম। এগুলিই শেষতম আঘাত। এই আঘাতগুলির দ্বারা ঈশ্বরের মহাক্রোধের অবসান হবে।
পরে আমি স্বর্গ থেকে শুনতে পেলাম প্রবল জলকল্লোলের মতো, প্রচণ্ড মেঘ গর্জনের মতো এক কন্ঠস্বর; যে স্বর আমি শুনলাম তাতে মনে হল যেন একটা বীণাবাদক দল তাঁদের বীণা বাজাচ্ছেন।
“যিরমিয়, তুমি আমার বার্তা তাদের দেবে: ‘ওপর থেকে, তাঁর পবিত্র মন্দির থেকে প্রভু তাঁর পশুচারণ ভুমির (তাঁর লোক জন) প্রতি চিৎকার করে উঠলেন। দ্রাক্ষারস তৈরীর সময় শ্রমিকরা যেমন দ্রাক্ষার উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সমস্বরে চিৎকার করে তেমনি জোরে চিৎকার করছেন প্রভু।
প্রভু বলবান সৈন্যের মত চলে যাবেন! তিনি হবেন যুদ্ধ করতে প্রস্তুত মানুষের মত। তিনি প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে উঠবেন। তিনি কাঁদবেন, উচ্চস্বরে চিৎকার করবেন এবং তার শত্রুদের পরাজিত করবেন।
শত্রুরা সিংহের গর্জনের মতো চিৎকার করবে। তারা সিংহ শাবকের মতো গর্জন করবে। শত্রুরা সক্রোধ গর্জন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরতদের ধরে ফেলবে। লোকরা লড়াই করে মুক্তি পেতে চেষ্টা করবে। কিন্তু তাদের রক্ষা করার কেউ থাকবে না।
পরে সেই চার প্রাণীর মধ্য থেকে একজন ঐ সাতজন স্বর্গদূতদের হাতে একে একে তুলে দিলেন সাতটি সোনার বাটি, সেগুলি যুগপর্যায়ে যুগে যুগে জীবন্ত ঈশ্বরের রোষে পরিপূর্ণ।