25 কিন্তু আমরা যদি আবার প্রভু, আমাদের ঈশ্বরকে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে শুনি, নিশ্চিত আমরা মারা যাবো! সেই ভয়ঙ্কর আগুন আমাদের ধ্বংস করবে। আমরা মরতে চাই না।
তোমরা ঈশ্বরের কাছে যা চেয়েছিলে সেই অনুযায়ী তিনি এই ভাববাদীকে তোমাদের কাছে পাঠাবেন। যখন তোমরা হোরেব পর্বতে সকলে একত্রিত হয়েছিলে, তখন তোমরা ঈশ্বরের রব শুনে এবং পর্বতমালার ওপরে সেই মহৎ আগুন দেখে ভীত হয়েছিলে। সেজন্য তোমরা বলেছিলে, ‘আমাদের প্রভু ঈশ্বরের রব আমাদের পুনরায় আর শোনাবেন না! আমাদের আর সেই মহান আগুন দেখতে দেবেন না, দেখলে আমরা মারা যাব!’
যারা ঈশ্বরের সামনে ধার্মিক প্রতিপন্ন হতে বিধি-ব্যবস্থা পালনের ওপর নির্ভর করে, তাদের ওপর অভিশাপ থাকে। কারণ শাস্ত্র বলে: “বিধি-ব্যবস্থায় যে সকল লেখা আছে তার সব কটি যে পালন না করে সে শাপগ্রস্ত!”
“প্রভু সীনয় পর্বত হতে এলেন, সেয়ীরের গোধূলি বেলায় যেন আলো উদিত হল। পারণ পর্বত হতে যেন আলো জ্বলে উঠলো। প্রভু তাঁর 10,000 পবিত্র জনকে তাঁর সঙ্গে নিয়ে এলেন। ঈশ্বরের পরাক্রমী সৈন্যরা তাঁর পাশে ছিল।
ঐ সময়ে, লোকজন বজ্র নির্ঘোষ শুনতে পেল এবং বিদ্যুৎ দেখতে পেল। তারা শিঙার শব্দ শুনতে পেল এবং দেখল ধোঁয়া ওপর দিকে উঠছে। এই দেখে লোকরা ভয়ে কুঁকড়ে গেল। পর্বত থেকে দূরে দাঁড়িয়ে তারা এই ঘটনা দেখতে লাগল।
তখন লোকরা মোশিকে বলল, “তুমি যদি আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চাও তাহলে তা আমরা শুনব। কিন্তু ঈশ্বর যেন আমাদের সঙ্গে কথা না বলেন। তিনি কথা বললে আমরা ভয়ে মারা যাব।”
তারা বলেছিল, ‘প্রভু আমাদের ঈশ্বর আমাদের তাঁর মহিমা এবং তাঁর মহত্ব দেখিয়েছেন! আমরা তাঁকে আগুনের মধ্য থেকে কথা বলতে শুনেছিলাম! ঈশ্বর মানুষের সাথে কথা বলার পরেও সে যে বেঁচে থাকতে পারে তা আজ আমরা দেখলাম।