14 তোমাদের উপর আমার শোধ নেওয়ার পালা যখন চলবে, তখন তোমাদের মনের জোর থাকবে কি? থাকবে কি যথেষ্ট বাহুবল? আমি, প্রভু পরমেশ্বর বলছি, আমার কথায় নড়চড় হবে না।
তাহাতে ক্ষেত্রের সমস্ত বৃক্ষ জানিবে যে, আমি সদাপ্রভু উচ্চ বৃক্ষকে খর্ব করিয়াছি, খর্ব বৃক্ষকে উচ্চ করিয়াছি, সতেজ বৃক্ষকে শুষ্ক করিয়াছি, ও শুষ্ক বৃক্ষকে সতেজ করিয়াছি; আমি সদাপ্রভু ইহা বলিলাম, আর ইহা করিলাম।
আমি সদাপ্রভু ইহা কহিলাম; ইহা সফল হইবে, আমি ইহা সাধন করিব, ক্ষান্ত হইব না, দয়া করিব না, অনুশোচনাও করিব না; তোমার যেরূপ আচরণ ও তোমার যেরূপ ক্রিয়া, সেইরূপ বিচার করা যাইবে, ইহা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
তুমি যাহাদিগকে আত্মীয়রূপে আপনার উপরে [প্রভুত্ব করিতে] শিক্ষা দিয়াছ, যখন তিনি তাহাদিগকে মস্তকরূপে তোমার উপরে নিযুক্ত করিবেন, তৎকালে কি বলিবে? প্রসবকালে যেমন স্ত্রীলোক, তেমনি তুমি কি যন্ত্রণাগ্রস্ত হইবে না?
ধিক্ তাহাকে, যে আপন নির্মাতার সহিত বিবাদ করে; সে ত মাটির খোলার মধ্যবর্তী খোলা মাত্র। মৃত্তিকা কি কুম্ভকারকে বলিবে, ‘তুমি কি নির্মাণ করিতেছ?’ তোমার রচিত বস্তু কি বলিবে, ‘উহার হস্ত নাই?’
এই প্রকারে আমার ক্রোধ সমপন্ন হইবে, এবং আমি তাহাদের উপরে আপন ক্রোধ চরিতার্থ করিয়া শান্ত হইব; তাহাদের প্রতি আমার কোপ সমপন্ন হইলে তাহারা জানিতে পারিবে যে, আমি সদাপ্রভু আপন অন্তর্জ্বালায় এই কথা বলিয়াছি।
তখন তোমাদের চারিদিকে অবশিষ্ট জাতিগণ জানিতে পাইবে যে, আমি সদাপ্রভু উৎপাটিত স্থান সকল নির্মাণ করিয়াছি, ও ধ্বংসিত স্থান উদ্যান করিয়াছি; আমি সদাপ্রভু ইহা বলিয়াছি এবং ইহা সিদ্ধ করিব।
সদাপ্রভু নিজ সৈন্যসামন্তের অগ্রে আপন রব শুনাইতেছেন; কেননা তাঁহার শিবির অতি বৃহৎ; কেননা তাহা বাক্যসাধক বলবান, কেননা সদাপ্রভুর দিন মহৎ ও অতি ভয়ানক; আর কে তাহা সহ্য করিতে পারে?
অতএব তোমরা নিন্দায় রত হইও না, পাছে তোমাদের বন্ধন দৃঢ়তর হয়; কেননা প্রভুর মুখে, বাহিনীগণের সদাপ্রভুরই মুখে আমি সমস্ত পৃথিবীর জন্য উচ্ছেদের, নিরূপিত উচ্ছেদের কথা শুনিয়াছি।