22 গর্ভবতী অবস্থায় রিবিকা যন্ত্রণা ভোগ করছিলেন কারণ তাঁর গর্ভে দুটি শিশু একে অপরকে জোরে ঠেলাঠেলি করছিল। গর্ভস্থ শিশুর জন্যে রিবিকা অনেক কষ্ট পেতে থাকেন। তিনি প্রভুর কাছে প্রার্থনা করে জানতে চাইলেন, “আমার কেন এমন হচ্ছে?”
22 তাঁর গর্ভে যমজ সন্তান এল। কিন্তু গর্ভমধ্যেই তাদের বিরোধ শুরু হয়ে গেল। রেবেকা বললেন, এই যদি অবস্থা হয় তবে আমার বেঁচে থেকে কি লাভ? তিনি প্রভু পরমেশ্বরের কাছে এই ব্যাপারে জানতে চাইলেন।
শৌল বলল, “ভাল কথা, তাহলে চলো।” তাই তারা সেই শহরে গেল, যেখানে ঈশ্বরের ভাববাদী থাকত। শৌল ও তার ভৃত্যটি পর্বতের পথ দিয়ে শহরের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় যুবতীরা জল নিতে আসছে দেখে তারা জিজ্ঞাসা করল, “দর্শনকারী কি এই জায়গায় রয়েছেন?” (অতীতে ইস্রায়েলের লোকরা ভাববাদীকে “দর্শনকারী” বলেও ডাকত। তাই ঈশ্বরের কাছে কিছু বিষয়ে প্রশ্ন করতে চাইলে তারা বলত, “চলো দর্শনকারীর কাছে যাই।”)
তোমরা সেই একই ধরণের উপহার দিচ্ছ। তোমাদের দেবতাদের কাছে উপহারস্বরূপ তোমরা তোমাদের সন্তানদের আগুনে দিচ্ছ। তোমরা আজও ঐসব নোংরা মূর্ত্তি দ্বারা নিজেদের নোংরা করছ। ইস্রায়েলের পরিবারসমূহ, তোমরা কি মনে কর উপদেশ চাইবার জন্য আমি তোমাদের আমার কাছে আসতে দেব? আমিই প্রভু ও সদাপ্রভু; আমার জীবনের দিব্য, আমি তোমাদের প্রশ্নের উত্তর দেব না; কোন উপদেশও দেব না।
তারপর দায়ূদ প্রভুর কাছে প্রার্থনা করলেন, “যারা আমাদের ছেলেমেয়েদের ধরে নিয়ে গেছে, আমি কি তাদের পিছু নেব? আমি কি তাদের ধরতে পারব?” প্রভু বললেন, “যাও ওদের পিছু নাও। তুমি ওদের ধরতে পারবে। তুমি তোমার সকল পরিবারগুলিকে রক্ষা করতে পারবে।”
শৌল, প্রভুর কাছে প্রার্থনা করলেন। কিন্তু প্রভু সে প্রার্থনার কোন উত্তর দিলেন না। স্বপ্নের মধ্যেও ঈশ্বর শৌলকে কিছু বললেন না। ঊরীমের দ্বারাও ঈশ্বর উত্তর দিলেন না। কোনো ভাববাদীর মাধ্যমেও ঈশ্বর শৌলের উদ্দেশ্যে কোন বাণী শোনালেন না।
প্রভু আমার সদাপ্রভু এইসব কথাগুলি বলেন, “আমি ইস্রায়েল পরিবারকে আমার কাছে আসতে দেব এবং এসব বিষয়ের জন্য তাদের আমার কাছে অনুরোধ করতে দেব। আমি তাদের বহুসংখ্যক করে দেব আর তারা একটি মেষের পালের মত হবে।
দায়ূদের জন্য আমি ঈশ্বরের কাছে এই প্রথমবারই যে প্রার্থনা করেছি তা নয়। এর জন্য, আমায় অথবা আমার কোন আত্মীয়কে আপনি দোষী করবেন না। আমরা আপনার ভৃত্য। কি হচ্ছে আমি তার কিছুই জানি না।”