তোমরা প্রভু পরমেশ্বরের কাছে যাও এবং আমার জন্য ও যারা এখন ইহুদী ও ইসরায়েলের মধ্যে জীবিত আছে, তাদের সম্পর্কে তাঁর নির্দেশ জেনে নাও। এই পুস্তকে লিখিত বিধানে এ বিষয়ে কি আছে তাও তোমরা জেনে নাও। প্রভু পরমেশ্বর আমাদের উপরে ক্রুদ্ধ হয়েছেন কারণ আমাদের পূর্বপুরুষেরা প্রভু পরমেশ্বরের কথা শোনে নি এবং এই পুস্তকে লেখা অবশ্য পালনীয় বিধান তারা পালন করে নি।
তার পরিবর্তে তাদের যুবকদের সতর্ক করে দিয়ে বললাম, তোমাদের পূর্ব পুরুষেরা যে বিধান তোমাদের দিয়েছে তা পালন করো না, তাদের আচার-প্রথা অনুসরণ করো না কিম্বা তাদের ঐ সব মূর্তির সংস্পর্শে নিজেদের অপবিত্র করো না।
আমাদের প্রতিজ্ঞা আমরা অবশ্যই রাখব। আমাদের দেবী, স্বর্গের রাণীর কাছে আমরা বলি উৎসর্গ করব এবং তাঁর উদ্দেশে সুরা নিবেদন করব, ঠিক যেভাবে আমাদের পূর্বপুরুষেরা আমাদের রাজা ও নেতৃবৃন্দ যিহুদীয়ার শহরে-নগরে, জেরুশালেমের পথে-ঘাটে বলি উৎসর্গ করতেন। সেই সময় আমাদের প্রচুর খাদ্যশস্য ছিল, আমরা সমৃদ্ধি লাভ করেছিলাম, আমাদের কোনও অভাব ছিল না।
আমি মন দিয়ে শুনেছি তাদের সব কথা, কিন্তু তারা সত্য কথা বলে নি। তাদের মধ্যে একজনও নিজের পাপাচারের জন্য অনুতপ্ত নয়, তাদের মনে আত্মজিজ্ঞাসাও জাগে না, তারা বলে না, ‘কি অপরাধই না আমি করেছি!’ যুদ্ধক্ষেত্রে ধাবমান অশ্বের মত তারা আপন ঈপ্সিত পথে ছুটে চলেছে।
এই মূর্তির কারিগরের কোন যুক্তি বা কোন বোধবুদ্ধি থাকে না যাতে সে বলতে পারে, কিছুটা কাঠ আমি পুড়িয়েছি, কাঠের আগুনে কিছু খাবার তৈরী করেছি এবং মাংস ঝলসে খেয়েছি আর বাকী কাঠ দিয়ে আমি এই মূর্তি গড়েছি। কাজেই, এখানে আমি এক কাষ্ঠখণ্ডকে প্রণাম করছি।
মাত্র আট বছর বয়সে যোশিয় যিহুদীয়ার রাজা হন এবং একত্রিশ বছর রাজত্ব করেন। তাঁর রাজধানী ছিল জেরুশালেম। বসকাথ নিবাসী আদাইয়ার কন্যা যেদিদাহ্ ছিলেন তাঁর মা।