11 যদি কোন পুরুষ বা স্ত্রী রাজার আহ্বান ছাড়া রাজার সঙ্গে দেখা করতে ভিতরের প্রাঙ্গণে যায় তাহলে তার মৃত্যু অবধারিত। এই আইন রাজার উপদেষ্টাসহ রাজ্যের প্রত্যেক প্রজাই জানে। তবে যদি কারও দিকে রাজা তাঁর স্বর্ণময় রাজদণ্ড প্রসারিত করেন তাহলে সে মৃত্যু এড়াতে পারে। আজ প্রায় একমাস হল রাজা এখনও আমাকে ডাকেন নি।
11 বাদশাহ্র গোলামেরা ও বাদশাহ্র অধীন প্রদেশগুলোর লোকেরা সকলেই জানে, কোন পুরুষ বা স্ত্রীলোক বাদশাহ্র ডাক না পেয়ে যদি প্রাঙ্গণে বাদশাহ্র কাছে যায়, তার জন্য একমাত্র ব্যবস্থা এই যে, তার প্রাণদণ্ড হবে; কেবল যে ব্যক্তির প্রতি বাদশাহ্ সোনার রাজদণ্ড বিস্তার করেন, সে-ই মাত্র বাঁচে; আর ত্রিশ দিন যাবৎ আমি বাদশাহ্র কাছে যাবার জন্য কোন ডাক পাই নি।
11 “রাজার সব কর্মচারীরা এবং রাজার অধীন সব রাজ্যের লোকেরা জানে যে, কোনও পুরুষ বা স্ত্রীলোক রাজার ডাক না পেয়ে যদি ভিতরের দরবারে প্রবেশ করে তাঁর কাছে যায় তবে তার জন্য মাত্র একটিই আইন আছে, সেটি হল তার মৃত্যু। তবে যে লোকের প্রতি রাজা সোনার রাজদণ্ড বাড়িয়ে দেন কেবল তার প্রাণই বাঁচে। কিন্তু গত ত্রিশ দিনের মধ্যে রাজার কাছে যাবার জন্য আমাকে ডাকা হয়নি।”
11 রাজার দাসগণ ও রাজার অধীন প্রদেশ-সমূহের প্রজারা সকলেই জানে, পুরুষ কি স্ত্রী, যে কেহ আহূত না হইয়া ভিতরের প্রাঙ্গণে রাজার নিকটে যায়, তাহার জন্য একমাত্র ব্যবস্থা এই যে, তাহার প্রাণদণ্ড হইবে; কেবল যে ব্যক্তির প্রতি রাজা স্বর্ণময় রাজদণ্ড বিস্তার করেন, সেইমাত্র বাঁচে; আর, ত্রিশ দিন অবধি আমি রাজার নিকটে যাইবার জন্য আহূতা হই নাই।
11 “রাজ্যের সমস্ত বাসিন্দা ও রাজার সমস্ত নেতারাই জানেন, যে ডাক না পড়লে পুরুষ বা নারী যেই হোক্ না কেন রাজার কাছে যেতে পারে না। যদি কেউ রাজার কাছে যায় তবে তার মৃত্যুদণ্ড হয়। এক্ষেত্রে একমাত্র ব্যতিএম হল: রাজা যদি কারো হাতে তাঁর সোনার রাজদণ্ডটি দেন, তাহলে এক্ষেত্রে সে ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ড থেকে নিষ্কৃতি পায়। কিন্তু আমাকে রাজা গত 30 দিনের মধ্যে একবারও ডেকে পাঠান নি।”
11 “রাজার দাসেরা ও রাজার অধীন দেশসমূহের লোকেরা সবাই জানে, পুরুষ কি স্ত্রী, যে কেউ নিমন্ত্রিত না হয়ে ভিতরের উঠানে রাজার কাছে যায়, তার জন্য একমাত্র আইন যে, তার মৃত্যু হবে; শুধু যে ব্যক্তির প্রতি রাজা সোনার রাজদণ্ড বাড়িয়ে দেন, সেই শুধু বাঁচে; আর ত্রিশ দিন পর্যন্ত আমি রাজার কাছে যাবার জন্য নিমন্ত্রিত হইনি।”
যা ভেবেছি ঠিক তাই! আপনারা এইভাবে সময় নেবার চেষ্টা করছেন, কারণ আপনারা জানেন, আমি কি স্বপ্ন দেখেছি তা বলতে না পারলে আপনাদের সকলকেই একই শাস্তি দেওয়া হবে। আপনারা সবাই মিলে ঠিক করেছেন যে আমাকে প্রবঞ্চনা করে সময় কাটাবেন। ভেবেছেন, সময়ে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। যদি স্বপ্নটি কি ছিল বলতে পারেন তবেই বুঝব স্বপ্নের অর্থও আপনারা বলতে পারবেন।
তাকে সন্ধ্যেবেলা রাজপ্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হত ও পরের দিন সকালে অন্য একটি অন্তঃপুরে পৌঁছে দেওয়া হত, যে অন্তঃপুরে নপুংসক শাসাগসের তত্ত্বাবধানে রাজার উপপত্নীরা থাকতেন। রাজা প্রসন্ন হয়ে তার নাম ধরে না ডাকা পর্যন্ত সে আর রাজার সামনে যেতে পারত না।
রাজা তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, কে আছ প্রাসাদ প্রাঙ্গণে?ঠিক তখনই হামান রাজপ্রাসাদের প্রাঙ্গণে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। মর্দখয়কে ফাঁসি দেবার জন্য যে ফাঁসিকাঠ তৈরী করা হয়েছিল তাতে মর্দখয়কে ফাঁসি দেবার কথা তিনি রাজাকে বলতে এসেছিলেন।
হে মহারাজ, যদি আপনার সম্মতি থাকে তাহলে এই রাজাজ্ঞা ঘোষণা করুন যে বষ্টী আর কখনও রাজার সামনে আসতে পারবেন না। এই আদেশ যেন কখনও পরিবর্তিত না হয়। পারস্য ও মিডিয়ার শাসন ব্যবস্থায় এই আদেশ আইনরূপে গৃহীত ও লিপিবদ্ধ করা হোক এবং কোন শ্রেষ্ঠ মহিলাকে রাজমহিষীরূপে গ্রহণ করা হোক।
স্বামীরা, তোমরাও সেইভাবে বিচার বিবেচনা করে স্ত্রীকে নিয়ে সংসার কর। মেয়েরা তোমাদের চেয়ে দুর্বল বলেই তাদের যথাযোগ্য মর্যাদা দাও, কারণ তোমরা দুজনেই ঈশ্বরদত্ত জীবনের শরিক। তাহলে তোমাদের প্রার্থনায় কোন বাধা সৃষ্টি হবে না।