20 পরে মর্দখয় এই বৃত্তান্ত লিপিবদ্ধ করিলেন, এবং অহশ্বেরশ রাজার অধীন নিকটস্থ কি দূরস্থ সকল প্রদেশে যে সকল যিহূদী থাকিত, তাহাদের কাছে পত্র পাঠাইয়া আজ্ঞা করিলেন,
তখন তৃতীয় মাসের অর্থাৎ সীবন মাসের ত্রয়োবিংশ দিনে রাজ-লেখকেরা আহূত হইল, আর মর্দখয়ের সমস্ত আজ্ঞানুসারে যিহূদীদিগকে, ক্ষিতিপালদিগকে, এবং হিন্দুস্থান অবধি কূশ দেশ পর্য্যন্ত এক শত সাতাইশ প্রদেশের মধ্যে প্রত্যেক প্রদেশের অক্ষরানুসারে ও প্রত্যেক জাতির ভাষানুসারে দেশাধ্যক্ষগণকে ও প্রদেশ সকলের প্রধানবর্গকে এবং যিহূদীদের অক্ষর ও ভাষানুসারে তাহাদিগকে পত্র লেখা গেল।
পরে প্রথম মাসের ত্রয়োদশ দিনে রাজ-লেখকেরা আহূত হইল; সেই দিন হামনের সমস্ত আজ্ঞানুসারে রাজার নিযুক্ত ক্ষিতিপাল সকলের ও প্রত্যেক প্রদেশের অধ্যক্ষগণের, এবং প্রত্যেক জাতির প্রধানবর্গের কাছে, প্রত্যেক প্রদেশের অক্ষর ও প্রত্যেক জাতির ভাষানুসারে পত্র লিখিত হইল, তাহা অহশ্বেরশ রাজার নামে লিখিত ও রাজার অঙ্গুরীয়ে মুদ্রাঙ্কিত হইল।
তিনি এক এক প্রদেশের অক্ষরানুসারে ও এক এক জাতির ভাষানুসারে রাজার অধীন সমস্ত প্রদেশে এইরূপ পত্র পাঠাইলেন, “ প্রত্যেক পুরুষ আপন আপন গৃহে কর্ত্তৃত্ব করুক, ও স্বজাতীয় ভাষায় ইহা প্রচার করুক।”
পরে সদাপ্রভু মোশিকে কহিলেন, এই কথা স্মরণার্থে পুস্তকে লিখ, এবং যিহোশূয়ের কর্ণগোচরে শুনাইয়া দেও; কেননা আমি আকাশের নীচে হইতে অমালেকের নাম নিঃশেষে লোপ করিব।
এই কারণ পল্লীগ্রামের অর্থাৎ প্রাচীরবিহীন নগর সমূহের নিবাসী যিহূদীরা অদর মাসের চতুর্দ্দশ দিনকে আনন্দের, ভোজন পানের, সুখের ও পরস্পর ভাগ পাঠাইবার দিন বলিয়া মানে।
তজ্জন্য পূর [গুলিবাঁট] নামানুসারে সেই দুই দিনের নাম পূরীম হইল। অতএব সেই পত্রের সকল কথা প্রযুক্ত, এবং সেই বিষয়ে তাহারা যাহা দেখিয়াছিল, ও তাহাদের প্রতি যাহা ঘটিয়াছিল,
তৎপ্রযুক্ত যিহূদিগণ আপনাদের ও আপন আপন বংশের ও যিহূদি-মতাবলম্বী সকলের কর্ত্তব্য বলিয়া ইহা স্থির করিল যে, তৎসম্পর্কীয় লিখিত আজ্ঞা ও নিরূপিত সময়ানুসারে তাহারা বৎসর বৎসর ঐ দুই দিন পালন করিবে, কোন রূপে তাহার ত্রুটি করিবে না।