1 সপ্তম মাসে ইসরায়েলীরা সকলে নিজের নিজের শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে আরম্ভ করে। মাসের প্রথমেই তারা জেরুশালেম নগরীর জলদ্বারের কাছের চত্বরে এক সভায় মিলিত হয়েছিল। প্রভু পরমেশ্বর ইসরায়েলের জন্য যে বিধান দিয়েছিলেন মোশির সেই বিধিসমূহের বইটি তারা অধ্যাপক ইষাকে আনতে অনুরোধ করে।
1 সপ্তম মাস উপস্থিত হলে বনি-ইসরাইল নিজ নিজ নগরে ছিল। আর সমস্ত লোক একটি মানুষের মত পানি-দ্বারের সম্মুখস্থ চকে একত্র হল; এবং তারা অধ্যাপক উযায়েরকে মূসার শরীয়ত-কিতাব আনতে বললো যা আল্লাহ্ ইসরাইলকে দিয়েছিলেন।
1 সমস্ত লোক একসঙ্গে জল-দ্বারের সামনের চকে জড়ো হল। তারা বিধানের অধ্যাপক ইষ্রাকে মোশির বিধানপুস্তক আনতে বলল, যেখানে ইস্রায়েলের জন্য সদাপ্রভুর আদেশ দেওয়া ছিল।
1 সপ্তম মাস উপস্থিত হইলে ইস্রায়েল-সন্তানগণ আপন আপন নগরে ছিল। আর সমস্ত লোক এক মানুষের ন্যায় জল-দ্বারের সম্মুখস্থ চকে একত্র হইল; এবং তাহারা অধ্যাপক ইষ্রাকে ইস্রায়েলের প্রতি সদাপ্রভুর আদিষ্ট মোশির ব্যবস্থা-পুস্তক আনিতে কহিল।
1 শেষ পর্যন্ত বছরের সপ্তম মাসে ইস্রায়েলের সমস্ত বাসিন্দা এক জায়গায় জড়ো হল। এরা সকলে একই উদ্দেশ্য নিয়ে একত্রে এসেছিল যেন জলদ্বারের সামনে খোলা চত্বরে তারা ছিল একটি মানুষ। এরা সকলে মিলে শিক্ষক ইষ্রাকে মোশির বিধিপুস্তকটি আনতে অনুরোধ করল। উল্লেখ্য প্রভু ইস্রায়েলের বাসিন্দাদের জন্য যে বিধিনির্দেশগুলি দেন তা এই গ্রন্থে লিপিবদ্ধ ছিল।
1 সপ্তম মাস আসলে ইস্রায়েলীয়রা নিজের নিজের শহরে ছিল। আর সমস্ত লোক একসঙ্গে এক মানুষের মত মিলে জল দরজার সামনের চকে জড়ো হল এবং তারা লিপিকার ইষ্রাকে ইস্রায়েলীয়দের জন্য সদাপ্রভুর দেওয়া আদেশ, অর্থাৎ মোশির ব্যবস্থার বইটি নিয়ে আসতে বলল।
ইসরায়েলের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর মোশিকে যে বিধি-বিধান দিয়েছিলেন, সে বিষয়ে ইষ্রা অত্যন্ত পারদর্শী ছিলেন। ইষ্রা তাঁর আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বরের আশীর্বাদধন্য হওয়ায় সম্রাট তাঁকে তাঁর প্রার্থিত সব কিছুই দিয়েছিলেন। সম্রাট অর্তক্ষস্তের রাজত্বের সপ্তম বছরে ইষ্রা এক দল ইসরায়েলীকে নিয়ে ব্যাবিলন থেকে জেরুশালেমের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। দলে ছিলেন যাজক, লেবীয়, গায়ক, দ্বাররক্ষী এবং মন্দিরের সেবক।
অর্তক্ষস্ত নিম্নবর্ণিত নথি ইষ্রাকে দিলেন। ইষ্রা ছিলেন একাধারে যাজক ও অধ্যাপক। প্রভু পরমেশ্বর যে বিধি-বিধান ও অনুশাসন ইসরায়েলকে দিয়েছিলেন সেই বিষয়ে ছিল তাঁর অগাধ ব্যুৎপত্তি। পত্রের অনুলিপি ছিল এই:
দেখ, আমি তোমাদের কাছে পাঠাব নবীদের, জ্ঞানী ব্যক্তি ও শাস্ত্রবিদদের। তাঁদের কাউকে তোমরা করবে হত্যা, কাউকে করবে ক্রুশবিদ্ধ, কাউকে তোমাদের সমাজভবনে নিয়ে কশাঘাত করবে এবং এক নগর থেকে অন্য নগরে তাদের তাড়া করে বেড়াবে।
তিনি তাঁদের আবার বললেন, কাজেই স্বর্গরাজ্য সম্বন্ধে সুশিক্ষিত শাস্ত্রগুরু এমন একজন গৃহস্থের মত যিনি নিজের ভাণ্ডার থেকে নূতন ও পুরাতন রত্ন বার করে আনতে পারবেন।
ফোয়ারার দ্বারের কাছে তাঁরা দাউদ নগরের সিঁড়ি দিয়ে সরাসরি প্রাচীরের উপর দিকে উঠতে লাগলেন। দাউদের প্রাসাদের উপর দিয়ে পূর্বদিকে তাঁরা জলদ্বারের দিকে গেলেন।
সেইমত লোকেরা বার হয়ে পড়ল এবং ডালপালা নিয়ে এসে নিজেদের বাড়ির ছাতে, ঈশ্বরের উপাসনাগৃহের প্রাঙ্গণে, জলদ্বারের চত্বরে এবং ইফ্রয়িমের দ্বারের কাছে কুটির নির্মাণ করল।
উত্তরে দান থেকে দক্ষিণে বেরশেবা পর্যন্ত সমগ্র এলাকার এবং পূর্বে গিলিয়দ প্রদেশ থেকে ইসরায়েলী সমাজের সমস্ত লোক এই ডাকে সাড়া দিল। তারা একজোট হয়ে মিস্পাতে পরমেশ্বরের পীঠস্থানে উপস্থিত হল।
পুরোহিত, লেবীয় ও ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে নগরের সমস্ত লোককে নিয়ে মন্দিরে গেলেন। যে বিধান পুস্তকটি মন্দিরে পাওয়া গিয়েছিল রাজা সকলের সামনে জোরে জোরে সম্পূর্ণ পুস্তকটি পাঠ করলেন।
তিনি জলদ্বারের সামনের চত্বরে দাঁড়িয়ে নরনারী ও বোধশক্তিসম্পন্ন লোকদের কাছে ভোরবেলা থেকে দুপুর পর্যন্ত উচ্চস্বরে বিধানশাস্ত্র পাঠ করলেন। সমস্ত লোক মনোযোগ দিয়ে বিধানশাস্ত্রের পাঠ শুনল।
সমগ্র ইসরায়েল জাতি যখন তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বরের মনোনীত স্থানে তাঁর সম্মুখে উপস্থিত হবে তখন তোমরা ইসরায়েলীদের সকলের সামনে এই বিধান পড়ে শোনাবে।
পুরোহিত, নবী ও গণ্য-মান্য- নগণ্য সবাইকে নিয়ে প্রভু পরমেশ্বরের মন্দিরে গেলেন। ঈশ্বরের সঙ্গে সন্ধির যে বিধান পুস্তকটি পাওয়া গিয়েছিল সেটি তিনি সকলকে সম্পূর্ণ পড়ে শোনালেন।