20 এই সকল আঘাতে যাহারা হত হইল না, সেই অবশিষ্ট মনুষ্যেরা আপন আপন হস্তকৃত কর্ম্ম হইতে মন ফিরাইল না, অর্থাৎ ভূতগণের ভজনা হইতে, এবং “যে প্রতিমাগণ দেখিতে বা শুনিতে বা চলিতে পারে না, সেই সকল স্বর্ণ, রৌপ্য, পিত্তল, প্রস্তর ও কাষ্ঠময় প্রতিমাগণের” ভজনা হইতে নিবৃত্ত হইল না।
20 এসব আঘাতের পরেও যারা বেঁচে রইল, সেই অবশিষ্ট মানবজাতিরা নিজ নিজ হাতের কাজ থেকে মন ফিরালো না, (অর্থাৎ) বদ-রূহ্দের এবাদত থেকে এবং “যে মূর্তিগুলো দেখতে বা শুনতে বা চলতে পারে না, সেসব সোনা, রূপা, ব্রোঞ্জ, পাথর ও কাঠের তৈরি মূর্তিগুলোর” এবাদত থেকে নিবৃত্ত হল না।
20 মানবজাতির অবশিষ্ট লোক, যারা এই সমস্ত মহামারির দ্বারা নিহত হল না, তারা তখনও তাদের হাত দিয়ে করা কাজ থেকে মন পরিবর্তন করল না; তারা ভূতদের পূজা এবং সোনা, রুপো, পিতল, পাথর ও কাঠ দ্বারা নির্মিত বিভিন্ন প্রতিমা—যে প্রতিমারা দেখতে বা শুনতে বা চলতে পারে না, তাদের পূজা করা থেকে বিরত থাকল না।
20 এই সমস্ত আঘাতে যাদের মৃত্যু হল না, মানবজাতির অবশিষ্ট সেই মানুষেরা কিন্তু তাদের আচরণের কোন পরিবর্তন করল না। অপদেবতা কিম্বা সোনা-রূপো-পিতল, পাথর ও কাঠের তৈরী অন্ধ, বধির, অচল, অক্ষম প্রতিমা পূজা থেকে তারা নিবৃত্ত হল না।
20 এইসব আঘাত পাওয়া সত্ত্বেও যারা মরল না বাকি সেই লোকেরা নিজেরা নিজের হাতে গড়া বস্তুর থেকে মন-ফেরালো না। তারা ভূতপ্রেত ও সোনা, রূপা, পিতল, পাথর এবং কাঠের তৈরী মূর্ত্তি পূজা করা থেকে বিরত হল না—সেইসব মূর্ত্তি, যারা না দেখতে পায়, না শুনতে বা কথা বলতে পারে।
20 এই সব আঘাতের পরেও যে সব মানুষ বেঁচে রইল, তারা নিজের হাতে তৈরী মুর্ত্তিগুলো থেকে মন ফেরালো না, ভূতদের এবং যারা দেখতে, শুনতে অথবা হাঁটতে পারে না, সেই সব সোনা, রূপা, পিতল, পাথর ও কাঠ দিয়ে তৈরী মুর্ত্তিগুলোকে পূজা করতেই থাকল।
কিন্তু স্বর্গাধিপতির বিরুদ্ধে আপনাকে উচ্চ করিয়াছেন; এবং তাঁহার গৃহের নানা পাত্র আপনার সম্মুখে আনীত হইয়াছে, আর আপনি, আপনার মহল্লোকেরা, আপনার পত্নীগণ ও আপনার উপপত্নীগণ সেই সকল পাত্রে দ্রাক্ষারস পান করিয়াছেন; এবং রৌপ্যময়, সুবর্ণময়, পিত্তলময়, লৌহময়, কাষ্ঠময় ও প্রস্তরময় যে দেবগণ দেখিতে পায় না, শুনিতে পায় না, কিছু জানিতেও পারে না, আপনি তাহাদের প্রশংসা করিয়াছেন; কিন্তু আপনার নিঃশ্বাস যাঁহার হস্তগত ও আপনার সকল পথ যাঁহার অধীন, আপনি সেই ঈশ্বরের সমাদর করেন নাই।
কেননা আমি জানি, আমার মরণের পরে তোমরা একেবারে ভ্রষ্ট হইয়া পড়িবে, এবং আমার আদিষ্ট পথ হইতে বিপথগামী হইবে; আর উত্তরকালে তোমাদের অমঙ্গল ঘটিবে, কারণ সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যাহা মন্দ, তাহা করিয়া তোমরা আপনাদের হস্তকৃত কার্য্য দ্বারা তাঁহাকে অসন্তুষ্ট করিবে।
