“উত্তরের রাজা যা চায় তাই করতে পারবে। সে নিজেই নিজের কাজের বড়াই করে বেড়ায়। সে নিজের প্রশংসায় নিজে এতোই অন্ধ যে নিজেকে সে ঈশ্বরের থেকেও বড় মনে করে। সে যা বলে তা আর কেউ কোনদিন শোনেনি। সে ঈশ্বর সম্পর্কে যা তা বলে বেড়ায়। যতক্ষণ পর্যন্ত না ঈশ্বর স্থির করবেন যে এই ভয়ানক সময় শেষ হবে, উত্তরের রাজা এ ব্যাপারে সফল হবেন। কারণ কি ঘটতে যাচ্ছে তা ঈশ্বর পূর্বেই পরিকল্পনা করে রেখেছেন।
“উত্তরের রাজা যা খুশী তাই করতে পারবে। কেউ তাকে থামাতে সক্ষম হবে না। তার হাতে সুন্দর দেশটির ক্ষমতা থাকবে। এবং এই দেশ ধ্বংস করার মতো যথেষ্ট শক্তি তার হাতে থাকবে।
“তারপর আমি আমার সামনে আরেকটি জন্তুর দিকে তাকালাম। এটি ছিল একটি চিতা বাঘের মতো দেখতে কিন্তু এর পিঠে চারটি ডানা ছিল। ডানাগুলি ছিল পাখির ডানার মতো এবং জন্তুটির চারটি মাথাও ছিল। একে কর্ত্তৃত্ব করার ক্ষমতা দেওয়া হল।
অনেক দেশের এবং অনেক ভাষার লোকরা নবূখদ্নিৎসরকে ভয় পেত। কেন? কারণ পরাৎপর তাঁকে এক গুরুত্বপূর্ণ রাজা বানিয়েছিলেন। নবূখদ্নিৎসর কাউকে মারতে চাইলে মেরে ফেলতেন আর বাঁচিয়ে রাখতে চাইলে বাঁচিয়ে রাখতেন। তিনি যাদের গুরুত্বপূর্ণ করতে চাইতেন তাদের তাই করতেন এবং তিনি যাদের গুরুত্বহীন করতে চাইতেন তাদের গুরুত্বহীন করতেন।
ঈশ্বরের লোক হবার জন্য আমরা খ্রীষ্টে মনোনীত হয়েছিলাম। ঈশ্বর পূর্বেই স্থির করেছিলেন যে আমরা তাঁর আপনজন হব, তাই ছিল ঈশ্বরের অভিপ্রায়। ঈশ্বর যা চান বা যা করার সিদ্ধান্ত নেন, তাঁর ইচ্ছানুসারে তা সম্পন্ন করেন।
পৃথিবীর মানুষ বস্তুত গুরুত্বপূর্ণ নয়। স্বর্গীয় ক্ষমতাসমূহ ও পৃথিবীর মানুষদের প্রতি ঈশ্বর যা চান তা সবই তিনি করেন। এমন কেউ নেই যে তাঁর শক্তিশালী হাতকে থামাতে পারে এবং তাঁর কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে।