15 আর তাকে এই ক্ষমতা দেওয়া হল যে, সে ঐ পশুর মূর্তির মধ্যে প্রাণ-বায়ু দেয়, যেন ঐ পশুর মূর্তি কথা বলতে পারে ও এমন করতে পারে যে, যারা সেই পশুর মূর্তির এবাদত করবে না, তাদেরকে হত্যা করতে পারে।
15 তাকে ক্ষমতা দেওয়া হল যেন সে প্রথম পশুটির প্রতিমায় প্রাণবায়ু দিতে পারে ও সেই প্রতিমা কথা বলতে পারে। তখন সেই পশুর প্রতিমা আদেশ দিল যে, যারাই তাকে পূজা করতে অস্বীকার করে তাদের হত্যা করা হয়।
15 আর তাহাকে এই ক্ষমতা দত্ত হইল যে, সে ঐ পশুর প্রতিমার মধ্যে নিশ্বাস প্রদান করে, যেন ঐ পশুর প্রতিমা কথা কহিতে পারে, ও এমন করিতে পারে যে, যত লোক সেই পশুর প্রতিমার ভজনা না করিবে, তাহাদিগকে বধ করা হয়।
15 একে এমন ক্ষমতা দেওয়া হল যাতে সে প্রথম পশুর প্রতিমার মধ্যে প্রাণ সঞ্চার করতে পারে, যেন সেই প্রতিমা কথা বলতে পারে ও যে সেই পশুর প্রতিমার আরাধনা না করে তাকে হত্যা করার আদেশ দেয়।
15 আর তাকে ওই মুর্ত্তিকে নিঃশ্বাস দিতে পারে এমন ক্ষমতা দেওয়া হলো, যাতে ঐ জন্তুর মুর্ত্তিটি কথা বলতে পারে এবং যত লোক সেই জন্তুর মুর্ত্তিটি পূজো না করবে, তাদের মেরে ফেলতে পারে।
পরে আমি কয়েকটি সিংহাসন দেখলাম; সেগুলোর উপরে কেউ কেউ বসলেন, তাঁদেরকে বিচার করার ভার দেওয়া হল। আর ঈসার সাক্ষ্য ও আল্লাহ্র কালামের জন্য যারা কুঠার দ্বারা হত হয়েছিল এবং যারা সেই পশুকে ও তার মূর্তির পূজা করে নি, আর নিজ নিজ ললাটে ও হাতে তার চিহ্ন ধারণ করে নি তাদের প্রাণও দেখলাম; তারা জীবিত হয়ে হাজার বছর মসীহের সঙ্গে রাজত্ব করলেন।
তাতে সেই পশু ধরা পড়লো এবং যে ভণ্ড নবী তার সাম্মুখে চিহ্ন-কাজ করে পশুর চিহ্নধারী ও তার মূর্তির এবাদতকারীদের ভ্রান্তি জন্মাত, সেও তার সঙ্গে ধরা পড়লো; তারা উভয়ে জীবন্তই জ্বলন্ত গন্ধকের আগুনের হ্রদে নিক্ষিপ্ত হল।
পরে প্রথম ফেরেশতা গিয়ে দুনিয়ার উপরে তাঁর বাটিটি ঢাললেন, তাতে সেই পশুর চিহ্নবিশিষ্ট ও তার মূর্তির এবাদতকারী লোকদের শরীরে ব্যথাজনক দুষ্ট ক্ষত জন্মগ্রহণ করলো।
হে বেহেশত আনন্দ কর, হে পবিত্র লোকেরা, হে প্রেরিতেরা, নবীরা, তোমরা তার বিষয়ে আনন্দ কর; কেননা সে তোমাদের প্রতি যে অন্যায় করেছে, আল্লাহ্ তার প্রতিকার করেছেন।
