18 যেন ব্যাবিলনীয়দের হাত এড়াতে পারে। তারা তাদের থেকে ভীত হয়েছিল, কারণ নথনিয়ের পুত্র ইশ্মায়েল অহীকামের পুত্র গদলিয়কে হত্যা করেছিল, যাঁকে ব্যাবিলনের রাজা দেশের উপরে প্রশাসকরূপে নিযুক্ত করেছিলেন।
যখন যিরমিয় কোন উত্তর দিলেন না, নবূষরদন বললেন, “শাফনের নাতি, অহীকামের ছেলে গদলিয়, যাকে বাবিলের রাজা যিহূদার সব শহরের উপরে নিযুক্ত করেছেন, তাঁর কাছে যাও। তাঁর লোকেদের সঙ্গে থাকতে পার অথবা তোমার চোখে যে জায়গা ভালো লাগে সেখানে যেতে পার।” রাজার দেহরক্ষীদলের সেনাপতি তাঁকে খাবার ও উপহার দিলেন ও তারপর তাঁকে বিদায় দিলেন।
তবে যে তরোয়ালকে তোমরা ভয় পাও, তা মিশর দেশেই তোমাদের ধরে ফেলবে। যে দূর্ভিক্ষের জন্য চিন্তা করছ, তা মিশরে তোমাদের পিছনে ছুটবে। তোমরা সেখানেই মারা যাবে।
বাবিলের রাজাকে ভয় কোরো না, যাকে তোমরা ভয় করেছ। তাকে ভয় কোরো না’ এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা কারণ আমি তার হাত থেকে তোমাদের রক্ষা করার জন্য ও উদ্ধার করার জন্য তোমাদের সাথে আছি।
বল দেখি কার থেকে এমন ত্রাসযুক্ত ও ভীত হয়েছ যে, মিথ্যা কথা বলেছ? তুমি আমাকে ভুলে গিয়েছ, মনে জায়গা দেওনি। আমি কি চিরকাল ধরে নীরব থাকি নি? কিন্তু তুমি আমাকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করনি।
কিন্তু সাত মাসের দিনের ইলীশামার নাতি, অর্থাৎ নথনিয়ের ছেলে রাজবংশীয় ইশ্মায়েল দশ জন লোক সঙ্গে করে নিয়ে এসে গদলিয়কে আক্রমণ করলেন। যিহূদার যে সব লোকেরা ও বাবিলীয়েরা মিসপাতে তাঁর সঙ্গে ছিল তাদের সবার সঙ্গে গদলিয়কে হত্যা করলেন।
বাবিলের রাজা নবূখদ্নিৎসর যে সব লোকদের যিহূদা দেশে অবশিষ্ট রেখে গিয়েছিলেন তাদের উপরে তিনি শাফনের নাতি, অর্থাৎ অহীকামের ছেলে গদলিয়কে শাসনকর্ত্তা হিসাবে নিযুক্ত করলেন।