13 যখন তিনি বিন্যামীনের দ্বারে উপস্থিত হন, তখন সেই স্থানে রক্ষকদের এক জন অধ্যক্ষ ছিল, তাহার নাম যিরিয়, সে হনানিয়ের পৌত্র, শেলিমিয়ের পুত্র; সেই ব্যক্তি যিরমিয় ভাববাদীকে ধরিয়া কহিল, তুমি কল্দীয়দের পক্ষে যাইতেছ।
13 যখন তিনি বিন্ইয়ামীনের দ্বারে উপস্থিত হন, তখন সেই স্থানে রক্ষকদের এক জন নেতা ছিল, তার নাম যিরিয়, সে হনানিয়ের পৌত্র, শেলিমিয়ের পুত্র; সেই ব্যক্তি ইয়ারমিয়া নবীকে ধরে বললো, তুমি কল্দীয়দের পক্ষে যাচ্ছ।
13 কিন্তু যখন তিনি বিন্যামীন-দ্বারে পৌঁছালেন, তখন হনানিয়ের পুত্র, শেলিমিয়ের পুত্র, রক্ষীদলের সেনাপতি যিরিয় তাঁকে গ্রেপ্তার করলেন এবং বললেন, “আপনি ব্যাবিলনীয়দের পক্ষে যোগ দিতে যাচ্ছেন!”
13 কিন্তু বিন্যামীন তোরণে যখন পৌঁছালাম, সেখানে কর্তব্যরত সৈন্যদলের একজন অধ্যক্ষ দণ্ডায়মান ছিল। সে ছিল হননিয়ের পৌত্র ও শলমিয়ের পুত্র যিরিয়। যিরিয় এসে আমার পথ আটকে দাঁড়াল সে বলল, তুমি ব্যাবিলনীয়দের পক্ষ নিয়েছ।
13 কিন্তু যিরমিয় যখন জেরুশালেমের বিন্যামীন ফটকে পৌঁছেছিল তখনই তাকে ঐ ফটকের দায়িত্বে থাকা প্রধান রক্ষী গ্রেপ্তার করেছিল। সেই প্রধান রক্ষীর নাম ছিল যিরিয়। যিরিয় ছিল শেলিমিয়ের পুত্র এবং হনানিয়ের পৌত্র। যিরিয় যিরমিয়কে গ্রেপ্তার করার পর বলেছিল, “যিরমিয় তুমি আমাদের ত্যাগ করে বাবিলের পক্ষে যোগ দিতে যাচ্ছিলে।”
13 কিন্তু যখন তিনি বিন্যামীন ফটকে পৌঁছালেন, তখন যিরিয় নামে পাহারাদারদের সেনাপতি যিরমিয়কে ধরে বলল, “তুমি কলদীয়দের পক্ষে যাচ্ছ।” এই যিরিয় ছিল শেলিমিয়ের ছেলে, শেলিমিয় হনানিয়ের ছেলে।
ইতিমধ্যে রাজবাটীস্থিত এবদ-মেলক নামে এক জন কূশীয় নপুংসক শুনিতে পাইল যে, যিরমিয়কে কূপে ফেলিয়া দেওয়া হইয়াছে; তখন রাজা বিন্যামীনের দ্বারে বসিয়াছিলেন।
আর তাহারা তাঁহার উপরে দোষারোপ করিয়া বলিতে লাগিল, আমরা দেখিতে পাইলাম যে, এ ব্যক্তি আমাদের জাতিকে বিগড়িয়া দেয়, কৈসরকে রাজস্ব দিতে বারণ করে, আর বলে যে, আমিই খ্রীষ্ট রাজা।
আর মত্তনের পুত্র শফটিয়, পশ্হূরের পুত্র গদলিয়, শেলিমিয়ের পুত্র যিহূখল ও মল্কিয়ের পুত্র পশ্হূর শুনিল, যে সমস্ত লোকের নিকটে যিরমিয় এই সকল বাক্য বলিলেন, যথা,
যে ব্যক্তি এই নগরে থাকিবে, সে খড়্গে, দুর্ভিক্ষ ও মহামারীতে মারা পড়িবে; কিন্তু যে ব্যক্তি বাহিরে গিয়া তোমাদের অবরোধকারী কল্দীয়দের পক্ষে দাঁড়াইবে, সে বাঁচিবে, এবং তাহার প্রাণ তাহার পক্ষে লুটদ্রব্যের ন্যায় হইবে।
কারণ আমি অনেকের পরীবাদ শুনিতেছি, চারিদিকে ভয় রহিয়াছে। ‘তোমরা অভিযোগ কর, এবং আমরাও উহার নামে অভিযোগ করিব,’ আমার সমস্ত মিত্র আমার স্খলনের অপেক্ষা করিয়া এই কথা বলে, ‘কি জানি, সে প্ররোচিত হইবে, আর আমরা প্রবল হইয়া তাহাকে পরাভব করিয়া প্রতিরোধ দিব।’
তখন তাহারা কহিল, চল, আমরা যিরমিয়ের বিরুদ্ধে পরামর্শ করি, কেননা যাজকের নিকট হইতে ব্যবস্থা, জ্ঞানবানের নিকট হইতে মন্ত্রণা ও ভাববাদীর নিকট হইতে বাক্য লুপ্ত হইবে না; চল, আমরা জিহ্বা দ্বারা উহাকে প্রহার করি, উহার কোন কথায় মনোযোগ না করি।
তখন বৈথেলের যাজক অমৎসিয় ইস্রায়েল-রাজ যারবিয়ামের কাছে এই কথা বলিয়া পাঠাইল, আমোষ ইস্রায়েল-কুলের মধ্যে আপনার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করিয়াছে, দেশ তাহার এত বাক্য সহিতে পারে না।
তখন অধ্যক্ষগণ রাজাকে কহিলেন, এ ব্যক্তির প্রাণদণ্ড করিতে আজ্ঞা হউক, কেননা এ লোকদের কাছে এই প্রকার কথা বলিয়া এই নগরে অবশিষ্ট যোদ্ধাদের হস্ত ও প্রজা সকলের হস্ত দুর্ব্বল করিতেছে; কারণ এ ব্যক্তি এই জাতির মঙ্গল চেষ্টা করে না, কেবল অমঙ্গল চেষ্টা করে।
তখন তিনি রাজবাটীতে নামিয়া লেখকের কুঠরীতে গেলেন; আর দেখ, সেই স্থানে অধ্যক্ষগণ সকলে, অর্থাৎ ইলীশামা লেখক, শময়িয়ের পুত্র দলায়, অক্বোরের পুত্র ইল্নাথন, শাফনের পুত্র গমরিয় ও হনানিয়ের পুত্র সিদিকিয় প্রভৃতি সমস্ত অধ্যক্ষ উপবিষ্ট ছিলেন।
কেননা বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, এই কথা কহেন, এই সকল জাতি যেন বাবিল-রাজ নবূখদ্নিৎসরের দাস হয়, তজ্জন্য আমি তাহাদের স্কন্ধে লৌহের যোঁয়ালি দিলাম; তাহারা তাহার দাস হইবে; আর আমি তাহাকে মাঠের পশুগণও দিলাম।
[শত্রুগণ] আমাদের পাদবিক্ষেপের অনুসরণ করে, আমরা স্ব স্ব পথে বেড়াইতে পারি না; আমাদের শেষকাল নিকটবর্ত্তী, আমাদের আয়ু সম্পূর্ণ হইল, হাঁ, আমাদের শেষকাল উপস্থিত।