তাদের যাতনার ধোঁয়া যুগপর্যায়ের যুগে যুগে ওঠে”; যারা সেই পশু ও তার প্রতিমূর্তির এবাদত করে এবং যে কেউ তার নামের চিহ্ন ধারণ করে, তারা দিনে বা রাতে কখনও বিশ্রাম পায় না।
এভাবে সেই পশুর সাক্ষাতে যেসব চিহ্ন-কাজ করার ক্ষমতা তাকে দেওয়া হয়েছে, তা দ্বারা সে দুনিয়া-নিবাসীদের ভুল পথে নিয়ে যায়; সে দুনিয়া-নিবাসীদেরকে বলে, ‘যে পশু তলোয়ার দ্বারা আহত হয়েও বেঁচেছিল, তার একটি মূর্তি তৈরি কর।’
সে সর্বশক্তিমানের বিপরীতে কথা বলবে, সর্বশক্তিমানের পবিত্রগণের উপর জুলুম করবে এবং নিরূপিত কাল ও শরীয়তের পরিবর্তন করতে মনস্থ করবে এবং এক কাল, দুই কাল ও অর্ধেক কাল পর্যন্ত তাদের তার হাতে তুলে দেওয়া হবে।
কেননা আল্লাহ্ তাদের অন্তরে এই প্রবৃত্তি দিয়েছিলেন, যেন তারা তাঁরই মানস পূর্ণ করে এবং একমনা হয়; আর যে পর্যন্ত আল্লাহ্র কালামগুলো সিদ্ধ না হয়, সেই পর্যন্ত নিজ নিজ রাজ্য সেই পশুকে দেয়।
প্রত্যেক মানুষ পশুর মত হয়েছে, সে জ্ঞানহীন; প্রত্যেক স্বর্ণকার তার মূর্তির দ্বারা লজ্জিত হয়; কারণ তার ছাঁচে ঢালা বস্তু মিথ্যামাত্র, তার মধ্যে শ্বাসবায়ু নেই।
প্রত্যেক মানুষ পশুর মত হয়েছে, সে জ্ঞানহীন; প্রত্যেক স্বর্ণকার তার মূর্তি দ্বারা লজ্জিত হয়। কারণ তার ছাঁচে ঢালা বস্তু, মিথ্যামাত্র, তার মধ্যে শ্বাসবায়ু নেই।
সেসব খোদিত স্তম্ভস্বরূপ; কথা বলতে পারে না; তাদেরকে বহন করতে হয়, কারণ তারা চলতে পারে না। তোমরা তাদেরকে ভয় পেয়ো না। কারণ তারা অমঙ্গল করতে পারে না, মঙ্গল করতেও তাদের সাধ্য নেই।
তারা মেষশাবকের সঙ্গে যুদ্ধ করবে, আর মেষ-শাবক তাদের জয় করবেন, কারণ “তিনি প্রভুদের প্রভু ও বাদশাহ্দের বাদশাহ্;” এবং যারা তাঁর সহবর্তী, আহ্বান পেয়েছে ও মনোনীত ও বিশ্বস্ত, তাঁরাও জয় করবেন।
আর তার মাথার দশটি শিং-এর তথ্য ও যে অন্য শিং উঠেছিল, যার সাক্ষাতে তিনিটি শিং পড়ে গেল; সেই শিং, যার চোখ ও দম্ভ-ভরা কথার মুখ ছিল, সহচরদের চেয়ে যার বিপুল দৃশ্য ছিল, সেই শিংগুলোর তথ্য জানতে চাইলাম।
আর আমি দেখলাম, “সমুদ্রের মধ্য থেকে একটি পশু উঠছে; তার দশটি শিং” ও সাতটি মাথা; এবং তার শিংগুলোতে দশটি রাজমুকুট এবং তার মাথাগুলোতে আল্লাহ্-নিন্দার কতিপয় নাম।
সে ঐ প্রথম পশুর পক্ষে তার সমস্ত কর্তৃত্ব প্রয়োগ করে; এবং যে প্রথম পশুর মৃত্যুজনিত আঘাতের প্রতিকার করা হয়েছিল, দুনিয়া ও তার অধিবাসীদেরকে তার এবাদত করায়।