আর বাদশাহ্ দেখেছেন, এক জন প্রহরী, এক জন পবিত্র ব্যক্তি, বেহেশত থেকে নেমে আসছেন, আর বলছেন, ‘গাছটা কেটে ফেল ও বিনষ্ট কর, কিন্তু ভূমিতে এর মূলের কাণ্ডকে লোহা ও ব্রোঞ্জের শিকলে বেঁধে ক্ষেতের কোমল ঘাসের মধ্যে রাখ; তা আসমানের শিশিরে ভিজুক, মাঠের পশুদের সঙ্গে তার অংশ হোক, যে পর্যন্ত না তার উপরে সাত কাল ঘোরে।’
তখন সেই স্ত্রীলোকটিকে মস্ত বড় ঈগল পাখির দু’টি পাখা দেওয়া হল, যেন সে মরুভূমিতে, নিজের স্থানে উড়ে যায়, যেখানে ঐ নাগের দৃষ্টি থেকে দূরে ‘এক কাল ও দুই কাল ও অর্ধেক কাল’ পর্যন্ত সে প্রতিপালিত হয়।
আপনি মানব-সমাজ থেকে দূরীকৃত হবেন, মাঠের পশুদের সঙ্গে আপনার বসতি হবে, বলদের মত আপনাকে ঘাস খেতে দেওয়া হবে, আপনি আসমানের শিশিরে ভিজবেন এবং এভাবে সাত বছর চলে যাবে; যে পর্যন্ত না আপনি জানবেন যে, মানুষের রাজ্যে সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ কর্তৃত্ব করেন ও যাকে তা দিতে ইচ্ছা করেন, তাকে তা দেন।
পরে আমি শুনতে পেলাম, সেই মসীনা-কাপড় পরিহিত ও নদীর পানির উপরে অবস্থিত ব্যক্তি তাঁর ডান ও বাম হাত বেহেশতের দিকে তুলে নিত্যজীবী আল্লাহ্র নামে শপথ করে বললেন, এটা এক কাল, দুই কাল ও অর্ধেক কালে হবে এবং পবিত্র জাতির বাহুভঙ্গ সম্পূর্ণ হলে এই সমস্ত সিদ্ধ হবে।
উত্তর দেশের বাদশাহ্ ফিরে আসবে এবং প্রথম সমারোহের চেয়ে বড় সমারোহ একত্র করবে; আর কালপর্যায়ের শেষে, নির্দিষ্ট বছর শেষে, মহা সৈন্য ও প্রচুর সামগ্রী নিয়ে আসবে।
সে সর্বশক্তিমানের বিপরীতে কথা বলবে, সর্বশক্তিমানের পবিত্রগণের উপর জুলুম করবে এবং নিরূপিত কাল ও শরীয়তের পরিবর্তন করতে মনস্থ করবে এবং এক কাল, দুই কাল ও অর্ধেক কাল পর্যন্ত তাদের তার হাতে তুলে দেওয়া হবে।
বাদশাহ্ কূশীয়কে জিজ্ঞাসা করলেন, যুবক অবশালোমের কি মঙ্গল? কূশীয় বললো, আমার মালিক বাদশাহ্র দুশমনেরা ও যারা অমঙ্গলের জন্য আপনার বিরুদ্ধাচারণ করে, তারা সকলে সেই যুবকের মত হোক।