আর আপনারা দেখিতেছেন, ও শুনিতেছেন, কেবল এই ইফিষে নয়, প্রায় সমস্ত এশিয়ায় এই পৌল বিস্তর লোককে প্রবৃত্তি দিয়া ফিরাইয়াছে, এই বলিয়াছে, যে, যাহারা হস্তনির্ম্মিত, তাহারা ঈশ্বর নয়।
আর আমি ইহাদের সমস্ত দুষ্ক্রিয়ার জন্য ইহাদের বিরুদ্ধে আমার শাসন সকল প্রচার করিব; কেননা ইহারা আমাকে পরিত্যাগ করিয়া অন্য দেবতাদের নিকটে ধূপ জ্বালাইয়াছে, ও আপন আপন হস্তকৃত বস্তুর কাছে প্রণিপাত করিয়াছে।
পাছে আমি পুনর্ব্বার আসিলে আমার ঈশ্বর তোমাদের কাছে আমাকে নত করেন, এবং যাহারা পূর্ব্বে পাপ করিয়াছিল, তথাপি আপনাদের কৃত অশুচি ক্রিয়া, ব্যভিচার ও লম্পটাচার বিষয়ে অনুতাপ করে নাই, এমন অনেক লোকের জন্য আমাকে বিলাপ করিতে হয়।
অতএব আমরা যখন ঈশ্বরের বংশ, তখন ঈশ্বরের স্বরূপকে মনুষ্যের শিল্প ও কল্পনা অনুসারে ক্ষোদিত স্বর্ণের কি রৌপ্যের কি প্রস্তরের সদৃশ জ্ঞান করা আমাদের কর্ত্তব্য নহে।
কেননা যোহন ধার্ম্মিকতার পথ দিয়া তোমাদের নিকটে আসিলেন, আর তোমরা তাঁহাকে বিশ্বাস করিলে না; কিন্তু করগ্রাহী ও বেশ্যারা তাঁহাকে বিশ্বাস করিল; আর তোমরা তাহা দেখিয়া শেষেও এরূপ অনুশোচনা করিলে না যে, তাঁহাকে বিশ্বাস করিবে।
তোমরা এই যে মিসর দেশে প্রবাসার্থে আসিয়াছ, এখানে অন্য দেবগণের উদ্দেশে ধূপদাহ করিয়া কেন আপনাদের হস্তকৃত কর্ম্ম দ্বারা আমাকে অসন্তুষ্ট করিতেছ? তোমরা উচ্ছিন্ন হইবে, এবং পৃথিবীস্থ সমুদয় জাতির মধ্যে শাপের ও টিটকারির পাত্র হইবে।
আর অন্য দেবগণের সেবা ও তাহাদের কাছে প্রণিপাত করিবার জন্য তাহাদের পশ্চাদগামী হইও না, আপনাদের হস্তকৃত বস্তু দ্বারা আমাকে অসন্তুষ্ট করিও না; তাহাতে আমি তোমাদের অমঙ্গল করিব না।
কারণ তাহারা আমাকে ত্যাগ করিয়াছে, এবং অন্য দেবগণের উদ্দেশে ধূপ জ্বালাইয়াছে, এইরূপে স্ব স্ব হস্তের সমস্ত কার্য্যদ্বারা আমাকে অসন্তুষ্ট করিয়াছে; তজ্জন্য এই স্থানের উপরে আমার ক্রোধাগ্নি বর্ষিত হইল, নির্ব্বাণ হইবে না।
কারণ তাহারা আমাকে ত্যাগ করিয়াছে, এবং অন্য দেবগণের উদ্দেশে ধূপ জ্বালাইয়াছে, এইরূপে স্ব স্ব হস্তের কার্য্য দ্বারা আমাকে অসন্তুষ্ট করিয়াছে, তজ্জন্য এই স্থানের বিরুদ্ধে আমার ক্রোধ প্রজ্বলিত হইবে, তাহা নির্ব্বাণ হইবে না।
শিল্পকর স্বর্ণকারকে আশ্বাস দিল, এবং হাতুড়িতে সমানকারী লোক নেহাইর উপরে আঘাতকারীকে জোড়ের বিষয়ে কহিল, উত্তম হইয়াছে; এবং প্রেক দিয়া [প্রতিমাটা] দৃঢ় করিল, যেন তাহা না নড়ে।
পরে আমি স্বর্গে আর এক চিহ্ন দেখিলাম, তাহা মহৎ ও অদ্ভুত; সপ্ত দূতকে সপ্ত আঘাত লইয়া আসিতে দেখিলাম; সেই সকল শেষ আঘাত, কেননা সেই সকলে ঈশ্বরের রোষ সমাপ্ত হইল।