প্রভু পরমেশ্বর বলেন, যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে পরিত্যাগ করে এবং সেই স্ত্রী তাকে পরিত্যাগ করে অন্য পতি গ্রহণ করে, তাহলে সেই ব্যক্তি তাকে তার স্ত্রী হিসাবে আর গ্রহণ করতে পারবে না। অন্যথায় দেশ কদাচারে পূর্ণ হয়ে যাবে। কিন্তু হে ইসরায়েল, তোমার অনেক প্রণয়ী রয়েছে, তা সত্ত্বেও এখন তুমি আমার কাছে ফিরে আসতে চাইছ!
প্রভু পরমেশ্বর বলেন, তোমরা কি মনে কর বিতাড়িত করেছি আমি আমার প্রজাদের সেই ব্যক্তির মত, যে স্ত্রীকে ত্যাগপত্র দেয়? যদি তাই হয়, তবে সেই ত্যাগপত্র কোথায়? ভাব কি তোমরা, বিক্রয় করেছি আমি তোমাদের ক্রীতদাসরূপে সেই ব্যক্তির মত যে দাসরূপে বিক্রয় করে আপন সন্তানদের? তাই যদি হয়, তবে বিক্রয় করেছি তোমাদের কার কাছে? শোন, তোমাদেরই পাপের ফলে বন্দী হয়েছিলে তোমরা দাসত্বের শৃঙ্খলে। নির্বাসিত হয়েছিলে তোমরা নিজেদের অপরাধে!
সেই লোকটির কাছ থেকে তারা একশো শেকেল পরিমাণ রূপো জরিমানা আদায় করে কন্যার পিতাকে দেবে, কারণ সেই ব্যক্তি এক ইসরায়েলী নারীর নামে কলঙ্ক রটনা করেছে। সেই কন্যা তার স্ত্রী হবে এবং সেই ব্যক্তি আর কোনদিন তাকে ত্যাগ করতে পারবে না।
কিন্তু আমি এখন তোমাদের বলছি, অবৈধ সংসর্গ ভিন্ন অন্য কারণে কেউ যদি আপন স্ত্রীকে পরিত্যাগ করে তবে সে তার স্ত্রীকে ব্যভিচারে প্রবৃত্ত করায়। সেই স্বামীপরিত্যক্তাকে যে বিবাহ করে সেও ব্যভিচারী হয়।
অন্যান্যদের প্রতি আমার বক্তব্য, প্রভুর নয়-যদি কোন খ্রীষ্টানের স্ত্রী আমাদের ধর্মবিশ্বাস গ্রহণ না করে থাকে কিন্তু সে যদি তার স্বামীর সঙ্গে থাকতে রাজী হয় তাহলে তার পক্ষে তাকে ত্যাগ করা উচিত নয়।