32 তোমাকে মানুষের কাছ থেকে দূরে চলে যেতে বাধ্য করা হবে। তুমি বন্য পশুদের সাথে বাস করবে। তুমি একটি গরুর মতো ঘাস খেয়ে জীবন ধারণ করবে। এই শিক্ষা পেতে সাতটি ঋতু পেরিয়ে যাবে। তখন তুমি জানবে যে পরাৎপর মানুষের রাজত্বের ওপর কর্তৃত্ব করেন এবং তিনি যাকে চান তাকেই রাজত্ব দেন।”
32 আর তুমি মানব-সমাজ থেকে দূরীকৃত হবে, মাঠের পশুদের সঙ্গে তোমার বসতি হবে, বলদের মত তোমাকে ঘাস খাওয়ানো যাবে ও তোমার উপরে সাত কাল ঘুরবে; যে পর্যন্ত না তুমি জানবে যে, মানুষের রাজ্যে সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ কর্তৃত্ব করেন ও যাকে তা দিতে ইচ্ছা করেন, তাকে তা দেন।
32 মানুষের সমাজ থেকে তোমাকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে এবং বন্যপশুদের সঙ্গে তুমি বাস করবে; তুমি বলদের মতো ঘাস খাবে। সাত কাল এভাবেই কেটে যাবে যতদিন না পর্যন্ত তুমি স্বীকার করবে যে পরাৎপর ঈশ্বর পৃথিবীর সমস্ত রাজ্যের উপর সার্বভৌম এবং যাকে তাঁর খুশি তার হাতে তিনি রাজত্বভার অর্পণ করেন।”
32 মানুষের সমাজ থেকে তোমাকে বহিস্কৃত করা হবে, তুমি জন্তুজানোয়ারের সঙ্গে দিন কাটাবে। সাত বছর বলদের মত ঘাস খাবে। তবেই তুমি বুঝবে যে জগতের সব রাজ্য ও ক্ষমতা সর্বাধিপতি প্রভু পরমেশ্বরেরই। তিনি যাকে চান তারই হাতে তুলে দেন কর্তৃত্বভার।
32 আর তুমি মানব-সমাজ হইতে দূরীকৃত হইবে, মাঠের পশুদের সহিত তোমার বসতি হইবে, বলদের ন্যায় তোমাকে তৃণ ভোজন করান যাইবে, ও তোমার উপরে সাত কাল ঘূরিবে; যে পর্য্যন্ত না তুমি জানিবে যে, মনুষ্যদের রাজ্যে পরাৎপর কর্ত্তৃত্ব করেন, ও যাহাকে তাহা দিতে ইচ্ছা করেন, তাহাকে তাহা দেন।
32 তোমাকে লোকদের কাছ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে এবং তুমি মাঠের বন্য পশুদের সঙ্গে বাস করবে। ষাঁড়ের মত তোমাকে ঘাস খাওয়ানো হবে। সাত বছর শেষ হবে, যতক্ষণ না তুমি স্বীকার করবে যে মহান সর্বশক্তিমান ঈশ্বরই মানুষের রাজ্যগুলোর উপরে রাজত্ব করেন এবং সেগুলো তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে দান করেন।”
নবূখদ্নিৎসর লোকদের ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হলেন। তাঁর মানসিকতাকে একটি পশুর মনের মত করা হয়েছিল। তিনি বন্য গাধাদের সাথে বাস করতে লাগলেন এবং গরুর মতো ঘাস খেতে লাগলেন। তাঁর শরীর শিশিরে ভিজে গেল। এসব তত দিন পর্যন্ত ঘটল যতদিন না তিনি বুঝলেন যে পরাৎপর সমস্ত মানুষের রাজত্বের ওপর কর্তৃত্ব করেন এবং যাকে খুশী রাজ্য দেন।
‘তোমাদের মনিবকে গিয়ে বলো আমি এই পৃথিবী এবং তার মানুষদের সৃষ্টি করেছি। এই পৃথিবীর সমস্ত পশু পাখীও আমার সৃষ্টি। আমি আমার শক্তি এবং শক্তিশালী বাহু দিয়ে তা সৃষ্টি করেছি। আমি যাকে খুশী এই পৃথিবী দিয়ে দিতে পারি।
প্রভু এই কাজ করেছিলেন যাতে এই দেশের সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ জানতে পারে তিনি কতটা শক্তিমান। তাহলে এই দেশের সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ প্রভু, তোমাদের ঈশ্বরের মহাশক্তিকে চিরকাল ভয় করে চলবে।”
মোশি ফরৌণকে বললেন, “আমি যখন শহর ত্যাগ করে যাবো তখন আমি প্রভুকে প্রার্থনার ভঙ্গীতে আমার হাতগুলো ওপরে তুলব। এবং তারপর বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি থামবে। তখন তুমি জানবে যে এই পৃথিবী প্রভুর অধিকারে।
উত্তরে ফরৌণ জানালেন, “আগামীকাল।” মোশি বলল, “বেশ আপনার কথা মতো তাই হবে। তবে এবার নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পেরেছেন যে আমাদের প্রভু ঈশ্বরের মতো আর কোন ঈশ্বর এখানে নেই।
কিন্তু আপনিই প্রভু, আমাদের ঈশ্বর! সুতরাং অশূররাজের কবল থেকে আমাদের রক্ষা করুন। তাহলে অন্যান্য সমস্ত দেশগুলিও জানতে পারবে যে আপনিই প্রভু, আপনিই একমাত্র ঈশ্বর।”
যদি তুমি তা না কর, তবে তোমাকে, তোমার সমস্ত রাজকর্মচারীদের এবং লোকদের সমস্ত রকমের দুর্ভোগ ভুগতে হবে। তখন তুমি জানবে যে এই পৃথিবীতে আমার মতো ঈশ্বর আর নেই,
যে সম্পদ অন্ধকারে রক্ষিত ছিল তা আমি তোমাকে দেব। আমি তোমাকে সব গুপ্তধন দিয়ে দেব। আমি এসব করব যাতে তুমি বুঝতে পার, আমিই প্রভু। আমিই ইস্রায়েলের ঈশ্বর এবং আমি তোমাকে নাম ধরে ডাকছি।
তিনি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলেন এবং সাহায্য চাইলেন। ঈশ্বর তাঁর প্রার্থনা শুনলেন এবং তাঁর অনুরোধ রাখলেন এবং তিনি তাঁকে জেরুশালেমে, তাঁর রাজত্বে ফিরে গিয়ে তাঁর সিংহাসনে বসতে দিলেন। মনঃশি বুঝতে পারলেন যে প্রভুই প্রকৃত ঈশ্বর।
তিনি সময় ও ঋতুসমূহ পরিবর্তন করেন। তিনি রাজাদের নিয়োগ করেন এবং তিনিই তাদের সরিয়ে দেন। তিনি রাজাদের ক্ষমতা দেন ও তাদের কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেন! তিনি মানুষকে জ্ঞান দেন যাতে তারা জ্ঞানী হয়ে ওঠে, তিনি তাদের শিক্ষা দেন যাতে তারা জ্ঞান লাভ করে।
তাঁর কথাগুলো যখন মুখের মধ্যেই ছিল তখন একটি কণ্ঠস্বর স্বর্গ থেকে বলল, “রাজা নবূখদ্নিৎসর, ঈশ্বর তোমাকে এটি বলেছেন: রাজা হিসেবে তোমার ক্ষমতা তোমার কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হল।