10 সৃষ্টির শুরু থেকে ঈশ্বরের এই নিগূঢ় পরিকল্পনা তাঁর মধ্যেই গুপ্ত ছিল। ঈশ্বর, স্বয়ং সমস্ত কিছুর সৃষ্টিকর্তা। ঈশ্বর চেয়েছিলেন যেন স্বর্গীয়স্থানে সমস্ত আধিপত্য ও কর্তৃত্ত্বের কাছে নানাবিধ উপায়ে তাঁর প্রজ্ঞা প্রতিফলিত করেন এবং মণ্ডলীর মাধ্যমেই তারা এসব জানতে পারে।
তাঁহাদের কাছে ইহা প্রকাশিত হইয়াছিল যে, তাঁহারা আপনাদের জন্য নয়, কিন্তু তোমাদেরই জন্য ঐ সকল বিষয়ের পরিচারক ছিলেন; সেই সকল বিষয় যাঁহারা স্বর্গ হইতে প্রেরিত পবিত্র আত্মার গুণে তোমাদের কাছে সুসমাচার প্রচার করিয়াছেন, তাঁহাদের দ্বারা এখন তোমাদিগকে জ্ঞাত করা গিয়াছে; আর স্বর্গদূতেরা হেঁট হইয়া তাহা দেখিবার আকাঙ্ক্ষা করিতেছেন।
কেননা রক্তমাংসের সহিত নয়, কিন্তু আধিপত্য সকলের সহিত, কর্ত্তৃত্ব সকলের সহিত, এই অন্ধকারের জগৎপতিদের সহিত, স্বর্গীয় স্থানে দুষ্টতার আত্মাগণের সহিত আমাদের মল্লযুদ্ধ হইতেছে।
কিন্তু আমরা নিগূঢ়তত্ত্বরূপে ঈশ্বরের সেই জ্ঞানের কথা কহিতেছি, সেই গুপ্ত জ্ঞান, যাহা ঈশ্বর আমাদের প্রতাপের জন্য যুগপর্য্যায়ের পূর্ব্বে নিরূপণ করিয়াছিলেন।
সমুদয় সৃষ্টির প্রথমজাত; কেননা তাঁহাতেই সকলই সৃষ্ট হইয়াছে; স্বর্গে ও পৃথিবীতে, দৃশ্য কি অদৃশ্য যে কিছু আছে, সিংহাসন হউক, কি প্রভুত্ব হউক, কি আধিপত্য হউক, কি কর্ত্তৃত্ব হউক, সকলই তাঁহার দ্বারা ও তাঁহার নিমিত্ত সৃষ্ট হইয়াছে;
আর ভক্তির নিগূঢ়তত্ত্ব মহৎ, ইহা সর্ব্বসম্মত, যিনি মাংসে প্রকাশিত হইলেন, আত্মাতে ধার্ম্মিক প্রতিপন্ন হইলেন, দূতগণের নিকট দর্শন দিলেন, জাতিগণের মধ্যে প্রচারিত হইলেন, জগতে বিশ্বাস দ্বারা গৃহীত হইলেন, সপ্রতাপে ঊর্দ্ধে নীত হইলেন।