30 বনায় প্রভু পরমেশ্বরের তাঁবুতে গিয়ে যোয়াবকে বললেন, মহারাজের আদেশ, তুমি বেরিয়ে এস। যোয়াব বললেন, না, আমি এখানেই মরব। বনায় ফিরে গিয়ে রাজাকে যোয়াবের কথা বললেন।
30 তাতে বনায় মাবুদের তাঁবুতে গমন করে তাঁকে বললেন, বাদশাহ্ এই কথা বলেন, তুমি বাইরে এসো। তিনি বললেন, তা হবে না, আমি এই স্থানে মরবো। তখন বনায় বাদশাহ্কে সংবাদ জানিয়ে বললেন, যোয়াব অমুক কথা বলেছেন এবং আমাকে অমুক জবাব দিয়েছেন।
30 অতএব বনায় সদাপ্রভুর আবাস তাঁবুতে ঢুকে যোয়াবকে বললেন, “রাজামশাই বলছেন, ‘বেরিয়ে আসুন!’ ” কিন্তু তিনি উত্তর দিলেন, “তা হবে না, আমি এখানেই মরব।” বনায় রাজাকে খবর দিলেন, “যোয়াব এভাবেই আমার কথার উত্তর দিয়েছেন।”
30 তাহাতে বনায় সদাপ্রভুর তাম্বুতে গমন করিয়া তাঁহাকে কহিলেন, রাজা এই কথা বলেন, তুমি বাহিরে আইস। তিনি কহিলেন, তাহা হইবে না, আমি এই স্থানে মরিব। তখন বনায় রাজাকে সংবাদ জানাইয়া কহিলেন, যোয়াব অমুক কথা বলিয়াছেন, এবং আমাকে অমুক উত্তর দিয়াছেন।
30 বনায় তখন প্রভুর তাঁবুর সামনে গিয়ে বললেন, “রাজার নির্দেশ মেনে তুমি ভালোয় ভালোয় বেরিয়ে এসো।” কিন্তু যোয়াব বললেন, “না আমি এখানেই মরতে চাই।” বনায় তখন ফিরে গিয়ে রাজাকে যোয়াব যা বলেছেন তা জানাল।
30 কাজেই বনায় সদাপ্রভুর তাঁবুতে ঢুকে যোয়াবকে বললেন, “রাজা আপনাকে বের হয়ে আসতে বলেছেন।” কিন্তু যোয়াব বললেন, “না, আমি এখানেই মরব।” বনায় রাজাকে সেই খবর জানিয়ে বললেন, “যোয়াব আমাকে এই উত্তর দিয়েছেন।”
রাজা শলোমন সংবাদ পেলেন যে যোয়াব প্রভু পরমেশ্বরের তাঁবুতে পালিয়ে গিয়ে বেদীর পাশে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি তখন যোয়াবের কাছে লোক দিয়ে জিজ্ঞাসা করে পাঠালেন যে তিনি কেন প্রভুর কাছে পালিয়েছেন। যোয়াব বললেন, তিনি শলোমনের ভয়ে প্রভুর কাছে পালিয়ে এসেছেন। তখন রাজা শলোমন যিহোয়াদার পু্ত্র বনায়কে আদেশ দিলেন, যাও, তাকে হত্যা করো।
শলোমন তাঁকে বললেন, সে যা বলেছে, তা-ই কর। তাকে হত্যা করে কবর দাও। নিরপরাধ লোকদের সে হত্যা করেছে,আর তার জন্য আমাকে ও আমার পিতৃকুলকে দায়ী হতে হয়েছে। এবার তার বিহিত করো।
কব্সেলের যিহোয়াদার পুত্র বনায়ও ছিলেন একজন বিখ্যাত যোদ্ধা। তিনি দুজন মোয়াবী বীর যোদ্ধাকে বধ করেছিলেন এবং এ ছাড়াও আরও অনেক দুঃসাহসিক কাজ করেছিলেন। একবার তিনি এক তুষার ঝরা দিনে একটি গুহার মধ্যে ঢুকে একটা সিংহ মেরেছিলেন।