তখন তৃতীয় মাসের অর্থাৎ সীবন মাসের ত্রয়োবিংশ দিনে রাজ-লেখকেরা আহূত হইল, আর মর্দখয়ের সমস্ত আজ্ঞানুসারে যিহূদীদিগকে, ক্ষিতিপালদিগকে, এবং হিন্দুস্থান অবধি কূশ দেশ পর্য্যন্ত এক শত সাতাইশ প্রদেশের মধ্যে প্রত্যেক প্রদেশের অক্ষরানুসারে ও প্রত্যেক জাতির ভাষানুসারে দেশাধ্যক্ষগণকে ও প্রদেশ সকলের প্রধানবর্গকে এবং যিহূদীদের অক্ষর ও ভাষানুসারে তাহাদিগকে পত্র লেখা গেল।
মহারাজ আপন রাজ্যের সমস্ত প্রদেশে কর্ম্মচারীদিগকে নিযুক্ত করুন; তাহারা সেই সকল সুন্দরী যুবতী কুমারীদিগকে শূশন রাজধানীতে একত্র করিয়া অন্তঃপুরে স্ত্রীলোকদের রক্ষক রাজনপুংসক যে হেগয়, তাঁহার হস্তে সমর্পণ করুক, এবং তাহাদের অঙ্গসংস্কারার্থক দ্রব্য দত্ত হউক।
পরে মর্দখয় আপন পিতৃব্য অবীহয়িলের যে কন্যাকে পোষ্যপুত্রী করিয়াছিলেন, যখন রাজার নিকটে সেই ইষ্টেরের যাইবার পালা হইল, তখন তিনি কিছুই ভিক্ষা করিলেন না, কেবল স্ত্রীলোকদের রক্ষক রাজনপুংসক হেগয় যাহা যাহা নিরূপণ করিলেন, তাহাই মাত্র [সঙ্গে লইলেন]; আর যে কেহ ইষ্টেরের প্রতি দৃষ্টি করিত, সে তাঁহাকে অনুগ্রহ করিত।
আর রাজা অন্য সকল স্ত্রীলোক অপেক্ষা ইষ্টেরকে অধিক ভালবাসিলেন, এবং অন্য সকল কুমারী অপেক্ষা তিনিই রাজার দৃষ্টিতে অনুগ্রহ ও দয়া প্রাপ্ত হইলেন; অতএব রাজা তাঁহারই মস্তকে রাজমুকুট দিয়া বষ্টীর পদে তাঁহাকে রাণী করিলেন।