14 তার পরলোকগত পিতাও ছিল টায়ার নগরের একজন নামকরা ব্রোঞ্জের কুশলী কারিগর। হীরাম ছিল জ্ঞানী বুদ্ধিমান ও কুশলী কারিগর। সে শলোমনের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে তাঁর নির্দেশমত ব্রোঞ্জের কারুকাজের ভার নিল।
14 সে নপ্তালি বংশীয় এক জন বিধবার পুত্র এবং তার পিতা টায়ার নগরস্থ এক জন কাংস্যকার, ব্রোঞ্জের সমস্ত কাজ করতে সে জ্ঞান, বুদ্ধি ও বিদ্যায় পরিপূর্ণ ছিল; সে বাদশাহ্ সোলায়মানের কাছে এসে তাঁর সমস্ত কাজ করলো।
14 যাঁর মা নপ্তালি গোষ্ঠীভুক্ত এক বিধবা ছিলেন এবং তাঁর বাবা সোরে বসবাসকারী ব্রোঞ্জের কাজে দক্ষ এক শিল্পী ছিলেন। ব্রোঞ্জের সব ধরনের কাজ করার ক্ষেত্রে হূরম প্রজ্ঞা, জ্ঞানবুদ্ধিতে পরিপূর্ণ ছিলেন। তিনি রাজা শলোমনের কাছে এলেন ও তাঁর নিরূপিত সব কাজ করলেন।
14 সে নপ্তালি বংশীয় এক বিধবার পুত্র, এবং তাহার পিতা সোর নগরস্থ এক জন কাংস্যকার, পিত্তলের সমস্ত কর্ম্ম করিতে সে জ্ঞান, বুদ্ধি ও বিদ্যায় পরিপূর্ণ ছিল; সে শলোমন রাজার কাছে আসিয়া তাঁহার সমস্ত কার্য্য করিল।
14 হীরমের মা ছিলেন নপ্তালির এক ইস্রায়েলীয় পরিবারগোষ্ঠীর মহিলা। তাঁর মৃত পিতা ছিলেন সোরের বাসিন্দা। হীরম ছিল পিতলের জিনিসপত্রের দক্ষ কারিগর। এ কারণেই শলোমন হীরমকে ডেকে পাঠিয়ে পিতলের কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। যা কিছু পিতলের কাজ সে সবই হীরম করেছিল।
14 তিনি নপ্তালি গোষ্ঠীর বিধবার পুত্র এবং তাঁর বাবা ছিলেন সোরের লোক। হীরম ব্রোঞ্জের কারিগর ছিলেন। হীরম ব্রোঞ্জের সমস্ত রকম কাজ জানতেন এবং সেই কাজে তিনি খুব পাকা ছিলেন। তিনি রাজা শলোমনের কাছে আসলেন এবং তাঁকে যে সব কাজ দেওয়া হল তা করলেন।
তাঁর জননী দান বংশের কন্যা এবং তাঁর পিতা ছিলেন টায়ারের অধিবাসী। তিনি জানেন কি ভাবে সোনা, রূপো, ব্রোঞ্জ, লোহা, পাথর ও কাঠ দিয়ে জিনিষ তৈরী করতে হয়। নীল, বেগুনী ও লাল কাপড়ের ওপরে সূচিশিল্পের কাজেও তিনি দক্ষ। সর্বপ্রকার খোদাইয়ের কাজ এবং যে কোন রকমের নকশা দেখালে অতি সহজে তিনি কাজ বুঝে করে দিতে পারেন। কাজেই তাঁকে আপনার ও আপনার পিতা রাজা দাউদের আমলের শিল্পীদের সঙ্গে কাজে নিয়োগ করুন।
হীরাম আরও অনেক পাত্র, বেলচা, গামলা তৈরী করলেন। রাজা শলোমনের নির্দেশে ঈশ্বরের মন্দিরের জন্য তিনি যে সমস্ত কাজ শেষ করলেন এখানে তার তালিকা দেওয়া হলঃ দুটি স্তম্ভ। স্তম্ভের উপরে গোলাকার দুটি চূড়া। প্রত্যেক চূড়ার উপরে নকশা করা জাল ও শিকল। চূড়ার অলঙ্করণের জন্য চারিধারে দুই সারিতে ডালিম। প্রত্যেক সারিতে একশো করে মোট চারশো ডালিম। দশটি গাড়ি দশটি গামলা জলাধার জলাধার রাখার জন্য বারোটি ব্রোঞ্জের ষাঁড়। পাত্র, হাতা ও গামলা। রাজা শলোমনের নির্দেশে প্রভু পরমেশ্বরের মন্দিরের জন্য উল্লিখিত আসবাবপত্রগুলি সবই পালিশ করা ব্রোঞ্জে তৈরী করা হয়েছিল।
কাজে নিযুক্ত দক্ষ কারিগরেরা সকলে মিলে শিবিরটি তৈরী করল। নীল, বেগুনী ও লাল রং এর সূক্ষ্ম সুতোয় তৈরী দশটি পর্দা জুড়ে এটি তৈরী করা হল। এগুলির উপরে সূচীশিল্পের কাজ করা করূব মূর্তি আঁকা ছিল।
খোদাইয়ের কাজ, নকশা তৈরী, নীল, বেগুনী, লাল ওসূক্ষ্ম সাদা সুতো ও পশম বোনার কাজ, তাঁতের কাজ ইত্যাদি সব রকমের শিল্পকর্মের নৈপুণ্য তিনি তাদের দান করেছেন। সর্ববিধ শিল্পকর্ম ও নকশা তৈরীর কাজে তারা দক্ষ।
বৎসলেল, অহলিয়াব এবং অন্যান্য কারিগর যাদের প্রভু পরমেশ্বর নৈপুণ্য ও বিচক্ষণতা দান করেছেন, পবিত্র আবাস নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সব কাজের অভিজ্ঞতা যাদের আছে, তারা সকলে প্রভু পরমেশ্বরের নির্দেশ অনুযায়ী সব কাজ করবে।
তবে, প্রকৃত পক্ষে ঈশ্বরের জন্য মন্দির গড়ার ক্ষমতা কারও নেই। কারণ অসীম আকাশের অন্তহীন ব্যাপ্তিও ধারণ করতে পারে না তাঁকে। এক্ষেত্রে ঈশ্বরের উদ্দেশে ধূপ জ্বালানোর জন্য একটি স্থান নির্মাণ করা আমার পক্ষে কি করে সম্ভব?